যত বেশি টাকা, তত বেশি নম্বর। নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় কীভাবে নম্বর দেওয়া হতো, তা আদালতকে জানালো সিবিআই।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার আলিপুর নগর দায়রা আদালতে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল। সেখানে আদালতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ডায়েরি পেশ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবীর দাবি, পরীক্ষার্থীদের নম্বর বাড়ানো হতো টাকার অঙ্কের উপর। যে যত বেশি টাকা দিত, তার নম্বরও তত গুণ বাড়ানো হতো।
শান্তনু এবং অয়নের বিরাট সম্পত্তি
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও অয়ন শীল। ডিডাব্লিউয়ের ক্যামেরায় তাদের সম্পত্তির ছবি।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
শান্তনুর বাড়ি
১০ মার্চ তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করে ইডি। ৩৭ ঘণ্টা জেরা করার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শান্তনুর কাছে বিরাট সম্পত্তির হদিশ পায় ইডি।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
শান্তনুর ফোনের দোকান
জিরাটে শান্তনুর ফোনের দোকান। এই দোকানে শান্তনু বসতেন। শান্তনুর প্রতিবেশী দোকানদারের অভিযোগ, রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর দোকানে আর খুব বেশি আসতেন না শান্তনু।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
শান্তনুর ধাবা
বলাগড়ে এই ধাবাটি চালাতেন শান্তনু। ইডি-র কর্মকর্তারা এই ধাবাতেও তল্লাশি চালিয়েছে। এই ধাবা কীভাবে শান্তনু কিনেছিলেন, কোথা থেকে টাকা এসেছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
শান্তনুর কাকার বাড়ি
বলাগড়ে শান্তনুর কাকার বাড়ি। এই বাড়িতেও আসতেন শান্তনু। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, এই বাড়িতেও শান্তনুর বিনিয়োগ ছিল।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
শান্তনুর রিসর্ট
বলাগড়ে এই রিসর্ট তৈরি করেছিলেন শান্তনু। এই রিসর্টে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বলাগড় থানা
শান্তনুকে এই থানাতে এনেই প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
শান্তনুর স্ত্রীয়ের বাড়ি
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী এখন এই বাড়িতে আছেন। এই বাড়িতেও শান্তনুর নিয়মিত যাতায়াত ছিল।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
অয়নের অফিস
শান্তনুর সূত্র ধরেই ব্যবসায়ী অয়ন শীলকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তিনিও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। অয়নের সঙ্গে বীরভূমের নেতা ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের যোগাযোগ ছিল বলে পুলিশের ধারণা। সল্টলেকে এই অফিসে বসতেন অয়ন। থাকতেনও এখানে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
অয়নের গাড়ি
অয়ন গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাড়ির সামনে এখনও পড়ে তার বিলাসবহুল গাড়ি।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
9 ছবি1 | 9
উদাহরণ হিসেবেসিবিআই বলেছে, ৭০ শতাংশ নম্বর পেয়ে কেউ যদি তা ৭২ শতাংশ করতে চাইতো, তাহলে টাকা লাগতো তুলনামূলক কম। কিন্তু ৬৫ থেকে ৭২ শতাংশ নম্বর নিয়ে যেতে হলে টাকা দিতে হতো অনেক বেশি। কোন নম্বর থেকে কোন নম্বরে পৌঁছাতে গড়ে কত টাকা করে দিতে হতো, তার একটি প্রাথমিক হিসেব আদালতের কাছে পেশ করেছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের দাবি, পরীক্ষা দিয়ে কে কত নম্বর পাচ্ছে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, টাকা দিয়ে কে কত নম্বর পাচ্ছে, তার উপরেই চাকরি নির্ভর করতো। টাকার অঙ্কই ঠিক করে দিত মার্কশিট।
এদিন অবশ্য বিচারক সিবিআই-কে বলেছেন, সময় সময় অভিযোগগুলি বদলে যাচ্ছে। মূল অভিযোগ কী, তা বোঝা যাচ্ছে না। বস্তুত, তার পরেই টাকা দিয়ে নম্বর কেনার বিষয়টি আরো বিস্তারিতভাবে জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী।
এদিকে, বিচারকের কাছে চিঠি দিয়ে ধৃত কুন্তল ঘোষ জানিয়েছেন, ইডি-র অফিসাররা তাকে অভিষেকের নাম বলতে চাপ দিচ্ছেন। আদালতে পেশের সময় কার্যত সাংবাদিক বৈঠকের ঢঙে একথা জানিয়েছেন কুন্তল।