1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুকে নোংরামি, গ্রেপ্তার

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়
২০ ডিসেম্বর ২০১৭

ফেসবুকে ক্রমাগত নোংরা, অশালীন এবং কুরুচিকর পোস্টের দায়ে এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের সাইবার সেল৷

08.2016 Crime Fighters 2 Click On the Link (Cyber Kriminalität)

শুরু হয়েছিল বাংলা সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের জড়িয়ে প্রথমে কুরুচিকর রসিকতা, তারপর চরম অশ্লীল পোস্ট দিয়ে৷ ফেসবুকের মতো খোলা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ফ্যান ফলোয়িংও জুটেছিল ‘‌স্পেসিফায়েড তারকাটা'‌ নামে ওই পেজের৷ এ নিয়ে সেই ফেসবুকেই বিভিন্নজন প্রতিবাদে সরব হন৷ কিন্তু সেসব প্রতিবাদ, আপত্তির তোয়াক্কা করেনি ঐ পাতার ‘অ্যাডমিন'৷ বরং অশ্লীল এবং কুরুচিকর পোস্টের তীব্রতা বেড়েছিল বই কমেনি৷ তখন সরাসরি ফেসবুক অ্যাডমিন এবং কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখায় অভিযোগ জানানো হয় পেজটির বিরুদ্ধে৷ বুধবার, কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজেই ঘোষণা করা হলো ‘স্পেসিফায়েড তারকাটা' পেজের আড়ালে থাকা অ্যাডমিনের গ্রেপ্তারির খবর৷

সেই খবরে পুলিশ জানিয়েছে — ‘‌অভিযোগের আগেই অবশ্য পেজটির বিকৃতমনস্ক পোস্টগুলি নজরে এসেছিল আমাদের সাইবার সেলের৷ অফিসাররা আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন পেজটির সঙ্গে যে বা যারা যুক্ত, তাদের খুঁজে বার করার৷ পেজ অ্যাডমিনকে চিহ্নিত করার কাজটি সহজসাধ্য ছিল না৷ নিজের পরিচয় গোপন রাখতে চেষ্টার কসুর করেনি অ্যাডমিন৷ বুঝতে অসুবিধে হয়নি আমাদের, পেজের নাম ‘‌তারকাটা'‌ হলে কী হবে, সাইবার-দুনিয়ার খুঁটিনাটি সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নেপথ্যে থাকা ব্যক্তি৷'

পুলিশের এই পর্যবেক্ষণ একেবারেই অভ্রান্ত ছিল৷ এখনও গুগল-এ ‘সার্চ' দিলে ‘স্পেসিফায়েড তারকাটা' পেজের যে লিংক পাওয়া যাচ্ছে, তাতে ‘‌আইপি অ্যাড্রেস'‌ দেখা যাচ্ছে লন্ডনের৷ যদিও শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ কলকাতা শহরতলির গড়িয়ার একটি মেস থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে মণিময় আইচ নামে পদার্থবিদ্যা তৃতীয় বর্ষের ঐ ছাত্র, যে ছিল তারকাটার মূল পান্ডা৷ মেদিনীপুরের ছেলে মণিময় আইপি অ্যাড্রেস নিয়মিত বদলে বদলে নাগালের বাইরে থাকছিল, কিন্তু শেষরক্ষা হলো না৷ শেষ যে পোস্টটি নিয়ে নেট দুনিয়ায় প্রবল হইচই হয়, সেটি ছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে একটি অশ্লীল পোস্ট৷ মূলত এই নির্দিষ্ট পোস্টের প্রেক্ষিতেই, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে মণিময়কে৷ আপাতত তাকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হাজতে রাখার অনুমতি দিয়েছে আদালত৷ বাজেয়াপ্ত হয়েছে মণিময়ের মোবাইল ফোন এবং পেন ড্রাইভ৷

Priyam - MP3-Stereo

This browser does not support the audio element.

‘স্পেসিফায়েড তারকাটা' এবং ‘‌বাঁকুড়া মিমস্‌'‌ নামে আরও একটি অশ্লীল পোষ্ট নিয়ে ফেসবুকে যাঁরা সরব হয়েছিলেন, সাংবাদিক-ব্লগার প্রিয়ম সেনগুপ্ত তাঁদের অন্যতম৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে জানালেন, বাঁকুড়া মিমস ফেসবুকে শিশু-যৌনতা, ক্যানসার আক্রান্তদের নিয়ে রসিকতার মতো নিম্ন রুচির পোস্ট করতে আরম্ভ করলে বিষয়টা তাঁদের প্রথম চোখে পড়ে৷ এবং সেটা রুখতে তাঁরা একটা অভিনব সমবেত উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷ ওঁরা ঠিক করেছিলেন, যেহেতু মূলত ‘‌লাইক'‌ এবং প্রচারের জন্য এ ধরনের নোংরা পোস্ট করা হয়, যারা এমন পোস্ট লাইক করবে বা ‘বাঁকুড়া মিমস্‌'-এর বন্ধু তালিকায় থাকবে, তাদের ওঁরা বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দেবেন৷ এতে একদিকে যেমন সুফল পাওয়া গিয়েছিল, তেমনই নেগেটিভ পাবলিসিটির জেরে ওই বাঁকুড়া মিমস্‌-ও জনপ্রিয়তা পাচ্ছিল৷ তার থেকেই উৎসাহিত হয়ে একই নোংরামি শুরু করে ‘স্পেসিফায়েড তারকাটা' নামে এই পেজটি৷ তখন বাধ্য হয়েই পুলিশে অভিযোগ জানাতে হয়, যার ভিত্তিতে শেষ পর্যন্ত ব্যবস্থা নিল কলকাতা পুলিশের সাইবার সেল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ