1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জঙ্গি হামলার ঝুঁকিতে বাংলাদেশ?

২৬ জুলাই ২০১৭

বাংলাদেশ আগামী ১২ মাস বড় ধরনের জঙ্গি হামলার ঝুঁকির মধ্যে আছে বলে জানিয়েছে জেন'স৩৬০ ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরটি জার্নাল৷ তবে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলামের কথায়, ‘‘জঙ্গিদের এখন আর সেই শক্তি নেই৷''

Bangladesch Dhaka Bombenanschlag Polizei
ছবি: picture-alliance/AP

জেনস৩৬০তাদের এক অনলাইন প্রতিবেদনে বলছে যে, ২০১৬ সালের পর বাংলাদেশে দুর্বল হয়ে পড়লেও জঙ্গিরা আবারো ব্যাপক হামলা এবং আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে বাংলাদেশে৷ ভবিষ্যতে তারা ছোট ছোট হামলার ঝুঁকিতে না গিয়ে পরিবর্তে বড় আকারের হামলা চালাতে পারে৷ আর তাদের এই হামলায় সিকিউরিটি ফোর্স এবং বিদেশিরা টার্গেট হতে পারে৷ শুধু তাই নয়, তারা আত্মঘাতী হামলার পাশাপাশি ইমপ্রোভাইস্ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ব্যবহার করতে পারে৷ আগামী একবছর বাংলাদেশ তাই জঙ্গি হামলার ঝুঁকির মধ্যে আছে৷

হোলি আর্টিজান হামলার পর বাংলাদেশে জঙ্গি বিরোধী অভিযান নতুন মাত্রা পায়৷ নব্য জেএমবি-র তামিম চৌধুরী, সরোয়ার জাহান মানিক, মারজানসহ ৬৮ শীর্ষ জঙ্গি নিহতও হয়৷ কম-বেশি ২২টি বড় আকারের জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে দেশে৷ এ সব অভিযানে জঙ্গি নেতা মাওলানা আবুল কাসেম, জাহাঙ্গির আলম গান্ধি এবং সোহেল মাহফুজ ধরা পড়ে৷

’বড় ধরনের কোনো থ্রেট এখনো নেই’

This browser does not support the audio element.

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নব্য জেএমবি-র মজলিসে শুরার অধিকাংশ সদস্য হয় ধরা পড়েছে, নয় নিহত হয়েছে৷ তাদের চেইন অফ কমান্ড ভেঙে দেয়া হয়েছে৷ আমরা মনে করি না যে, তারা সংগঠিত হয়ে নতুন করে বড় ধরনের কোনো হামলা চালাতে পারবে৷''

তিনি বলেন, ‘‘আমরা থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট করে দেখছি এবং তাতে আমাদের সামনে বড় ধরনের কোনো থ্রেট এখনো নেই৷ সে কারণে শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা এবং কোনো বড় রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় আলাদা করে বাড়তি নিরাপত্তার প্রশ্ন দেখা যায়নি৷''

সাইফুল্লাহ ওজাকির মাধ্যমে দেশের বাইরে বাংলাদেশি জঙ্গিরা সংগঠিত হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘‘২০১৫ সালের পর তার আর কোনো খোঁজ আমাদের কাছে নাই৷ এর আগে তার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কিছু লোক ইরাক ও সিরিয়া গেছে৷''

সাইফুল্লাহ ওজাকির ব্যাপারে জঙ্গি বিষয়ক সাংবাদিক নুরুজ্জামান লাবু ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সাইফুল্লাহ ওজাকি একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম৷ তার আসল নাম সুজিত দেবনাথ৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তার বাড়ি৷ ২০১৪-১৫ সালে সেজাপানে বসে বাংলাদেশ থেকে যারা আইএস-এ যোগ দিতে ইরাক এবং সিরিয়া গেছেন, তাদের ওই দুই দেশে যেতে সহায়তা করেছিল৷''

‘নির্বাচনের আগে জঙ্গিরা একটা সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করতে পারে’

This browser does not support the audio element.

ওজাকি এখন কোথায় আছে তা এই দু'জনের কেউ জানাতে না পারলেও নুরুজ্জামান লাবু বলেন, ‘‘এই সময়ে আটক হওয়া জঙ্গিদের সঙ্গে আইএস-এর ভার্চুয়াল যোগাযোগ এখনো স্পষ্ট৷ তারা বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে সিক্রেট আইডি-র মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে৷ তারা নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টায় আছে৷''

হোলি আর্টিজান হামলার পর ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত জঙ্গিদের কোনা তৎপরতা চোখে পড়েনি৷ তারা গ্রেপ্তারও হয়নি৷ নুরুজ্জামান লাবু বলেন, ‘‘এরপর যারা ধরা পড়েছে, তারা স্বীকার করেছে যে ওই সময়ে তারা নতুন করে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল৷ নতুন করে তাদের রসদ সংগ্রহ করছিল৷''

তিনি আরো জানান, ‘‘গোয়েন্দারা সরাসরি স্বীকার না করলেও নানা সূত্রের সঙ্গে কথা বলে আমি জানতে পেরেছি যে আগামি নির্বাচনের আগে জঙ্গিরা আবারো একটা সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করতে পারে৷ তারা হামলা চালাতে পারে৷ আর সে কারণে আগামী এক বছর জঙ্গি হামলার ঝুঁকি থাকছে বাংলাদেশে৷''

হোলি আর্টিজান হামলার পর জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সময় জঙ্গিদের আত্মঘাতী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে৷ ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আত্মঘাতী হামলার চেষ্টাও হয়েছে৷ তাই নতুন হামলা হলে তার মধ্যে যে এই প্রবণতা থাকবে না, তা বলা যায় না৷

জঙ্গি নেতা মেজর জিয়াসহ আরো কিছু শীর্ষ জঙ্গি এখনো ধরা পড়েনি৷ তাছাড়া জঙ্গিরা নিজস্ব উৎস থেকে  বোমা বিস্ফোরক সংগ্রহেরও চেষ্টা করছে বলে জানা যায়৷ যদিও বলা হচ্ছে তাদের অর্থ এবং অস্ত্রের সাপ্লাই লাইন বন্ধ হয়ে গেছে৷ মনিরুল ইসলাম অবশ্য  বলেন, ‘‘মেজর জিয়া জেএমবি-র কেউ নয়৷ সে আনসার আল-ইসলামের সদস্য৷ নব্য জেএমবিকে সংগঠিত করার মতো কেউ আছে বলে আমরা মনে করি না৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ