পার্লামেন্ট নির্বাচনে মাক্রোঁর সংখ্যাগরিষ্ঠতা হুমকিতে
১২ জুন ২০২২
ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে৷ পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার লক্ষ্য সদ্য পুনর্নিবাচিত হওয়া প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর৷
প্রথম ধাপে কেবল তারাই নির্বাচিত হবেন, যাদের আসনে অন্তত ২৫ শতাংশ ভোট পড়বে এবং সেই ভোটের ৫০ শতাংশ যারা পাবেন৷ফলে বেশিরভাগ আসনে বিজয়ীই মূলত নির্ধারণ হবেন আগামী রোববার, ১৯ জুন দ্বিতীয় দফার ভোটে৷ দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রথম ধাপের শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের লড়াই হবে৷
বিতর্ক সত্ত্বেও আণবিক শক্তির পথে ফ্রান্স
04:10
নতুনজোট
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাক্রোঁর মূল চ্যালেঞ্জ এসেছিল কট্টর ডানপন্থি মারিন ল্য পেনের তরফ থেকে, কিন্তু এবার মাক্রোঁর চ্যালেঞ্জ আসছে উলটো শিবির- কট্টর বামদের কাছ থেকে৷
ফ্রান্সের তারকা বামপন্থি নেতা জ্যঁ লুক মেলাঞ্চ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন৷ তখন একক লড়াইয়ে থাকলেও এবার পার্লামেন্ট নির্বাচনে মেলাঞ্চ ছোট কয়েকটি দলের সঙ্গে জোট গঠন করেছেন৷ মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও এমন জোটের কথা চিন্তাও করতে পারছিলেন না অনেকে৷
সোশ্যালিস্টরা ছাড়াও ফ্রান্সের গ্রিন এবং কমিউনিস্ট পার্টিগুলোও যোগ দিয়েছে এই 'নুপেস' জোটে৷
জরিপে দেখা গেছে, নুপেস জোট পার্লামেন্ট নির্বাচনে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলবে মাক্রোঁর মধ্যপন্থি এনসেম্বল জোটকে৷
অর্থনীতিওসংস্কারনিয়েলড়াই
মাক্রোঁর নানা অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে জনগণের বড় একটি অংশের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে৷আর এটিকে পুঁজি করেই নির্বাচনে মূল লড়াই চালাচ্ছে নুপেস জোট৷ ২০১৭ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার সময়ই ফ্রান্সে অবসরের বয়সসীমা ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ করার কথা বলেছিলেন মাক্রোঁ৷ তিনি বলেছিলেন, সমশক্তির অর্থনীতির অন্য অনেক দেশেই অবসরের বয়স ৬৫৷ বর্তমান নানা ব্যবস্থা অদূর ভবিষ্যতের জন্য টেকসই হবে না বলেও মনে করেন তিনি৷
কিন্তু ব্যাপক আন্দোলন এবং ধর্মঘটের পর এই সিদ্ধান্ত থেকে পরে সরে আসতে হয় তাকে৷ কিন্তু দ্বিতীয়বারের নির্বাচনেও তিনি নিজের সংস্কারকাজ শেষ করার অঙ্গীকার করেই জয়ী হয়েছেন৷
প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর বৈঠক
প্রধানমন্ত্রী মোদীর তিনদিনের ইউরোপ সফরের প্রথম গন্তব্য ছিল জার্মানি এবং শেষ গন্তব্য ফ্রান্স। প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক করলেন মোদী।
ছবি: Mustafa Yalcin/AA/picture alliance
'দুই বন্ধুর বৈঠক'
জার্মানি থেকে ডেনমার্ক হয়ে প্যারিস পৌঁছান মোদী। মাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক হয়। দেখা হতেই মাক্রোঁ ও মোদী পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন। বৈঠকের পর মোদী জানান, 'দুই বন্ধুর সাক্ষাৎ হলো'। মাক্রোঁকে ভারত সফরের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন মোদী।
ছবি: Gonzalo Fuentes/REUTERS
রাশিয়ার সমালোচনা করলেন না মোদী
মোদী-মাক্রোঁ বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে কথা হয়েছে। বৈঠকের পর জারি করা যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশই ইউক্রেনে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু নিয়ে চিন্তিত। দুই দেশই মানবিক সংকট নিয়ে চিন্তিত। রাশিয়া ও ইউক্রেন আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যা মেটাক। মানুষের কষ্ট দূর হোক। কিন্তু ভারত তার আগের অবস্থান বজায় রেখেছে। মোদাীও রাশিয়ার নিন্দা বা সমালোচনা করেননি।
ছবি: Francois Mori/Pool/AP/picture alliance
ফ্রান্সের নিন্দা
ফ্রান্স অবশ্য ইউক্রেনে রাশিয়ার বাহিনীর বেআইনি ও অন্যায্য আগ্রাসনের নিন্দা করেছে। তবে ভারত ও ফ্রান্স দুই দেশই ইউক্রেনে আগ্রাসনের ফলে খাদ্যসংকট হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। কারণ, ইউক্রেনই বিশ্বের অন্যতম প্রধান গম উৎপাদক দেশ। এই সংঘাতের ফলে তাদের গম উৎপাদনে বিপুল প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ছবি: Raphael Lafargue/abaca/picture alliance
ফ্রান্সের বক্তব্য
দুই নেতার বৈঠক শুরুর আগেই মাক্রোঁর অফিসের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বলবেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের প্রতিক্রিয়া ইউরোপ ছাড়িয়ে এশিয়াতেও পড়বে। রাশিয়ার কাছ থেকে ভারত তেল ও অস্ত্র কেনে। ভারতকে রাশিয়ার কাছ থেকে সরিয়ে আনার জন্য ফ্রান্স চেষ্টা করবে। তারা যাতে অন্য জায়গা থেকে তেল ও অস্ত্র পায়, তার ব্যবস্থা করা হবে।
ছবি: Mustafa Yalcin/AA/picture alliance
মোদী-শলৎস বৈঠক
মোদীর ইউরোপ সফর শুরু হয়েছিল জার্মানি থেকে। তিনি জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎসের সঙ্গে বৈঠক করেন। বেশ কয়েকটি চুক্তি সই হয়েছে। শলৎসের সঙ্গে বৈঠকের পর মোদী বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে কেউ জিতবে না, সকলেই হারবে। কিন্তু জার্মানিতেও মোদী রাশিয়ার বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি।
ছবি: Michael Kappeler/dpa/picture alliance
সহযোগিতা বাড়ানো হবে
মোদী ও শলৎস দুজনেই বলেছেন, ভারত ও জার্মানির মধ্যে সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরো বাড়ানো হবে। দুই দেশের মধ্যে যে চুক্তি সই হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, গ্রিন এনার্জির ক্ষেত্রে জার্মানি ভারতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করবে। তারা প্রযুক্তি দেবে।
ছবি: Michael Kappeler/dpa/picture alliance
ডেনমার্কে মোদী
জার্মানি থেকে মোদী যান ডেনমার্ক। সেখানে নর্ডিক দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে তার বৈঠক হয়। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার আশা, যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য রাশিয়াকে প্রভাবিত করবেন মোদী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেখানেও বলেন, আলোচনার মাধ্যমে ও কূটনৈতিক প্রয়াসের ফলে যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে। তবে ডেনমার্কে মোদীর লক্ষ্য ছিল, ভারতে নর্ডিক দেশগুলির বিনিয়োগ বাড়ানো।
ছবি: Johan Nilsson/TT/picture alliance
7 ছবি1 | 7
নুপেস এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বরং উলটো অবসরের বয়স কমিয়ে ৬০ বছর করার অঙ্গীকার করেছে৷
প্রধানমন্ত্রীহতেচানন্যাটো-ইইউবিরোধীমেলাঞ্চোঁ
মেলাঞ্চোঁ এবং নুপেস জোটের লক্ষ্য পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ মাক্রোঁর হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়া, যাতে তিনি বামপন্থি শিবির থেকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে বাধ্য হন৷
এর আগে ১৯৯৭ থেকে ২০০২ পর্যন্ত তৎকালীন মধ্য ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাঁক শিরাক সোশ্যালিস্ট লিওনেল জোসপিনকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে বাধ্য হয়েছিলেন৷
তুলনামূলক মধ্যপন্থি দলগুলো যোগ দেয়ায় নুপেস জোটে মেলাঞ্চোঁর সুর কিছুটা নরম হয়েছে৷ তবে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে তার অবস্থান জানিয়ে এসেছেন৷ নুপেসও ইইউ-এর কিছু আইন পরিবর্তন এবং ধীরে ধীরে একসময় ন্যাটো সামরিক জোট থেকে সরে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছে৷
পশ্চিমা অনেক নেতাই রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে বারবার কথা বলা ও একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করায় মাক্রোঁর সমালোচনা করেছেন৷ কিন্তু কয়েক দশক ধরে পুটিনের কর্মকাণ্ডের সমালোচনার ক্ষেত্রে মেলাঞ্চোঁ আরো অনেক বেশি নরম অবস্থান দেখিয়ে এসেছেন৷
এডিকে/আরকেসি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)
দেড় বছরে ২২টি মসজিদ বন্ধ করেছে ফ্রান্স
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসেব বলছে, গত ১৮ মাসে ২২টি মসজিদ বন্ধ করা হয়েছে৷ তবে যে ক্ষমতাবলে এসব বন্ধ করা হয়েছে তার সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মীরা৷
ছবি: Stephane Mahe/REUTERS
১৮ মাসে ২২ মসজিদ
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসেব বলছে, গত ১৮ মাসে ২২টি মসজিদ বন্ধ করা হয়েছে৷ এই সংখ্যা তার আগের তিন বছরে মোট মসজিদ বন্ধের তুলনায় অনেক বেশি বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা৷ উপরের ছবিতে এক ব্যক্তিকে তার কম্পিউটারে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি মসজিদ দেখাতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Stephane Mahe/REUTERS
৯০ মসজিদে তদন্ত
ফ্রান্সে প্রায় আড়াই হাজার মসজিদ রয়েছে৷ এর মধ্যে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ মতাদর্শ প্রচার সন্দেহে ৯০টি মসজিদে তদন্ত চালানো হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে৷
ছবি: Vanessa Meyer/dpa/picture alliance
মুসলিমদের জন্য বৈরী হয়ে উঠছে ফ্রান্স
ইউরোপে সবচেয়ে বেশি মুসলমান বাস করেন এমন দেশগুলোর মধ্যে একটি ফ্রান্স৷ কিন্তু সেখানকার মুসলমানরা বলছেন, দেশটি ক্রমে মুসলমানদের জন্য বৈরী হয়ে উঠছে৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসেব বলছে, ২০২১ সালে মুসলিমবিরোধী বৈষম্যমূলক আচরণ বেড়েছে৷ আর অন্যান্য ধর্মের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা কমেছে৷
ছবি: Alain Pitton/NurPhoto/picture alliance
বন্ধ হয়ে যাওয়া আলন মসজিদ
ফ্রান্সের উত্তরপশ্চিমের আলন শহরের এই মসজিদটি গত অক্টোবরে বন্ধ করে দেয়া হয়৷ ছবিতে মসজিদের দরজায় বন্ধের নোটিশ দেখা যাচ্ছে৷ ‘ইসলামের মৌলবাদী রূপ’ প্রচার ও ‘ফ্রান্সের প্রতি ঘৃণার অনুভব চাষ’ করার অভিযোগ এনে মসজিদটি বন্ধ করা হয়৷ কিন্তু মসজিদের কর্মকর্তারা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকার তার অভিযোগের সমর্থনে খুব কম প্রমাণ উপস্থাপন করেছে৷
ছবি: Stephane Mahe/REUTERS
রয়টার্সের বিশ্লেষণ
মসজিদ বন্ধ করার প্রমাণ হিসেবে সরকারের পক্ষে থেকে ২০ পাতার একটি নথি (যেটি ‘হোয়াইট মেমো’ নামে পরিচিত) আদালতে উপস্থাপন করা হয়৷ সেটি রয়টার্স বিশ্লেষণ করে বলছে, নথিটি কবে তৈরি হয়েছে, কে করেছে এবং তথ্য কোথা থেকে পাওয়া গেছে তার কোনো উল্লেখ নেই৷
ছবি: Vanessa Meyer/dpa/picture alliance
চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
হোয়াইট মেমোতে আলন মসজিদের চারজনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর ও ২০২১ সালের এপ্রিলে সংঘটিত দুটি সন্ত্রাসী হামলায় সমর্থন প্রকাশের অভিযোগ আনা হয়৷ এদের একজন করিম দাউদ (ছবি) স্থানীয় সরকারি অফিসে কাজ করেন৷ ২০২১ সালের অক্টোবরে তাকে সরকারি কর্মচারী হিসেব তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পদক দেয়া হয়েছিল৷ ২০২০ সালে সন্ত্রাসী হামলার পর তিনি গির্জায় গিয়ে সংহতিও প্রকাশ করেছিলেন৷
ছবি: Stephane Mahe/REUTERS
পাঁচটি বই উদ্ধার
হোয়াইট মেমোতে মসজিদ থেকে পাঁচটি বই উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে৷ এগুলোকে ‘মৌলবাদী’ বই বলে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ অথচ এর মধ্যে চারটি বই বিশেষায়িত বইয়ের দোকান এবং অনলাইনে অনেক পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন লিল ইন্সটিটিউট অফ পলিটিক্যাল স্টাডিজের ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষক দাউদ রিফি৷ অন্য বইয়ের নাম ‘রিয়াদ আস-সালিহিন’৷ ১৩ শতকের এই বইটি ফ্রান্সের জাতীয় গ্রন্থাগারে রাখা আছে৷
ছবি: Fadel Senna/AFP/Getty Images
জিহাদের ডাক দেয়ার অভিযোগ
হোয়াইট মেমোতে আরও অভিযোগ করা হয়, আলন মসজিদের ধর্মপ্রচারকরা সশস্ত্র জিহাদের প্রশংসা করেছেন ও মুসল্লিরা সহিংসতার ডাক দিচ্ছেন বলে শোনা গেছে (যদিও কারা শুনেছেন তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি)৷ এ ব্যাপারে করিম দাউদ বলছেন, সরকার ‘জিহাদ’ শব্দটির ভুল ব্যাখ্যা করেছে৷ জিহাদের অর্থ সশস্ত্র সংঘাত হতে পারে৷ আবার ‘জিহাদ আল-আকবর’ বোঝাতে প্রায়ই এটি ব্যবহার করা হয়, যার অর্থ, নফস বা নিজ আত্মা পরিশুদ্ধ করার সংগ্রাম৷
ছবি: Stephane Mahe/REUTERS
সমালোচনা
অধিকার কর্মী, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদের অভিযোগ, ফ্রান্সে ধর্মীয় স্থান বন্ধের জন্য কর্তৃপক্ষকে এত ক্ষমতা দেয়া হয়েছে যে, যথাযথ পরীক্ষা না করেই মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে৷ এছাড়া অস্পষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করায় ও পর্যাপ্ত প্রমাণ না দেয়ায় মামলা পরিচালনা করা অনেকক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. Gaizka
সরকারের জবাব
এলিসি প্রাসাদ রয়টার্সের এই বিশেষ প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি৷ তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসলামি সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে সরকার কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা বাড়িয়েছে এবং ‘আইনের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখে’ তা করা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. Gaizka
অস্থায়ীভাবে বন্ধ
যে আইনে মসজিদ বন্ধ করা হয় তাতে কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ ছয় মাসের জন্য মসজিদ বন্ধ করতে পারে৷ তবে অধিকার কর্মী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসেবে দেখা গেছে, অনেক মসজিদই আর কখনও খোলা হয় না৷ বন্ধ হওয়া ২২টি মসজিদের মধ্যে কতটি আবার খুলেছে সে হিসাব মন্ত্রণালয় জানায়নি৷