1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রান্সে ছুরিকাঘাতে একজন নিহত, আহত সাত

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফ্রান্সের মুলুজ শহরে এক আলজেরীয় ব্যক্তির ছুরি হামলায় এক ব্যক্তি মারা যান, আহত হন সাতজন৷ অভিযুক্ত ব্যক্তি আগে থেকেই সন্ত্রাস দমন সংস্থার নজরে ছিলেন বলে ফ্রান্সের স্বরাষ্টমন্ত্রী জানিয়েছেন৷

Frankreich Mülhausen 2025 | Spurensicherung arbeitet am Tatort nach tödlichem Messerangriff
মুলুজ শহরে ছুরি হামলার ঘটনাস্থলে কাজ করছেন ফরেনসিক কর্মীরা৷ছবি: Sebastien Bozon/AFP/Getty Images

ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলের শহর মুলুজের একটি বাজারে শনিবার বিকেলে ছুরি ও স্ক্রুড্রাইভারের আঘাতে ৬৯ বছর বয়সি এক পর্তুগিজ ব্যক্তিকে হত্যা করে ওই আলজেরীয়৷ ঘটনায় অন্তত সাতজন আহত হন৷ আহতদের মধ্যে পাঁচজন পুলিশকর্মী ও দুজন নগর কর্তৃপক্ষের কর্মী৷ আহতরা আঘাত পান হামলাকারীকে থামানোর সময়৷

ফ্রান্সের সন্ত্রাসরোধী সংস্থা পিএনএটি জানায়, হামলাকারীর প্রকৃত লক্ষ্য ছিল পুলিশকর্মীকে আঘাত করা৷ হামলার সময় ‘আল্লাহু আকবর' বলে চিৎকারও দেন তিনি৷ ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ ঘটনাটিকে ‘ইসলামিস্ট সন্ত্রাসী হামলা' আখ্যা দেন৷

কিন্তু মুলুজ শহরের মেয়র মিশেল লুৎজ বলেছেন, সন্ত্রাসী যোগের বিষয়টি এখনো আদালতের তরফে নিশ্চিত করা হয়নি৷

তদন্তকারীরা হত্যা ও সন্ত্রাসী উদ্দেশ্যে হত্যার অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখছে৷

বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানাচ্ছে, ঘটনায় হামলাকারী ছাড়াও আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যাদের মধ্যে দুজন হামলাকারীর পরিবারের সদস্য৷

জার্মানির বাডেন-ভ্যুর্টেমবার্গ রাজ্য সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় এই মুলুজ শহর৷ প্রায় এক লাখ বাসিন্দার এই শহরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ শহরজুড়ে থমথমে পরিবেশ৷

হামলাকারী আগে থেকেই ছিল কর্তৃপক্ষের নজরে

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে নজরে রাখা হয়েছিল৷ এফএসপিআরটি নামের একটি বিশেষ ওয়াচলিস্ট বা নজরদারি তালিকায় ছিল এই ছুরিকাঘাতের ঘটনার অভিযুক্ত ব্যক্তির নামও৷

তালিকাটি তৈরি করা হয়২০১৫ সালে শার্লি এবদো পত্রিকার ওপর হামলার প্রেক্ষিতে৷

হামলাকারী ব্যক্তির মানসিক অসুস্থতা রয়েছে এবং এর আগেও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের পক্ষ নিয়েছেন তিনি৷ পুলিশের নথিতে তার স্কিৎজোফ্রেনিয়া থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷

অভিবাসন যেভাবে জড়িত

অনিয়মিত পথে ২০১৪ সালে ফ্রান্সে প্রবেশ করার পর তাকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ কিন্তু আলজেরিয়া তাকে ফেরত নিতে একাধিকবার অস্বীকার করে৷

এই প্রসঙ্গে ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ব্রুনো রেটাইলু বলেন, অবিলম্বে আলজেরিয়ার নাগরিকদেরন ফরাসি ভিসা দেবার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা উচিত৷ এই মন্তব্যের জবাবে এখনো কোনো বিবৃতি দেয়নি আলজেরিয়া কর্তৃপক্ষ৷

এসএস/এসিবি (এপি, এফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ