ফেসবুকের বিভিন্ন অ্যাপ কীভাবে বাক-স্বাধীনতায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে, তা প্রকাশ করেছে বেশ কিছু গণমাধ্যম৷ অভ্যন্তরীণ তথ্য ফাঁস হওয়ায় নতুন করে বিতর্কিত হয়ে উঠেছে ফেসবুক৷
বিজ্ঞাপন
সোমবার বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফেসবুক নিয়ে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়৷ ফেসবুকের সাবেক প্রোডাক্ট ডেভেলপার ফ্রান্সেস হাউগেনের সংকলনে থাকা সংস্থাটির গোপন তথ্য এখন সারা বিশ্বের সামনে৷
সোমবার যুক্তরাজ্যে একটি সংসদীয় কমিটির সামনে সাক্ষ্যদান করেন হাউগেন৷ ওই কমিটি ফেসবুকের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া তথ্যের প্রভাব ও তার ক্ষতির দিকটি যাচাই করছে৷
নিজের বক্তব্যে হাউগেন জানান কীভাবে ফেসবুক অনলাইনে হেট স্পিচ বা ঘৃণামিশ্রিত কথোপকথনকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে৷ এছাড়া নির্দিষ্ট অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের রাজনৈতিক চরমতার দিকে ঠেলে দেয় বলে জানান হাউগেন৷
তিনি বলেন, ‘‘কোনো বামপন্থি মনোভাবাপন্ন মানুষকে অতিবাম চিন্তার দিকে ও একজন সাধারণ ডানপন্থি ব্যক্তিকে আরো চরম ডানপন্থার দিকে ঝুঁকিয়ে দেয় ফেসবুক৷''
এর আগে এ মাসেই হাউগেন যুক্তরাষ্ট্রে সেনেটেরসামনে উপস্থিত হয়ে ফেসবুকের নানা ক্ষতিকর দিক সম্বন্ধে নিজের বক্তব্য রাখেন৷ সেখানে তিনি জানান কীভাবে চাকরি ছাড়ার আগে লুকিয়ে নানা অভ্যন্তরীণ নথি সাথে নিয়ে আসেন তিনি৷
পরবর্তী প্রজন্মের ইন্টারনেট ‘মেটাভার্স’
ফেসবুকের মার্ক জাকারবার্গ মেটাভার্সকে বলছেন, পরবর্তী প্রজন্মের ইন্টারনেট৷ মাইক্রোসফট টিমসের মতো প্ল্যাটফর্ম আর ফোর্টনাইট, মাইনক্রাফট, রোব্লকসের মতো ভিডিও গেমে এখনই সেই ইন্টারনেটে স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে৷
ছবি: Andre M. Chang/ZUMAPRESS/picture alliance
মেটাভার্স কী?
আপনার একটি সাধারণ দিনের কথা ভাবুন৷ সারাদিন অফিসে একের পর এক মিটিং করলেন৷ এক ফাঁকে এক সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলে তার সঙ্গে সন্ধ্যায় কনসার্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেন৷ এরপর কনসার্ট শেষ করে বাসায় ফেরার পথে দোকান থেকে টি-শার্ট কিনলেন৷ কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে, এর সবকিছুই আপনি করলেন ঘরে বসে! হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন, ঘরে বসে৷ এটাই মেটাভার্স৷
ছবি: Andre M. Chang/ZUMAPRESS/picture alliance
কীভাবে কাজ করে?
ফেসবুকের মার্ক জাকারবার্গ মেটাভার্সকে বলছেন, পরবর্তী প্রজন্মের ইন্টারনেট৷ গত আগস্ট মাসে ফেসবুক ‘হরাইজন ওয়ার্করুমস’ চালু করেছে৷ এর মাধ্যমে ‘ওকুলাস কোয়েস্ট টু’ হেডসেট ব্যবহার করে একটি অফিসের কর্মীরা ঘরে বসে ভার্চুয়ালি মিটিং করতে পারেন৷ উপরের ছবিটা দেখলে কিছুটা ধারনা পাওয়া যাবে৷ আপনি যদি এতে অংশ নিতে চান তাহলে আপনার ‘ভার্চুয়াল অবতার’ তৈরি করতে হবে৷ ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ব্যবহার করে এটা সম্ভব হবে৷
ছবি: Facebook/dpa/picture alliance
এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে
মেটাভার্সের বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে৷ তবে ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্স গত জুলাই মাসে জানিয়েছে, ২০২৪ সাল নাগাদ মেটাভার্সের বাজারমূল্য ৮০০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে৷ মেটাভার্সের সম্ভাবনা অনুমান করে ফেসবুক, মাইক্রোসফট, এপিক গেমসের মতো কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যে এই খাতে বিনিয়োগ শুরু করে দিয়েছে৷ তবে এটি পুরোপুরি সফল হতে বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে সমন্বয় হতে হবে, যা একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে৷
ছবি: imago/Westend61
গেমাররা এখনই মেটাভার্সের মধ্যে আছেন
সেকেন্ড লাইফ (ছবি), ফোর্টনাইট, মাইনক্রাফট ও রোব্লকস ভিডিও গেমগুলো বিশ্বব্যাপী অনেক জনপ্রিয়৷ সেখানে গেমাররা একসঙ্গে কাজ করেন, একজন আরেকজনকে সহায়তা করেন, বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেন এবং বাস্তব জগতের টাকা দিয়ে ভার্চুয়াল পণ্য ও সেবা কেনেন৷ এসবকিছুই মেটাভার্সের অংশ৷ এছাড়া মাইক্রোসফট টিমস ও স্লেকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোও মানুষকে মেটাভার্সের ধারনার সঙ্গে পরিচিত করে তুলছে৷
ছবি: imago/Friedrich Stark
এনএফটি প্রযুক্তি
মেটাভার্সের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে ‘নন-ফানজিবল টোকেন’ বা এনএফটি৷ এ বছরের শুরুত কয়েকটি ছবি দিয়ে তৈরি একটি কোলাজের জেপিজি ফাইল ৫৮৯ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে৷ ইতিমধ্যে ডিজিটাল রিয়েল এস্টেট ও প্রোপার্টির এনএফটির বেচাকেনা শুরু হয়েছে৷ আর্ট ডিলার ‘সদবিস’ সম্প্রতি একটি ডিজিটাল রিয়েল এস্টেট কিনে সেখানে ভার্চুয়াল আর্ট শো করেছে৷
ছবি: DW
ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার
এনএফটি কেনা ও এর মালিকানার হিসাব এথারিয়াম ব্লকচেইনে রাখা হচ্ছে৷ এটা বিটকয়েনের পর সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্স ইথারের নেটওয়ার্ক৷ ফলে ভবিষ্যতে মেটাভার্সের মূল অবকাঠামো হয়ে উঠতে পারে এনএফটি ও এথারিয়াম৷
ছবি: Colourbox
6 ছবি1 | 6
কী রয়েছে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে?
মার্কিন সংবাদসংস্থা সিএনএন-এর একটি প্রতিবেদনে ফেসবুকের বিরুদ্ধে তিনটি ধাপে মানুষকে শোষণ করার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ পাশাপাশি, মানবপাচার রোধে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিতে ফেসবুক অক্ষম হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে৷ সিএনএন-এর মতে, ফেসবুক শুধু ব্যবসায়িক ও সামাজিক চাপের মুখে পড়েই মানবপাচারের অভিযোগ থাকা অ্যাকাউন্টগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে৷
ওয়াশিংটন পোস্টের মতে, ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গের ব্যক্তিগত সম্মতিতেই ভিয়েতনামে সরকারবিরোধী ব্যক্তিত্বদের আলাপচারিতা সেন্সর করা হয়৷ এমনটা করতে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির অনুরোধ ছিল বলে জানাচ্ছে এই প্রতিবেদন৷
সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গ বলছে, যে হারে ফেসবুকের বিভিন্ন মাধ্যমে কিশোর কিশোরী ব্যবহারকারীদের সংখ্যা কমছে, তা সরাসরি বিজ্ঞাপনদাতাদের জানায়নি ফেসবুক৷
মানবপাচার ও ফেসবুক
ফেসবুকেরবিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে মানবপাচারের সাথে জড়িতদের এই অ্যাপের ব্যবহারের দিকটি৷ অভ্যন্তরীণ নথিগুলি জানাচ্ছে, ২০১৮ সাল থেকেই এই সমস্যা সম্পর্কে জানতেন ফেসবুকের কর্তারা৷ এক বছর পর, বিবিসি এবিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যার পর অ্যাপলের মতো সংস্থা নিজেদের পণ্য থেকে ফেসবুকের সমস্ত অ্যাপ সরিয়ে নেবার কথা ভাবে৷
সেই সময় ফেসবুক তাদের নিজস্ব পরিসরে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয় ও এই ধরনের কন্টেন্ট তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলে৷ কিন্তু হাউগেনের নথিগুলি বলছে, বিবিসি বা অ্যাপলের মতো বড় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবসায়িক হুমকি আসার আগে পর্যন্ত কিছুই করেনি ফেসবুক৷
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে হাউগেন এর আগে লিখেছিলেন, ‘‘ফেসবুকের বিনিয়োগকারীরা নিশ্চয় জানতে আগ্রহী হবেন যে এক পর্যায়ে ফেসবুক অ্যাপলের পণ্যে তাদের উপস্থিতি হারাতে বসেছিল, কারণ তারা মানবপাচার ঠেকাতে পারছিল না৷''
এরপরেও সিএনএন তাদের প্রতিবেদনে এমন কিছু ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলের তথ্য তুলে ধরেছে, যেখানে এখনও নিয়মিত মানবপাচার ও মানুষ কেনাবেচা সম্পর্কিত তথ্য ভাগ করা হয়৷
এক্ষেত্রেও সিএনএন তাদের প্রতিবেদনে যে অ্যাকাউন্টগুলির কথা বলে, ঠিক সেই অ্যাকাউন্টগুলিকেই সরিয়ে ফেলে ফেসবুক৷ ফিলিপাইন্সের মতো দেশে, যেখানে নারী পাচারের বাড়বাড়ন্ত রয়েছে, ইন্সটাগ্রামে নেই কোনো বাড়তি নিরাপত্তার সুযোগ৷
শুধু তাই নয়, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সভার আগে ফেসবুক তাদের ‘ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট' প্রকাশ করে৷ সেখানে বলা হয় যে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট দুই হাজার ২০০টি পোস্ট ব্লক করে ফেসবুক৷ একই বছরের জানুয়ারি থেকে জুনমাসে এই সংখ্যা মাত্র ৮৩৪৷
ভুয়া তথ্য বা খবর বুঝব কীভাবে?
গবেষণা বলছে, করোনা ভাইরাস নিয়ে ছড়ানো ভুয়া তথ্যের কারণে ২০২০ সালের প্রথম তিন মাসে বিশ্বে অন্তত ৮০০ জন বা তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন৷ ফলে খবর, তথ্য শেয়ারের সময় সতর্ক থাকতে হবে৷ কিন্তু কীভাবে?
ছবি: Facebook
তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুন
ভুয়া তথ্য ও খবর দ্রুত খুঁজে পাবার উপায় জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের ফ্যাক্ট-চেকিং ওয়েবসাইট ‘ফুল ফ্যাক্ট’৷ ফেসবুকে কিছু শেয়ারের আগে নিজেকে তিনটি প্রশ্ন করার পরামর্শ দিয়েছে তারা৷
প্রথম প্রশ্ন
খবরটি কে দিয়েছে? প্রথমে নিজেকে এই প্রশ্নটিই করুন৷ সূত্র বিশ্বস্ত না হলে সেটা শেয়ার করবেন না৷ আর সূত্র নতুন হলে তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন৷
ছবি: imago images / ZUMA Press
দ্বিতীয় প্রশ্ন
কি যেন নেই? লিংকে ঢুকে পুরো খবরটা পড়ুন৷ ছবি, ব্যবহার করা নম্বর, কারও মন্তব্য এসব খেয়াল করুন৷ অনেক সময় সূত্রের উল্লেখ না করে মন্তব্য ব্যবহার করা হয় কিংবা কনটেক্সট ছাড়াই মন্তব্য দেয়া হয়৷ খবরের সঙ্গে থাকা ছবি কিংবা ভিডিও ভুয়া হতে পারে৷ ভিডিওতে ব্যবহৃত কণ্ঠ পরিবর্তিত থাকতে পারে৷
ছবি: Facebook/G.M. Masud Rana
তৃতীয় প্রশ্ন
খবরটি পড়ার পর আপনি কেমন অনুভব করছেন? যারা ভুয়া খবর ছড়ায় তারা মানুষের অনুভূতি নিয়ে খেলতে চায়৷ তারা জানে আপনাকে রাগিয়ে তুলতে পারলে কিংবা চিন্তিত করতে পারলে আপনি খবরটিতে ক্লিক করবেন৷ তাই শেয়ারের আগে নিজের অনুভূতিটা জানার চেষ্টা করুন৷ ভাল অনুভব করলে শেয়ার করুন৷ আর খটকা লাগলে অন্যান্য সূত্র দেখে যাচাইয়ের চেষ্টা করুন৷ ছবিতে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের শেয়ার করা একটি ভুয়া খবর দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Facebook
ফ্যাক্ট-চেকিং ওয়েবসাইট
ভারতের ফ্যাক্ট-চেকিং ওয়েবসাইট ‘বুম লাইভ’কে বাংলাদেশের ফেসবুক কমিউনিটিতে বিদ্যমান ছবি ও ভিডিওর যথার্থতা পর্যালোচনার দায়িত্ব দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ৷ ২০২০ সালের ১৯ এপ্রিল থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে৷ www.boombd.com/ ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ফেসবুকেও (https://www.facebook.com/Boombangladeshnews) তাদের কাজ দেখা যায়৷
বিডি ফ্যাক্ট চেক
২০১৭ সালে কাজ শুরু করে এই ওয়েবসাইট (https://bdfactcheck.com/)৷ ফেসবুকেও তাদের একটি পাতা (https://www.facebook.com/bdfactcheck/) আছে৷ আলোচনা সভা, সংবাদ সম্মেলন, জনসভা ও গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই করে বিডি ফ্যাক্ট চেক৷ এছাড়া সামাজিক মাধ্যমে যেসব ভুয়া সংবাদ, ছবি কিংবা ভিডিও ভাইরাল হয় সেগুলোরও ফ্যাক্টচেক করে তারা৷
Fact খুঁজি
এটি বাংলাদেশের আরেকটি ফ্যাক্ট-চেক করা ওয়েবসাইট৷ http://factkhuji.org/ ওয়েবসাইটের পাশাপাশি তাদের একটি ফেসবুক পাতাও (https://www.facebook.com/factkhuji/) আছে৷
সতর্ক হন
করোনা ভাইরাস নিয়ে ছড়ানো ভুয়া তথ্যের কারণে ২০২০ সালের প্রথম তিন মাসেই বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে ৮০০ জন বা তার চেয়েও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে ‘অ্যামেরিকান জার্নাল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন’-এ প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে৷ ফলে সামাজিক মাধ্যমে খবর বা তথ্য শেয়ারের আগে সবার একটু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Wire/SOPA Images/A. K. Sing
8 ছবি1 | 8
নতুন প্রজন্ম ও ফেসবুক
ফেসবুকের উচ্চপদস্থ কর্মী ক্রিস কক্সের একটি প্রতিবেদন ফাঁস হলে জানা যায় কীভাবে টিনএজার ও অল্পবয়সিদের মধ্যে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে ফেসবুক৷
প্রতি বছর, আগের বছরের তুলনায় টিনএজাররা ১৬ শতাংশ কম সময় ফেসবুক ব্যবহার করে কাটান৷ অন্যান্য তরুণদের মধ্যে পাঁচ শতাংশ কম সময় ফেসবুকের পেছনে খরচ হচ্ছে৷
শুধু তাই নয়, আগের চেয়ে লক্ষণীয় হারে কমছে ফেসবুকের সার্বিক ব্যবহারকারীদের সংখ্যাও৷ দেখা যাচ্ছে যে তরুণদের কাছে ‘ফেসবুকের কন্টেন্ট নেতিবাচক, ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর' বলে মনে হয় এবং অন্য অনেকেই এখন আর নিজের তথ্য নির্ভয়ে ফেসবুকে ভাগ করে নিতে পারেন না৷
ব্লুমবার্গের মতে, ফেসবুক বর্তমানে বিশ্বের বিজ্ঞাপন বাজারের ২৩ দশমিক ৭ শতাংশের অধিকারী হওয়ায় এই সব স্পর্শকাতর বিষয় ফেসবুক কর্তারা তাদের বিনিয়োগকারীদের সব সময় খোলাখুলিভাবে জানান না৷ অন্যদিকে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন থেকে ওঠা প্রশ্নসহ বাকি সমস্ত অভিযোগ নিয়ে ওঠা প্রশ্নকে সন্তর্পণে এড়িয়ে গেছে ফেসবুক৷