তুরস্কে ভোটের আগে তার প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারোলুর ভিডিও প্রকাশিত করেছেন এর্দোয়ান। সেই ভিডিওতে কারসাজি করা হয়েছে?
বিজ্ঞাপন
ডিডাব্লিউ-র ফ্যাক্ট চেক বলছে, ভিডিওর ফুটেজে কারসাজি করা হয়েছে।
আগামী ১৪ মে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন। তার আগে গত রোববার প্রেসিডেন্ট পদে বিরোধী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোলুর একটি ভিডিও প্রকাশ করেন এর্দোয়ান। রাজনৈতিক সমাবেশে ভিডিওটি প্রকাশ করে এর্দোয়ান বলেন, ''আমার জাতীয় ও আঞ্চলিক ভোটদাতারা কি এদের ভোট দেবেন?''
এই কথা বলে এর্দোয়ান তার পিছনে বড় স্ক্রিনের দিকে দেখান। কয়েক সেকেন্ড পরে সেখানে বিরোধী প্রার্থীর ছবি আসে। তারপর সেনার পোশাক পরা একজনকে দেখা যায়। এই দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন মুরাত কারেইলান। তিনি কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে-র প্রতিষ্ঠাতা। পিকেকে-কে জঙ্গি সংগঠন বলেছে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র।
এর্দোয়ানের দেখানো এই ভিডিও কি ঠিক? পিকেকে নেতা কি বিরোধী প্রার্থীর সভায় এসে সমর্থন জানিয়েছিলেন?
ডিডাব্লিউর ফ্যাক্ট চেকের ফল বলছে, ভিডিওটি ঠিক নয়। ডিডাব্লিউর ফ্যাক্ট চেক টিম এবং ডিডাব্লিউর তুরস্কের টিম মিলে পরীক্ষা করে দেখেছে, দুটি আলাদা ভিডিওকে জোড়া দেয়া হয়েছে। দুটি ভিডিও আলাদা জায়গায় নেয়া, তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড আলাদা।
এর্দোয়ানের যেসব নীতি বদলাতে চায় বিরোধীরা
১৪ মের নির্বাচনে জয়ী হলে এর্দোয়ানের অনেক নীতির আমুল পরিবর্তন ঘটাতে চায় বিরোধী জোট ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স৷ সেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের কাছে টানতে চাইছে তারা৷
ছবি: Umit Turhan Coskun/NurPhoto/picture alliance
১০০ দিনের পরিকল্পনা
ক্ষমতায় এলে প্রথম ১০০ দিনে কী করবেন গত মাসে তার একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেন ছয় দলীয় বিরোধী জোটের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কেমাল কিরিচদারোলু৷ তার মধ্যে ‘ডে লাইট সেভিং’, কর ও বিমার হার পরিবর্তন এবং সরকারি সব চাকরিতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুসহ আছে নানা প্রতিশ্রুতি৷
ছবি: Alp Eren Kaya/Depo Photos/ABACA/picture alliance
সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন
২০১৮ সালে তুরস্কে প্রেসিডেন্সিয়াল ব্যবস্থা চালু করেন এর্দোয়ান৷ বিরোধীরা তা পরিবর্তন করে দেশটিকে আবারো সংসদীয় ব্যবস্থায় ফিরিয়ে নিতে চান৷ এর মাধ্যমে এর্দোয়ানের ডিক্রিতে বিলুপ্ত প্রধানমন্ত্রীর পদ পুনর্বহাল করা হবে৷ এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা হবে ‘নিরপেক্ষ’, কেড়ে নেয়া হবে তার আইনে ভেটো দেয়া কিংবা ডিক্রি জারির ক্ষমতা৷
ছবি: Hakan Nural/AA/picture alliance
সরকারি ব্যয়ের সংকোচন
গত কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক ৷ বিরোধীরা দেশটির মূল্যস্ফীতিকে এক অঙ্কের ঘরে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা এপ্রিলেও ৪৪ শতাংশ ছিল৷ নতুন আইন পাসের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়ার অঙ্গীকার তাদের৷ প্রেসিডেন্টের অধীনে থাকা বিমানের সংখ্যা কমানো, সরকারি চাকরিজীবীদের গাড়ির সংখ্যা হ্রাস ও সরকারি ভবন বিক্রি করে খরচ কমানোর প্রতিশ্রুতিও আছে৷
ছবি: DesignIt/Zoonar/picture alliance
পররাষ্ট্রনীতির বদল
‘দেশে ও বিশ্বে শান্তি’ এমন স্লোগানে তুরস্কের পররাষ্ট্রনীতিকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার জন্য কাজ করার পাশাপাশি ২০১৬ সালের শরণার্থী চুক্তি পর্যালোচনার কথাও বলছে তারা৷ একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়া, অন্যদিকে সমতার ভিত্তিতে ও গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গেও সম্পর্ক বজায় রাখার পরিকল্পনা তাদের৷
ছবি: Susan Walsh/AP/picture alliance
স্বাধীন বিচার বিভাগ
বিরোধী মত দমনে বিচার বিভাগকে ব্যবহার নিয়ে এর্দোয়ান সরকারের সমালোচনা রয়েছে৷ বিরোধী জোট বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পুরোপুরি ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে৷ আদালতে রায়ের ক্ষেত্রে সংসদীয় আদালত ও ইউরোপীয় কোর্ট অব হিউম্যান রাইটসকে উৎসাহিত করা হবে৷ যেসব বিচারক ও প্রসিকিউটর অধিকার লঙ্ঘনকারী হিসেবে বিবেচিত হবেন তাদের জরিমানা করা হবে৷ বর্তমান সরকারের সমালোচিত বিচারপূর্ব আটকের ঘটনা বন্ধেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা৷
ছবি: Ozan Kose/Getty Images/AFP
5 ছবি1 | 5
ডিডাব্লিউ তুরস্ক সার্ভিসের পেলিন কুর্তুলুস বলেছেন, বিশেষজ্ঞরা আগে থেকেই বারবার বলছিলেন, ''ভোটের আগে কারসাজি করা ভিডিওতে ছেয়ে গেছে সামাজিক মাধ্যম। টুইটার ও অন্য জায়গায় ফেক নিউজ প্রচার করা হচ্ছে।''
দুই ভিডিও এক করা হয়েছে
প্রথম ভিডিওটি কিলিচদারোলুর প্রচারের ভিডিও। তাঁর নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এই ভিডিওটি আছে। এটা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন যেরকম হয়, সেরকমই। তিনি সেখানে মানুষকে ভোট দিতে বলছেন। কিন্তু এখানে পিকেকে নেতার কোনো ছবি নেই।
এর্দোয়ান যে ভিডিওটি দেখিয়েছেন, তা এডিট করা হয়েছে। মূল ভিডিওর ক্লোজ আপ নেয়া হয়েছে। বিরোধী নেতার আসল ভিডিওর ০০.৩৭ সেকেন্ড থেকে ফুটেজ নেয়া হয়েছে। সেখানে বিরোধী প্রার্থী মানুষকে বলছেন, ''আসুন, আমরা একসঙ্গে ভোট দিই।'' তার পিছনে যুবকেরা দাঁড়িয়ে আছেন। এরপরই আসল ভিডিওতে দেখা যায়, দুই নারী একটি বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন।
পুরনো ফুটেজ থেকে
দ্বিতীয় যে ভিডিওটি এখানে ব্যবহার করে হয়েছে, তা অনেক পুরনো। অনলাইনে সার্চ করলেই পিকেকে নেতার সামরিক পোশাক পরা ছবি পাওয়া যাবে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পিকেকে নেতা তিন দশক ধরে সশস্ত্র লড়াইয়ের কথা বলছেন। কুর্দদের সংস্থা ফিরাত নিউজ এজেন্সিতে এটা প্রথম প্রকাশিত হয়।
ভোট ১৪ মে, চ্যালেঞ্জের মুখে এর্দোয়ান
গত ২০ বছর ধরে কড়াহাতে তুরস্ক শাসন করছেন এর্দোয়ান। এবারের ভোটে তিনি কি জিততে পারবেন?
ছবি: ADEM ALTAN/AFP/Getty Images
এর্দোয়ানের শাসন
গত দুই দশক ধরে তুরস্ক শাসন করছেন এর্দোয়ান। সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে রাষ্ট্রপতি-প্রধান ব্যবস্থা চালু করেছেন। কড়াহাতে বিক্ষোভের মোকাবিলা করেছেন। ইউরোপ তথা বিশ্ব যাতে তুরস্ককে গুরুত্ব দিতে বাধ্য হয় তার চেষ্টা করেছেন। এর আগের নির্বাচনগুলিতে কার্যত কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েননি তিনি। কিন্তু এ বার পড়েছেন।
ছবি: Burhan Ozbilici/AP Photo/picture alliance
বিরোধী প্রার্থী
এর্দোয়ানের বিরুদ্ধে প্রধান বিরোধী প্রার্থী হলেন কেমাল কিরিচদারোলু। সাবেক আমলা। বছর দুয়েক আগেও ভাবা যায়নি, তিনি প্রধান বিরোধী প্রার্থী হয়ে এর্দোয়ানকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন। তিনি সৎ ও দায়িত্বশীল মানুষ বলে পরিচিত। আমলা থাকার সময় তিনি কঠোরভাবে দুর্নীতির মোকাবিলা করতে চেয়েছেন। একাধিকবার তাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে।
ছবি: Depo Photos/ABACA/abaca/picture alliance
এর্দোয়ানের সমস্যা
আবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে এর্দোয়ানের পথে প্রধান কাঁটা হলো, জিনিসের দাম বাড়া নিয়ে মানুষের ক্ষোভ। শুধু যে জিনিসের দাম বেড়েছে তাই নয়, দেশের অর্থনীতি সংকটে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের কথা না শুনে এর্দোয়ান নিজের আর্থিক নীতি নিয়ে চলেছেন। তাতে সংকট বেড়েছে। তার প্রভাব মানুষের জীবনে, কর্মসংস্থানে গিয়ে পড়েছে।
ছবি: Safak Hacaloglu/Depo/IMAGO
ভূমিকম্পের পর উদ্ধারে দেরি নিয়ে ক্ষোভ
গত ৬ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণপূর্ব তুরস্কে পরপর দুইটি প্রবল ভূমিকম্পের ফলে ৪০ হাজারের মতো মানুষ মারা যান। বিরোধীদের অভিযোগ, পরিস্থিতি অনুযায়ী যেভাবে ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে সরকারের ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ছিল, তা হয়নি। পরে এর্দোয়ান উদ্ধারকাজে দেরির জন্য ক্ষমা চান।
ছবি: ELOISA LOPEZ/REUTERS
বিরোধীদের দাবি
বিরোধীরা মূলত কয়েকটি দাবিতে একজোট হয়েছেন। এর্দোয়ানকে সরাতে হবে এবং জিনিসের দাম কমাতে হবে ও অর্থনীতির হাল ফেরাতে হবে। সাধারণ মানুষের দাবি, জিনিসের দাম প্রচুর বেড়েছে, কিন্তু তাদের আয় বাড়ছে না। উপরের ছবিটি তুরস্কের ওয়ার্কার্স পার্টির সমাবেশের।
ছবি: Tolga Ildun/ZUMAPRESS.com/picture alliance
কেমালের কামাল
কেমাল কিরিচদারোলুর কৃতিত্ব হলো, তিনি অনেকগুলি বিরোধী দলকে একজোট করতে পেরেছেন। সাধারণ সূত্র হলো, এর্দোয়ান-বিরোধিতা। তাছাড়া কেমাল অন্য দলের অধিকাংশ দাবিই মেনে নিয়ে তাদের জোটে টেনে এনেছেন।
ছবি: ADEM ALTAN/AFP/Getty Images
সমীক্ষা কী বলছে?
দ্য গার্ডিয়ান জানাচ্ছে, অধিকাংশ সমীক্ষা কেমালকে সামান্য হলেও এগিয়ে রেখেছে। অন্তত, কেমাল লড়াই করছেন। দীর্ঘদিন পর এর্দোয়ান যে লড়াইয়ের মুখে পড়েছেন, তা সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া থেকে বোঝা যাচ্ছে। এর্দোয়ানের কট্টর সমর্থকরা বলছেন, জিনিসের দাম বাড়ায় তারা বীতশ্রদ্ধ। তাই তারা এর্দোয়ানের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারেন।
ছবি: DHA
কেমালের প্রতিশ্রুতি
কেমাল প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি ও বিরোধীরা জিতলে তিনি তুরস্কে আবার সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করবেন। প্রেসিডেন্ট-প্রধান ব্যবস্থা থেকে সরে আসবেন। কারণ, একজনের হাতে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত হোক, তা তারা চান না। এর্দোয়ানের শাসন হলো এক ব্যক্তির শাসন। তার কুফল মানুষ বুঝতে পারছেন বলে তিনি দাবি করেছেন।
ছবি: Alp Eren Kaya/Republican People's Party/Handout/REUTERS
বিরোধীদের কাছেও সহজ নয়
এর্দোয়ানকে হারানো, পার্লামেন্টে জেতা এই দুইটি কাজ বিরোধীদের পক্ষেও সহজ নয়। বেশ কয়েকটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, পার্লামেন্টে একেপি পার্টিকে বিরোধীরা সামান্য ব্যবধানে হারাতে পারলেও এর্দোয়ানকে হারাতে পারবেন না কেমাল। তার পক্ষে এর্দোয়ানের মতো রাজনীতিককে হারানো খুবই কঠিন। এর্দোয়ানের অনুগামীর সংখ্যা কম নয়। তাদের একটা অংশ নিঃসন্দেহে ক্ষুব্ধ। তা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত তারা কি এর্দোয়ানের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন?
ছবি: MURAT CETINMUHURDAR/PPO via REUTERS
বিরোধীরা আশাবাদী
প্রধান ছয়টি বিরোধী দলকে একজোট করতে পেরেছেন কেমাল। এই দলগুলি এখন এককাট্টা হয়ে লড়ছে। তাদের দাবি, জনগণের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে, কেমাল জিতবেন। তিনি অঘটন ঘটাতে পারবেন।
ছবি: DHA
দুই দিনের কর্মসূচি বাতিল
এর্দোয়ান একটি টিভি-তে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মিনিট ২০ পরে এর্দোয়ান সাক্ষাৎকার ছেড়ে চলে যান। জানানো হয়, তার স্টমাক ফ্লু হয়েছে। তিনি দুই দিনের কর্মসূচি বাতিল করেন। রাশিয়ার সাহায্যে তৈরি তুরস্কের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধনেও যেতে পারেননি তিনি। ভিডিওর মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন।
ছবি: MURAT CETINMUHURDAR/PPO via REUTERS
11 ছবি1 | 11
এর্দোয়ান যে ভিডিও দেখিয়েছেন, তাতে কারসাজি করে দুইটি ভিডিওকে মেশানো হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, পিকেকে নেতা বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন করছেন।
এককথায়, এর্দোয়ান যে ভিডিও দেখিয়েছেন, তাতে দুইটি ভিডিওর ফুটেজ জোড়া হয়েছে। তারপর সেটা এডিট করে একটা ফিল্ম বানানো হয়েছে।
তুরস্কের কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, কৃত্রিম মেধা ব্যবহার করে এটা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেটা সত্যি বলে মনে হয় না।
রাজনৈতিক বিষয়
কুর্তুলুস জানিয়েছেন, ''রক্ষণশীল ও জাতীয়তাবাদীদের কাছ থেকে ভোট পাওয়ার জন্য এর্দোয়ান এই কারসাজি করা ভিডিও ব্যবহার করছেন।'' প্রেসিডেন্টের বার্তা বিভাগ এই ভিডিও নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
আগামী রোববার ভোট। এর্দোয়ান এবার জিতবেনই এমন কথা বলা যাচ্ছে না। ভোট সমীক্ষা বলছে, তিনি বিরোধী প্রার্থীর থেকে পিছিয়ে আছেন।