ঘৃণা ছড়ায় এমন মন্তব্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মুছতে ব্যর্থ হলে সামাজিক মাধ্যমগুলোকে ৫০ মিলিয়ন পর্যন্ত জরিমানা করার সুযোগ রেখে শুক্রবার জার্মান সংসদে একটি আইন পাস হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
ফলে ‘রিপোর্ট’ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ‘হেট স্পিচ’ না মুছলে এবং সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে অন্যান্য আপত্তিকর কন্টেন্ট ব্লক না করলে এই জরিমানার মুখে পড়বে ফেসবুক, টুইটারের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলো৷
এই আইনের আওতায় হেট স্পিচ ছড়ানো ব্যক্তির পরিচয় জানাতে বাধ্য থাকবে সামাজিক মাধ্যমগুলো৷ এছাড়া শাস্তিযোগ্য কন্টেন্ট সম্পর্কে অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়াও সহজ করতে বলা হয়েছে৷
ইউরোপের মধ্যে জার্মানি প্রথম দেশ হিসেবে অনলাইন হেট স্পিচের বিরুদ্ধে এমন আইন করলো৷
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইউরোপে শরণার্থীদের ঢল নামলে অনলাইনে বিদেশিদের প্রতি হেট স্পিচ, অর্থাৎ ঘৃণাবাচক মন্তব্য অনেক বেড়ে যায়৷ বিষয়টি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছালে জার্মান সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে সেসব প্রতিরোধে আরো উদ্যোগী হবার আহ্বান জানায়৷
কিন্তু জার্মান সরকার এক পর্যায়ে বুঝতে পারে, আইন পরিপন্থি কন্টেন্ট মুছে ফেলতে যথেষ্ট তৎপরতা দেখাচ্ছে না ফেসবুক এবং টুইটারের মতো জনপ্রিয় অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো৷ বিচারমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, ‘‘মিথ্যা তথ্য ও উত্তেজনা ছড়ায় এমন সব বক্তব্য প্রসারে সহায়তার হাত থেকে সামাজিক মাধ্যমগুলো নিজেদের মুক্ত করতে পারেনি৷’’
মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও ইন্টারনেট কোম্পানিগুলো মনে করছে, এই আইনের কারণে সেন্সরশিপ প্রক্রিয়া বেসরকারীকরণ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে৷ বাক স্বাধীনতার উপর বেশ প্রভাব পড়ারও আশংকা করছেন তাঁরা৷
উল্লেখ্য, মানহানি, অপরাধে জড়িয়ে পড়তে কাউকে উসকানি দেয়া, সন্ত্রাসের হুমকি দেয়া – এসব বিষয়ে সারা বিশ্বের মধ্যে জার্মানির আইন বেশ কঠোর৷ হলোকস্ট অস্বীকার করা কিংবা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর জন্য জেল, জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এপি)
কোন বিশ্বনেতার ফেসবুক ফলোয়ার বেশি?
ফেসবুক ফলোয়ারের তালিকার গোড়াতেই আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ দ্বিতীয় স্থানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তবে মোদীর চেয়ে ট্রাম্প অনেক পিছিয়ে৷
ছবি: Getty Images/K.Frayer
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান বার্সন-মার্স্টেলারের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত পেজে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা চার কোটি৷ ভারতের ১২০ কোটির জনসংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে তা খুব আশ্চর্যজনক নয়৷ তবুও ফেসবুক প্রধান সাকারবার্গ সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলো কিভাবে সরকারকে জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে সাহায্য করে, তার দৃষ্টান্ত হিসেবে মোদীর কথা বলেছেন৷
ছবি: Getty Images/K.Frayer
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত পেজের ফলোয়ার দুই কোটি৷ তাঁর বিখ্যাত টুইটার অ্যাকাউন্টে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা আরো বেশি- আড়াই কোটি৷ জরিপে ২০১৬ সালে বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, এছাড়া মন্ত্রীদের ৫৯০টি ফেসবুক পাতা বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে৷ এজন্য ফেসবুকের ক্রাউডট্যাঙ্গল টুল থেকে পাওয়া সামগ্রিক তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Kamm
ওবামা প্রতিযোগিতায় থাকলে কী হতো?
বারাক ওবামা আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নন, কাজেই তিনি সেই অর্থে সক্রিয় বিশ্বনেতা নন৷ তবু আজও পাঁচ কোটি চল্লিশ লাখ মানুষ ফেসবুকে তাঁর ফলোয়ার, যা কিনা মোদী আর ট্রাম্পের ফলোয়ারের যোগফলের প্রায় সমান৷
ছবি: picture alliance/dpa/T.Maury
জর্ডানের রানি রানিয়া
জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর রানি রানিয়ার ফেসবুক ফলোয়ারের সংখ্যা এক কোটির বেশি, যা কিনা জর্ডানের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি৷ পশ্চিমি মিডিয়াতেও রানি রানিয়ার জনপ্রিয়তা কিছু কম নয়৷
ছবি: picture alliance/dpa/Balkis Press
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান
ফেসবুকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ানের ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় নব্বই লাখ৷ ফলোয়ারের হিসেবে গত বছর তিনি ছিলেন তৃতীয় স্থানে, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং এ বছরের বিজয়ী নরেন্দ্র মোদীর ঠিক পরেই৷
ছবি: Reuters/T. Schmuelgen
মিশরের প্রেসিডেন্ট আল সিসি
প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসি’র ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় সত্তর লাখ৷ বিশ্বনেতারা কত ঘন ঘন কন্টেন্ট পোস্ট করেন আর কী পরিমাণ লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার পান, রিপোর্টে সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. El-Shahed
কাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন
নেতারা জনগণের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কী ধরনের আদানপ্রদান করেন, রিপোর্টে তা-ও বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে৷ কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন-এর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ইন্টারঅ্যাকশনের সংখ্যা পাঁচ কোটি আশি লাখ৷ এক্ষেত্রে তিনি মোদীর পরেই তৃতীয় স্থানে৷