1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লাইক ও শেয়ারের ভয়াবহতা

১২ মার্চ ২০১৪

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর জনপ্রিয়তা যতই বাড়ছে, ততই বাড়ছে এ নিয়ে অভিযোগের মাত্রাও৷ তাই আজকের ব্লগওয়াচে এই ফেসবুকে লাইক ও শেয়ার নিয়ে, বিশেষত লাইক কেনার বিষয়টি নিয়ে কিছু বক্তব্য তুলে ধরা হলো৷

Facebook kann Belohnungssystem im Hirn aktivieren
ছবি: picture-alliance/dpa

আমার ব্লগে তুষার শুভ্র লিখেছেন, ‘‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের লাইক আর টুইটারের ফলোয়ার সংখ্যার উপর অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম জড়িত৷ কে কত বড় সেলিব্রেটি, বা কোন পণ্য কত বেশি জনপ্রিয়, সেসবের বিচারেও আজকাল বিবেচনায় আসে লাইকের সংখ্যা৷ আর এই লাইক বেশ সস্তাতেই বিক্রি হয় ফেসবুকে৷''

তুষার শুভ্র আরো লিখেছেন, ‘‘অটোলাইকের ব্যাপারটা আমার ধারণার বাইরে ছিল৷ বছর খানেক ধরে কৌতূহলবশতঃ বিষয়টা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ‘অটোটলাইক' সম্পর্কে জানতে পারলাম৷ নিজে একটা নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে চালু করলাম৷ এই পাঁচ-সাত মিনিটের ভিতর ৬০টা লাইক৷''

সাম্প্রতিক হিসেবে দেখা গেছে, ফেসবুকের অনেক পাতাই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ঢাকা শহরে৷ ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির ফেসবুক পাতায় ভক্তের সংখ্যা প্রায় ৫১ মিলিয়ন৷ এই পাতা সবচেয়ে জনপ্রিয় ঢাকায়৷ একইভাবে ফেসবুকের নিজস্ব নিরাপত্তা পাতা এবং গুগলের ফেসবুক পাতাও লাইকের বিচারে সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতেই৷

টাকা দিয়ে লাইক কেনার তালিকায় রয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও৷ তাদের ফেসবুক পাতায় লাইকের সংখ্যা চার লাখের বেশি৷ লাইক বাড়াতে এই মন্ত্রণালয় কয়েক লাখ মার্কিন ডলার খরচ করেছে৷ ২০১৩ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পাতা সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল কায়রোতে৷ এক পত্রিকার প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাজধানী ঢাকা হচ্ছে লাইক বা ‘ক্লিক বাণিজ্যের' আন্তর্জাতিক কেন্দ্র৷

অটোলাইক নামক সাইটগুলো এক ধরনের হ্যাকিং লিংক ছড়িয়ে দিচ্ছে ফেসবুকের সর্বত্র৷ এই সকল লিংকে ক্লিক করলে ফেসবুকের স্ট্যাটাস আর ছবিতে মিনিটেই অটোলাইক পড়তে থাকে৷ অনেকে নিরাপদ ভেবে গাঁজা সেবনের মতো মনের সুখে লিংকগুলো ব্যাবহার করছেন৷ কিন্তু যখনি আপনি লিংকে ঢুকতে যান, তখন ‘স্কাইপ' নামের একটি সফ্টওয়ের-কে ‘অ্যালাও' করতে হয় বা ‘পার্মিশন' দিতে হয়৷ সমস্যা হচ্ছে, যখনি আপনি এই সফ্টওয়ারটিকে ‘পার্মিশন' দেবেন, তখনি আপনি নিজের হাতে নিজের অ্যাকাউন্ট হ্যাকারের হাতে তুলে দিলেন৷ এর কারণ, এভাবে সফ্টওয়েরটি স্থায়ীভাবে আপনার ফেসবুকের অ্যাপ্লিকেশন লিস্টে যোগ হবে৷

ব্লগার তুষার শুভ্র লিখছেন, ‘‘বিস্তারিত বলতে আর বোঝাতে গেলে অনেক সময় লাগবে, তাই বুঝিয়ে বললাম না৷ কিছুটা নিজেই বুঝে নেবেন৷'' তবে সকলের সুবিধার জন্য এ ধরনের কিছু ‘লাইক সাইট' দিয়েছেন তিনি৷ যেমন – http://likelo.in এবং www.thunderlike.tk

ছবি: picture alliance/AP Photo

এছাড়াও শুভ্র লিখেছেন, ‘‘বুটলাইক পদ্ধতি ব্যাবহার করে অথবা ulikes, like4like বা like-ex সাইটগুলোতে অনেকেই লাইক বিনিময় করে থাকেন৷ তবে ফেসবুক বা টুইটারে ব্যাপক জনপ্রিয় অধিকাংশ পাতা ‘ভুয়া লাইকে' ভরা – এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই৷ বরং লাইক বাড়ার পেছনে যৌক্তিক এবং বিশ্বাসযোগ্য কারণও থাকে৷

সামহয়্যার ইন ব্লগে রাকিবুল হাসান বাংলাদেশের জনপ্রিয় দৈনিক প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদনের কিছু অংশ তুলে দিয়েছেন৷

পত্রিকাটি মার্কিন ইন্টারনেট-নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইন্টারনেট হচ্ছে মুক্ত ভার্চুয়াল জগত – এ কথা যেমন সত্য, তেমনি ইন্টারনেটে কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতি সর্বনাশের কারণও হয়ে উঠতে পারে৷

রাকিবুল হাসান লিখেছেন, ‘‘ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার প্রবণতা বেশি দেখা যায়৷ কোথাও বেড়ানোর পরিকল্পনা থেকে শুরু করে অফিসের বসের সম্পর্কে ভাবনা – সবই ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে শেয়ার করা হয়৷ ইন্টারনেটে অতিরিক্ত তথ্য শেয়ার করার এমন প্রবণতা থাকলে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য চুরি, গোপনীয়তা নষ্ট ও দুর্বৃত্তের কবলে পড়ে অর্থ খোয়ানোর ঝুঁকি থাকে৷''

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ