1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেলে দেওয়া উপকরণ দিয়ে দামি পোশাক

১৫ মে ২০২৫

কারো জন্য স্বতন্ত্র নকশার পোশাক তৈরির বিষয়টি ‘ওট কুটুয়র' নামে পরিচিত৷ এসব পোশাক সাধারণত অত্যন্ত দামি হয়ে থাকে৷

ফেলে দেওয়া উপাদান দিয়ে তৈরি পোশাক ‘ওট কুটুয়র'
ডিজাইনার কেভিন জার্মানিয়ে, প্যারিস অলিম্পিকের সমাপনী অনুষ্ঠানের জন্য ১২০টি পোশাক তৈরির দায়িত্ব পেয়েছিল ছবি: DW

সুইস ডিজাইনার কেভিন জার্মানিয়ে ফেলে দেওয়া উপাদান দিয়ে এসব পোশাক তৈরি করেন৷ তারপরও এগুলো অনেক দামে বিক্রি হয়৷ টেলর সুইফটের মতো সুপারস্টারেরা তার ডিজাইন করা পোশাক পরেন৷

জার্মানিয়ে বলেন, ‘‘এটা আমার মূল্যবোধ প্রকাশ করে৷ আমি আর অন্য কোনোভাবে এগুলো তৈরি করতে পারতাম না৷''

কিন্তু কীভাবে করেন? ‘‘সমাধান পেতে ইনোভেটিভ হওয়ার চেষ্টা করে৷ এই কালেকশনের সব উপকরণ পুনর্ব্যবহারযোগ্য৷ এবার আমি রাফিয়া পাম গাছ নিয়ে কাজ করেছি৷ পোশাক তৈরির আগে আমি উপকরণ সংগ্রহ করি৷ অর্থাৎ, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার বিপরীতে কাজ করি আমি৷ নকশা তৈরির পর উপকরণ কিনি না৷ আমি এমন উপকরণ খুঁজি, যা পুনর্ব্যবহার করতে পারবো এবং যা পাই, তাই দিয়েই পোশাক ডিজাইন করি,'' বলেন জার্মানিয়ে৷

১৯৯২ সালে হংকংয়ে যাওয়ার পর জার্মানিয়ের মাথায় প্রথম বর্জ্য পদার্থ দিয়ে ফ্যাশন তৈরির ধারণা জন্ম নেয়৷

জার্মানিয়ে জানান, ‘‘ডিওর এর জন গালিয়ানু আর জিভোনচির রিকার্ডো টিশির কাজ দেখে আমি বড় হয়েছি৷ মুক্তা দিয়ে তৈরি তাদের সৃষ্টিগুলো দারুণ ছিল৷ এরপর যখন আমি হংকং যাই, তখন এমন সব পুঁতি দেখেছি যেগুলোকে বর্জ্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল৷ তখন মনে মনে ভাবলাম, লিনেন আর পুরনো চাদরের মতো কাপড় ছাড়াও অন্য কিছুও পুনর্ব্যবহার করা যায় - আসলে সবকিছুই পুনর্ব্যবহার করা যায়৷ বর্তমানে আমরা এমন এক সমাজে বাস করছি যেখানে সবকিছুই ফেলে দেওয়া হয়৷''

কিন্তু ক্রেতারা কি পুনর্ব্যবহৃত উপকরণ দিয়ে তৈরি এসব পোশাকের জন্য অনেক অর্থ খরচ করতে আগ্রহী?

ফ্যাশন সাংবাদিক গডফ্রে ডিনি বলেন, ‘‘আজকাল সবাই পলিটিক্যালি কারেক্ট হতে চায়৷ হয়তো সব কোটিপতির ক্ষেত্রে এই কথাটা সত্য নয়৷ তবে আমি রিসাইক্লিং, আপসাইক্লিং আর সাসটেনেবিলিটির সঙ্গে আছি, আমার এমন পোশাক আছে- এই কথা বলতে পারাটা এখন ফ্যাশন জগতে অনন্য বিবৃতি হিসেবে দেখা হচ্ছে৷''

জার্মানিয়ের ক্রেতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সুপারস্টারের নাম আছে৷ যেমন মার্কিন গায়িকা টেলর সুইফট, জার্মান মডেল হাইডি ক্লুম আর ব্রাজিলিয়ান অভিনেত্রী জেসিকা কায়ান৷ ‘‘এটা প্রমাণ করে যে, ওট কুটুয়র টেকসই হতে পারে এবং এতে বিভিন্ন ধরণের উপকরণ ব্যবহার করা যেতে পারে৷ এটা বিশ্ব ও আমাদের গ্রহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ জার্মানিয়ে এই পোশাকগুলো নিখুঁতভাবে তৈরি করেন,'' বলেন কায়ান৷

প্যারিসের ফ্যাশন জগতে হালের প্রিয় ব্যক্তিত্ব হলেন কেভিন জার্মানিয়ে৷ গতবছর প্যারিস অলিম্পিকের সমাপনী অনুষ্ঠানের জন্য ১২০টি পোশাক তৈরির দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু, ঠিক কোন বিষয়টি তাকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে?

গডফ্রে ডিনি বলেন, ‘‘আপসাইক্লিং, রিসাইক্লিং এবং পুরো কাপড় নতুন করে তৈরি- ডিজাইনাররাএখন পর্যন্ত সস্তা আর তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে বর্জ্য উপকরণ ব্যবহার করেছেন৷ কুটুয়রের ক্ষেত্রে কেউ এমনটা করেননি৷ সে কারণে জার্মানিয়ে অনন্য৷ দ্বিতীয়ত, অনেকদিন ধরে কোনো সুইস কুটুয়র ডিজাইনার দেখা যায়নি৷ জার্মানিয়ে অনেকটা নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করে গেছেন৷ কোনো বড় বিনিয়োগকারী কিংবা সম্পদশালী পিতা তার পেছনে নেই৷''

তাইতো ফ্যাশন লেবেল ‘জার্মানিয়ে' এখনো একটি সুইস পারিবারিক ব্যবসা৷ তার অনেক আত্মীয় এতে সাহায্য করেন৷ এমনকি তার দাদিও পোশাক বুনেন৷কেভিন জার্মানিয়ের দাদি তার প্রথম ওট কুটুয়র শোতে বুননের কাজ করেছিলেন৷ডাস্টবিন থেকে পাওয়া জিনিস দিয়ে তৈরি অত্যাধুনিক ফ্যাশন: অরিজিনাল, টেকসই আর সফল৷

দামি পোশাকের উপকরণ ফেলে দেওয়া উপাদান

04:28

This browser does not support the video element.

কাটিয়া লিয়ের্শ/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ