ফেটেল পঞ্চমবার পোল পজিশন নিলেন
৭ মে ২০১১শুক্রবারের এ্যাকসিডেন্টটা যারা টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছেন, তারাই প্রশ্ন করবেন: এই রেড বুল দলের মেকানিকরাই বা কেমন আর এই তরুণ জার্মান গাড়িচালকটিই বা কেমন? এদের কি স্নায়ু বলে কিছু নেই? গাড়িটা সোজা ঘাসের এলাকাটা পেরিয়ে টায়ারের স্তূপে ধাক্কা খায়৷ ফলে ফেটেলের রেড বুল গাড়ির নাক বোঁচা, পায়ে ছেঁড়াখোঁড়া টায়ারের চপ্পল, দেশে যেমন হতদরিদ্রেরা পরে৷ সেই গাড়ি একরাতে সারিয়ে তাকে পরদিনের কোয়ালিফাইং'এর জন্য এ'রকম পর্যায়ে আনা? ফেটেল নিজেই বলেছেন: ‘মেকানিকদের যে পরিমাণ কাজ দিয়েছিলাম... ওরা কিন্তু দারুণ কাজ করেছে৷ আজ আমার গাড়িটা ছিল এক কথায় ফ্যান্টাস্টিক৷'
অবশ্য রেড বুল দলের স্ট্র্যাটেজিস্টরাও এবার রণকৌশলে ভুল করেননি৷ দেখিয়েছেন যে, চীনের গ্রঁ প্রি থেকে তাদের সঠিক শিক্ষা হয়েছে৷ এবার আর ফেটেল কোয়ালিফাইং'এ একটা চূড়ান্ত চক্কর দিতে গিয়ে আর এক সেট টায়ার পুরনো করে ফেলেননি৷ ঠিক ঐ ট্রিকেই তাকে শাংহাইতে হারান লুইস হ্যামিলটন৷ শাংহাইতে হ্যামিলটন কোয়ালিফাইং'এ কোনো চূড়ান্ত চক্করে না গিয়ে এক সেট টায়ার বাঁচান এবং রেসে ফেটেলের চেয়ে একটি পিট স্টপ বেশি করেন৷ যাই হোক, তুরস্কে হ্যামিলটন এবার স্টার্টের সময় চতুর্থ অবস্থানে থাকবেন৷
স্টার্টিং গ্রিডে ফেটেলের পাশে কিন্তু একটু পিছিয়ে তারই দলগত সতীর্থ মার্ক ওয়েবার, দ্বিতীয় অবস্থানে৷ তবে বিশ্বের চোখ এখন স্বভাবতই এই নতুন জার্মান ‘ভুন্দারকিন্ড' বা আশ্চর্য শিশুটির দিকে, যার নাম সেবাস্টিয়ান ফেটেল৷ পর পর পাঁচবার পোল? আর তিনবার হলেই তো ফেটেল অমর আয়ারটন সেন্নার পর পর আটবার পোলের রেকর্ডও ধরে ফেলবেন!
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম