ফেসবুক থেকে ‘ছুটি’ নিচ্ছেন অনেকেই
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩সম্প্রতি ফেসবুক নিয়ে একটা গবেষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পিউ রিসার্চ সেন্টার৷ গবেষণা থেকে যা যা বেরিয়ে এসেছে, গবেষণা কেন্দ্রটি তা বিস্তারিতভাবে জানিয়েও দিয়েছে মঙ্গলবার৷ জেনে অবাক হবেন, গত ডিসেম্বরেই যেখানে ফেসবুক দাবি করে যে বিশ্বে তাদের সঙ্গে আছেন অন্তত একশ কোটি মানুষ, সেখানে এবার তাদের পাশ থেকেই নাকি সরে যাচ্ছেন অনেকে৷
গবেষণাটি করা হয়েছে মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে৷ যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের দু'ভাগই ফেসবুক ব্যবহারকারী৷ তবে হালে সংখ্যাটা নাকি কমছে৷ অনেকেই সামাজিক যোগাযোগের এ মাধ্যম থেকে ছুটি নিয়েছেন৷ কেউ বলছেন ফেসবুক নিতান্তই সময় অপচয়ের জায়গা৷ কারো মতে আবার ওখানে আগ্রহ বাড়ানোর মতো বিষয় খুব একটা নেই৷ আবার কারো কারো মতে, বন্ধু এবং অন্যান্য পরিচিতজনেরা বড় বেশি নাটক করেন ফেসবুকের আঙ্গিনায় বসে৷
যাঁদের মধ্যে এ জরিপধর্মী গবেষণা চালানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ২০ ভাগ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন যে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আর রাখবেনই না৷ অবশ্য একটা বড় অংশ আবার বলছেন, ফেসবুক তাঁদের কাছে আগের মতোই আকর্ষণীয়৷ কিন্তু যাদের এত জনপ্রিয়তার প্রচার, তাদের পাশ থেকে কিছু লোক সরে যাওয়াও তো একটা ঘটনা! শতকরা ২৮ ভাগের কথাকেও তাই অগ্রাহ্য করা যায় না৷ তাঁরা জানিয়েছেন, ফেসবুকে তাঁদের আর আগের মতো আগ্রহ নেই৷
এসব তথ্য সামনে রেখে পিউ রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক লী রাইনি বললেন, ‘‘ফেসবুকে এখন যোগ-বিয়োগ চলছে৷'' মূল কথা এটাই৷ কেউ কেউ সাময়িকভাবে হলেও ছুটি নিচ্ছেন ঠিকই! কিন্তু ফেসবুকের এক মুখপাত্র এ বিষয়টিকে একেবারেই বড় করে দেখতে নারাজ৷ তাঁর মতে, বড় জায়গায় অনেকে আসছেন, অনেকে থাকছেন, পাশাপাশি কেউ কেউ চলেও যাচ্ছেন৷ এই ধারাকে ফেসবুকের জন্য কোনো বিপদসংকেত হিসেবে মানতে তাঁর বেজায় আপত্তি৷ তিনি মনে করেন, যাওয়াটা এক ধরণের সাময়িক স্থান পরিবর্তনও হতে পারে, এটা খুবই স্বাভাবিক৷ এছাড়া অনেকে যে নতুন করে যোগও দিচ্ছেন সে কথাও তো ভুলে গেলে চলবেনা৷
ফেসবুকের ওই প্রতিনিধিকে সমর্থন জোগাচ্ছে পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষণা থেকে বেরিয়ে আসা একটি তথ্য৷ সেখানে শতকরা ১২ ভাগ মানুষ পরিষ্কার বলেছেন ফেসবুক তাঁদের কাছে আগের চেয়েও বেশি আকর্ষণীয়৷
এসিবি/ডিজি (ডিপিএ)