ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি
৩ ডিসেম্বর ২০২৪হাঁটু এবং পিঠে ব্যথার কারণে বছরখানেক আগে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন ইয়ানিক ফ্যাশার৷ সেই সময় তার লিভার পরীক্ষা করা হলে ডা: ফ্রিডহেল্ম জাইক তাকে জানান, তার ফ্যাটি লিভার রোগ হয়েছে৷
ফ্যাশার জানতেন, তার ওজন বেশি৷ ১.৮০ মিটার উচ্চতার ফ্যাশারের ওজন ১৩০ কেজি ছিল৷ তবে লিভারের সমস্যা তাকে অবাক করেছিল৷
ডা: ফ্রিডহেল্ম জাইক বলছেন, ‘‘আগামী বছরগুলোতে আমরা এই সমস্যা আরও বেশি দেখবো- ফ্যাটি লিভার, নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়বে৷ এটা আমাদের ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টারগুলোর জন্য উদ্বেগের৷ ফ্যাশার নিশ্চিতভাবেই সেদিকে এগোচ্ছেন৷''
ফ্যাটি লিভারের কারণে ক্যানসার ও সিরোসিস হতে পারে৷ এক পর্যায়ে ট্রান্সপ্ল্যান্টই একমাত্র সমাধান হতে পারে৷ ফ্যাশার সেটি এড়াতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু সমস্যা হলো: ফ্যাটি লিভারের জন্য কোনো ওষুধ নেই৷
ডা: জাইক বলেন, ‘‘ফ্যাটি লিভারের জন্য কোনো পিল নেই৷ অনেক গবেষণা চলছে, কিন্তু এখনও প্রমাণিত কোনো চিকিৎসা নেই৷ তাই জীবনযাপনে পরিবর্তন আনাই এখন পর্যন্ত একমাত্র সমাধান৷''
ফ্যাশারের কাছে জীবনযাপন পরিবর্তন মানে ওজন কমানো৷ এখন তিনি নিজের জন্য অনেক সবজি রান্না করেন৷ আগে অনেক ফাস্ট ফুড খেতেন৷
ফ্যাশার বলেন, ‘‘ওজন কমানো শুরু না করলে কী হতে পারে সেটা যখন ডা: জাইক ব্যাখ্যা করেছিলেন তখন সত্যিই আমার চোখ খুলে গিয়েছিল৷ আমার বয়স ত্রিশের দিকে ছিল, জীবনের অর্ধেক তখনও বাকি৷ তাই মনে হয়েছিল, এখন না হলে আর কখন? তাই শুরু করেছিলাম৷''
ফ্যাশার শুধু খাওয়ার মেন্যু পরিবর্তন করেননি, খাওয়ার সময়ও বদলেছেন৷ তিনি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং শুরু করেছিলেন- অর্থাৎ দিনের প্রথম খাবারটা ছিল দুপুরে৷ এভাবে ২৫ কেজি কমিয়েছেন৷
ডা: জাইক বলেন, ‘‘ওজন কমানো ও জীবনযাপনে পরিবর্তন করাকে ম্যারাথন হিসেবে ভাবাটা গুরুত্বপূর্ণ, যার জন্য অনেত স্ট্যামিনার প্রয়োজন হয়৷ এটা এমন বিষয় হওয়া উচিত নয় যেটাতে আপনি দ্রুত ওজন কমানোর পর আবার দ্রুত ওজন বাড়ান৷''
ফ্যাশার আশা করছিলেন যেন তার লিভারের সমস্যা দূর হয়, তবে তিনি পার্থক্য অনুভব করতে পারছিলেন না৷
এক বছর পরে ফলোআপের সময় তিনি জানতে পারেন, ওজন কমানোর কারণে তার লাভ হয়েছে৷ লিভারে চর্বি উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছে৷
ফ্যাশার তার লিভার ক্যানসার ও সিরোসিস হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি কমিয়েছেন৷ ওজন যেন আবার না বাড়ে সেজন্য নতুন জীবনযাপন চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তিনি৷
প্রতিবেদন: ভিভিয়ান ভিক্টোরিয়া ভিনৎসার/জেডএইচ