1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা চ্যালেঞ্জ: নির্বাচন কমিশন

১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি, চ্যালেঞ্জই-এসব বিষয় নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাসউদ। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি৷

নির্বাচন কমিশনের বৈঠকের একটি মুহূর্ত৷
‘নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের ধারণা ইতিবাচক না। আমরা চাচ্ছি নির্বাচন ব্যবস্থার উপর যেন মানুষের একটা আস্থা তৈরি হয়।’ছবি: Bangladesh Election Commission

ডয়চে ভেলে : আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। এই নির্বাচনকে ঘিরে আপনারা কি ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন?

আব্দুর রহমানেল মাসউদ : নির্বাচনের প্রস্তুতি বলতে, নির্বাচন করতে যে সমস্ত কাজ করা প্রয়োজন তার সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না, তবে সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি।

এই নির্বাচন আয়োজনে আপনারা কি ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন বলে মনে করছেন?

সবটাই আসলে চ্যালেঞ্জ। ওই অর্থে চ্যালেঞ্জ বললে আমরা অবশ্যই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা বলবো। সবার জন্যই এটা চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনে এটা তো প্রয়োজন। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকা খুবই প্রয়োজন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কীভাবে উন্নতি করা যায়, ভালো করা যায় বা কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সে বিষয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। আইন শৃঙ্খলা ভালো থাকলে ভোটারদের অংশগ্রহণ ভালো হয়। নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের ধারণা ইতিবাচক না। আমরা চাচ্ছি নির্বাচন ব্যবস্থার উপর যেন মানুষের একটা আস্থা তৈরি হয়। আমরা আমাদের কাজ দিয়ে সেটাই চেষ্টা করছি।

বর্তমান প্রশাসন নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা আছে। ফলে নির্বাচনের আগে প্রশাসনে বড় ধরনের কোন পরিবর্তনের চিন্তা আপনাদের আছে কিনা?

ওইভাবে আলোচনা না করলেও আমি যে বিষয়টি বলতে চাই, নির্বাচন পরিচালনার জন্য রির্টানিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসারের ভূমিকা অত্যন্ত বেশি। কাজেই সেখানে যাতে ভালো মানুষ যায়, সৎ মানুষ যায়, দক্ষ মানুষ যায় সেটা তো নির্বাচন কমিশন সবসময়ই চাইবে। এই লক্ষ্যে আমরা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগও করবো।

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বাচনি প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। আপনারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি নিয়ে কি কোন কাজ করছেন?

তাদের সঙ্গে আমাদের কাজ তো পরের দিকে। নির্বাচনের আগে তাদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হবে। আমরাও চাচ্ছি তারা প্রস্তুতি নিক। সরকারও প্রস্তুতি নিচ্ছে, আপাতত এটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

এখন কি আপনারা পুলিশকে কোন নির্দেশনা দিতে পারেন?

সেই সময় এখনও আসেনি। সিডিউল হলে তখন আইনগতভাবে তাদের উপর দায়িত্ব অর্পন হয়। এর আগে আমরা যেটা বলেছি, যেখানে পোলিং স্টেশন হবে, সেটা যেন নিরাপদ হয়। সেটার যদি কোন মেরামতের প্রয়োজন হয় করবে? পুলিশ বাহিনী যাতে সক্রিয় থাকে, তাদের সংখ্যা কত, আনসারের সংখ্যা কত, বিভিন্ন বাহিনীর যারা থাকবেন তাদের সংখ্যা কত? এগুলো আমরা জানতে চাচ্ছি। এসব বিষয়ে কিছু যোগাযোগ হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও হবে।

১৬ বছর বয়সিদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত কি চূড়ান্ত হয়েছে?

বিষয়টি পুরোপুরি আমার জানা নেই।

তরুন ভোটারদের আকৃষ্ট করতে আপনারা কি কোন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

ইতিমধ্যে আমরা একটা আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছি। আগে আইনটি ছিল যে বছর ভোট হবে সেই বছরের পহেলা জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ হবে শুধুমাত্র তারাই ভোটার হতে পারবে। ভোট যদি ডিসেম্বরেও হয় বা পরের বছর জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারিতেও হয় তাহলেও এরাই শুধু ভোট দিবে। মাঝখানে যে শত শত বা হাজার হাজার তরুণ ১৮ বছর অতিক্রম করবে তারা ভোট দিতে পারবে না। এবার আমরা বলেছি, ৩১ অক্টোবর যাদের বয়স ১৮ হবে তারাও ভোটার হতে পারবে। তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে এটা একটা আইনি দিক। এখন তো বিশ্বে যা হচ্ছে বা নেপালে দেখেন বা অন্য জায়গায় দেখেন তরুনদেরই আধিপত্য চলছে। ফলে তারা ভোট দিতে চায় আমাদের কাছে এই ধরনের বার্তা এসেছে। আমরাও বলেছি, ৩১ অক্টোবর যাদের বয়স ১৮ বছর হবে তারা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে।

এবার আমরা বলেছি, ৩১ অক্টোবর যারা ১৮ হবে তারাও ভোটার হতে পারবে। তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে এটা একটা আইনি দিক: আব্দুর রহমানেল মাসউদ

This browser does not support the audio element.

সীমানা নির্ধারণ ইস্যুতে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হচ্ছে। এই সংকট নিরসনে আপনাদের পরিকল্পনা কি?

এখানে তো টেকনিক্যাল কমিটিও কাজ করেছে। আমরা যেগুলো দেখেছি, একটি আসনে হয়ত ভোটার আছে ৫ লাখ, তার পাশের আসনে আছে হয়ত ২ বা ৩ লাখ। খুব যে বেশি করেছি, তা কিন্তু না। কিছু কিছু কারেকশান করেছি। ভাঙ্গাতে দুইটা ইউনিয়নকে এক আসন থেকে পাশের আসনে দেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের ভাষায় যেটা যৌক্তিক এবং টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ নিয়েই করেছি। কিছু ডিসপুট দেখা যাচ্ছে। কিন্তু খুব বেশি যে তা কিন্তু না।  

প্রবাসীদের ভোটার করার প্রক্রিয়া কতদূর এগিয়েছে?

এটার ক্ষেত্রে আমরা অনেকদূর এগিয়েছি। আমরা আরপিও চেঞ্জ করেছি। এখনও প্রবাসী ভোটাররা ব্যালটেই ভোট দেবে। কিন্তু তাদের নাম নিবন্ধন করতে হবে অনলাইনে। অ্যামেরিকা বা সৌদিআরব হোক, নিবন্ধন দেখে আমরা বুঝতে পারবো তিনি নোয়াখালীর লোক না চট্টগ্রামের লোক। কত নম্বর আসনের ভোটার তিনি। আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি, তিনি যে আসনের ভোটার আমরা ওই আসনের ব্যালট পেপার তাকে পাঠিয়ে দেবো। তিনি ভোট দিয়ে এবং সঙ্গে একটা ডিক্লেয়ারেশন দিয়ে আমাদের পাঠানো পোস্টালে পাঠিয়ে দেবেন, যেটা যাবে ওই আসনের রির্টানিং অফিসারের কাছে। এইভাবে আমরা চেষ্টা করছি।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কবে থেকে সংলাপ শুরু হচ্ছে?

আমাদের রোডম্যাপ অনুযায়ী শিগগিরই শুরু হবে। সেখানে শুধু রাজনৈতিক দল না, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ সবার সঙ্গেই কথা হবে।

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ