1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজফ্রান্স

ফ্রান্সে ইঁদুরের উপদ্রব মোকাবিলার উদ্যোগ

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ইঁদুরের উপদ্রব মানুষের জন্য মোটেই সুখকর নয়৷ লকডাউনের পর ফ্রান্সে সেই সমস্যা বিশাল আকার ধারণ করেছে৷ মানুষের খাদ্যাভ্যাসও হয়ত এর অন্যতম কারণ৷ নতুন কৌশল প্রয়োগ করে সমস্যা মোকাবিলার চেষ্টা চলছে৷

Tier Ratte
ছবি: Ute Grabowsky/photothek/picture alliance

ফ্রান্সে ইঁদুরের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ করোনা মহামারি মোকাবিলার লক্ষ্যে লকডাউনের সময় প্রায় সব বড় শহরে এই প্রাণীর বংশবৃদ্ধি ঘটেছে৷ ফলে ইঁদুর ধরার বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিয়েরি বোদ্যাঁ সব সময়ে ব্যস্ত রয়েছেন৷ একের পর এক ভবনের সেলারে তিনি টোপ ও ইঁদুরের বিষ প্রস্তুত করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ভিতু হলে এই পেশায় টেকা যায় না৷ কারণ যে কোনো মুহূর্তে ইঁদুর গায়ের উপর লাফিয়ে উঠতে পারে৷''

ইঁদুরের সংখ্যা কম নয়৷ লকডাউনের আগে ব়্যাট ক্যাচাররা মূলত বাসায় বসে থাকতেন৷ কিন্তু বিনা বাধায় ইঁদুরের বংশবৃদ্ধির ফলে পরিস্থিতি বদলে গেছে৷ তিয়েরি বোদ্যাঁ মনে করিয়ে দেন. ‘‘ইঁদুর প্রতি দুই-তিন মাস পর পর আট থেকে দশটি বাচ্চার জন্ম দেয়৷ দুই বছরের মধ্যে এক লাখেরও বেশি বংশধর জন্ম নেয়৷ এ এক চিরন্তন সংগ্রাম৷''

স্ট্রাসবুর্গ শহরেও ইঁদুর বংশবৃদ্ধির আদর্শ পরিবেশ পেয়েছিল৷ সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে এই প্রাণী চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে৷ শহরের অপেক্ষাকৃত দরিদ্র এলাকায় এই প্লেগের মাত্রা বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো৷ ৩০ বছর ধরে হামিদা বুগাটা সেই এলাকায় বাস করছেন৷ তিনি পৌর কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত৷ হামিদা বলেন, ‘‘এখানকার মানুষকে ইঁদুরের উৎপাতের মাঝে বাস করতে হচ্ছে৷ ইঁদুর গাড়ির তার কেটে দিচ্ছে, মানুষকেও কামড়াচ্ছে৷ আর পৌরসভায় আলোচনা হচ্ছে, যে ইঁদুর আদৌ ক্ষতিকর কিনা! অথবা ইঁদুর মানুষদের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা! হয় তারা এখানকার অবস্থা জানে না, অথবা তাদের মাথা খারাপ৷''

পৌর প্রতিনিধি হিসেবে বঁজাম্যাঁ সুলে ইঁদুর মারার বদলে প্রাণীগুলিকে মানুষের থেকে দূরে রাখতে চান৷ আবর্জনা জমা রাখার এক ভবনে সেই লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ তিনি বলেন, ‘‘গর্ত ছিল বলে ইঁদুর বেরিয়ে এসেছে৷ খাঁচা বসিয়ে সেই পথ এবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷''

তবে ইঁদুরের উৎপাত পুরোপুরি দূর না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ৷ সুলের মতে, এই সমস্যার জন্য মানুষও দায়ী৷ ফ্রান্সের মানুষ লকডাউনের সময়ে আরও বেশি রান্না করেছেন৷ বঁজাম্যাঁ সুলে মনে করেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে করোনার প্রভাবও কাজ করেছে৷ মানুষ সারাক্ষণ বাসায় রান্নাবান্না করেছে এবং অনেক অবশিষ্ট খাবার ফেলে দিয়েছে৷ রেস্তোরাঁগুলি তো বন্ধ ছিল৷ সেই আচরণ ব়্যাট প্লেগে ইন্ধন জুগিয়েছে৷''

গোটা দেশজুড়েই এমন প্রবণতা দেখা গেছে৷ বড় শহরে জনপ্রতি আনুমানিক দুটি করে ইঁদুর রয়েছে৷ আরও কার্যকরভাবে সেই প্লেগের মোকাবিলা করতে হবে৷ ইঁদুরের মোকাবিলার লক্ষ্যে তিয়েরি সবে বাড়তি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন৷ তিনি মনে করেন, ‘‘ইঁদুর চিরকাল থাকবে৷ এত বড় বাড়িঘর রয়েছে, বিশেষ করে সরকারের তৈরি সস্তার আবাসন৷ আমাদের প্রয়োজন ফুরাবে না৷''

বোদ্যাঁ ও তাঁর সহকর্মীরা সদ্য শেখা নতুন কৌশল সর্বত্র প্রয়োগ করছেন৷ ফলে ফ্রান্সের ইঁদুরদের জন্য হয়তো কঠিন সময় ঘনিয়ে আসছে৷

ফ্রঁসোয়া-সাভিয়ে রিগো/এসবি

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ