মঙ্গলবারের পর বুধবারও রকেট হামলার খবর এলো ইরাকের রাজধানী বাগদাদ থেকে। তবে তাতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ফের রকেট হামলার খবর এল ইরাকের রাজধানী বাগদাদ থেকে। এবারের লক্ষ্য ছিল বাগদাদের গ্রিন জোন। অ্যামেরিকা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ওই গ্রিন জোনে অবস্থিত। মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, রকেট হামলা হলেও, ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই।
মঙ্গলবার ইরাকে অবস্থিত একাধিক মার্কিন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে এক ডজন ব্যালেস্টিক মিসাইল ছেড়ে ছিল ইরান। তাদের দাবি ছিল, এর ফলে অন্তত ৮০ জন মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। পরে মার্কিন প্রেসিডন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য সে কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ইরানের হামলায় একজনও মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়নি। বরং তিনি দাবি করেছেন, ইরানের হামলার চরিত্র দেখে বোঝা গিয়েছে যে, তারা পিছু হটেছে। ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের বাগদাদে রকেট হামলা উল্লেখযোগ্য।
সোলেইমানি হত্যা, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
ইরানের সেনা বাহিনীর শী্র্ষ কর্মকর্তা এবং কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসিম সোলেইমানির নিহত হওয়ার খবরে ইরানসহ কয়েকটি দেশে অ্যামেরিকাবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে৷ শুক্রবার বাগদাদে মার্কিন বিমান হানায় নিহত হন সোলেইমানি৷
ছবি: Reuters/WANA/N. Tabatabaee
মার্কিন পতাকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় কাসিম সোলেইমানির নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ইরানের রাজধানী তেহরানে মার্কিন পতাকা পুড়িয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা৷
ছবি: Reuters/WANA/N. Tabatabaee
পুড়ছে ইসরায়েলের পতাকাও
সোলেইমানি নিহতের ঘটনায় এশিয়ার মুলসমান অধ্যুষিত দেশ পাকিস্তানের লাহোরে বিক্ষোভ হয়েছে৷ বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের পাশপাশি ইসরায়েলের পতাকাতেও আগুন দেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. M. Chaudary
গুপ্তহত্যার প্রতিবাদ
সাধারণ ইরানীদের অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন কাসিম সোলেইমানি৷ তাকে হত্যা করার খবরে হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন৷
ছবি: Reuters/WANA/N. Tabatabaee
ছবি হাতে মাতম
তেহরানে বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খমেনির ছবি ছিল৷ যেন তারা খমেনির কাছে সোলেইমানি হত্যার বিচার চাইছেন৷
ছবি: AFP/T. Mustafa
পাকিস্তানে আরো প্রতিবাদ
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদসহ আরো কয়েকটি শহরে সোলেইমানি হত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে৷ বিক্ষোভে নারীরাও অংশ নিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/AP/B. K. Bangash
কাশ্মীরেও বিক্ষোভ
ভারতের কাশ্মীরেও কাসিম সোলেইমানি হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে৷
ছবি: Imago Images/ZUMA Press/F. Khan
দ্বিতীয় প্রভাবশালী নেতা
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খমেনির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন কাসিম সোলেইমানি দেশটির দ্বিতীয় প্রভাবশালী নেতা হিসেবে বিবেচিত হতেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Leaders Official Website
7 ছবি1 | 7
ইরাকের যৌথ বাহিনীর তরফ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, দু'টি রকেটই কম শক্তি সম্পন্ন ছিল। ফলে কোনও রকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে কারা এই রকেট হামলা চালালো তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইরান এখনও পর্যন্ত এই হামলার কথা স্বীকার করেনি।
‘যুক্তরাষ্ট্রের মুখে চড়’
কাসেম সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরান বুধবার প্রথম প্রহরে ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের একাধিক সেনাঘাঁটিতে ক্ষপণাস্ত্র হামলা চালায়৷ আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি ওই হামলাকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের মুখে চড়’ বলে বর্ণনা করেছেন৷
ছবি: Reuters/WANA/N. Tabatabaee
আইন আল-আসাদ সেনাঘাঁটি
ইরাকের পশ্চিমের আনবার প্রদেশে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর সেনাঘাঁটি আইন আল-আসাদে ইরানের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণ৷
ছবি: Reuters/Handout Iran Press
আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র
ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র অন্ধকার আকাশ চিরে ইরাকের দিকে ছুটে যাচ্ছে৷ কাসেম সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের অন্তত দুইটি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান৷
ছবি: Reuters/Handout Iran Press
হামলার চিহ্ন
ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের রাজধানী দুহোকে বড় বড় এসব গর্ত ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে হয়েছে৷ ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড়৷
ছবি: Reuters/A. Jalal
৮০ মার্কিন সেনা নিহতের দাবি
ইরানের সংবাদমাধ্যম ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৮০ মার্কিন সেনা নিহতের দাবি করেছে৷ এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি, আন্তর্জাতিন সংবাদমাধ্যমও কিছু জানায়নি৷
ছবি: Reuters/A. Jalal
ইরানিদের উল্লাস
মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ইরানের হামলার খবর প্রকাশের পর তেহরানের রাস্তায় জাতীয় পতাকা ও কাসেম সোলেইমানির ছবি হাতে সাধারণ মানুষকে উল্লাস করতে দেখা যায়৷
ছবি: Reuters/WANA/N. Tabatabaee
যুক্তরাষ্ট্রের মুখে চড়
ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলার পর তেহরানে এক বৈঠকে ওই হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের মুখে ইরানের চড় বলে বর্ণনা করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি৷
ছবি: picture-alliance/abaca/SalamPix
ফিলিস্তিনেও উল্লাস
ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর প্রকাশের পর ফিলিস্তিনিরাও রাস্তায় নেমে উল্লাস করে৷
ছবি: Reuters/WANA/N. Tabatabaee
আগে যেমন ছিল
গত ২৯ ডিসেম্বর আকাশ থেকে তোলা ছবিতে ইরাকের আনবার প্রদেশে আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/N. Nasser
8 ছবি1 | 8
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ইরাকে অবস্থিত ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিও এ কাজ করে থাকতে পারে। বস্তুত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট মুখে যাই বলুন, পেন্টাগন একটি বিষয় নিয়ে বেশ চিন্তিত। নিহত ইরানের জেনারেল কাসিম সুলেইমানি ইরাক এবং মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর হত্যার বদলা নিতে ওই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি কী ভাবে আক্রমণ চালাবে তা বলা কঠিন। এ দিনের রকেট হামলাও তাদের কাজ কি না, তা নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। অ্যামেরিকার ধারণা, ইরান সরাসরি যুদ্ধে না গেলেও ওই গোষ্ঠীগুলিকে ব্যবহার করে ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাবে। আরও একটি বিষয় অ্যামেরিকাকে ভাবাচ্ছে। ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে মিসাইল হামলা আটকানোর মতো রসদ নেই। মিসাইল ডিফেন্স টেকনোলজি সেখানে এই মুহূর্তে লাগানো কঠিন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে মঙ্গলবার ইরানের হামলায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে কোনও রকম ক্ষতি হয়নি, এমনটা ভাবার কারণ নেই বলেই বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য।