পরমাণু বিদ্যুতের সম্ভাবনা ও বিপদ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই৷ বিশেষ করে সেই প্রক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট বর্জ্য পদার্থের ভবিষ্যৎ নিয়ে মাথাব্যথা কম নয়৷ ফ্রান্সের এক কেন্দ্রে সেই পদার্থ পুনর্ব্যবহার করা হয়৷
ছবি: DW
বিজ্ঞাপন
ব্যবহারের পর জলাধারের মধ্যে বিশেষ কন্টেনারে পরমাণু জ্বালানী শীতল অবস্থায় রাখতে হয়৷ কারণ সেই পদার্থ তখনও তেজস্ক্রিয় থাকে৷ হয় অনন্তকালের জন্য সেটি নিরাপদে জমা রাখতে হয়, অথবা নতুন করে প্রক্রিয়াজাত করে পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করতে হয়৷
লা আগ-এ পরমাণু রিসাইক্লিং ও রিপ্রসেসিং প্লান্টে সেই কাজই করা হয়৷ ফ্রান্সের উত্তর পশ্চিম উপকূলে এই কেন্দ্রে প্রায় ৩,০০০ মানুষ কাজ করেন৷ গোটা বিশ্বে মাত্র ৩টি এমন কেন্দ্র রয়েছে৷
ফাব্রিস ডার্ভে ও অন্যান্য ইঞ্জিনিয়াররা বছরে প্রায় ১,২০০ টন পরিমাণ ব্যবহৃত জ্বালানী রড প্রক্রিয়াজাত করেন৷ সবার আগে একটি জায়গায় সেগুলি খোলা হয়৷ এই প্লান্টে যথেষ্ট মুনাফা হয়৷ ব্যবসা ভালই চলছে৷ এমনকি আবার প্রবৃদ্ধিও ঘটছে৷ ফাব্রিস ডার্ভে এ বিষয়ে বলেন, ‘‘চীনের মতো দেশ আরও পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করতে চায়৷ ফ্রান্সও এই শিল্পক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে৷ ফুকুশিমা বিপর্যয় সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানও নতুন প্লান্ট গড়তে চাইছে৷ অনেক দেশই পরমাণু বিদ্যুত উৎপাদন করতে আগ্রহী৷’’
বিকল্প জ্বালানির পথে জার্মানি
আজকের বিশ্বে অনেক দেশেই জ্বালানি-নীতি নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা চলছে৷ জাপানে ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর জার্মানি পরমাণু ও জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানি সম্পূর্ণ বর্জন করে পুরোপুরি বিকল্প পথে অগ্রসর হচ্ছে৷
ছবি: Reuters
ফুকুশিমা বিপর্যয়ের গভীর প্রভাব
২০১১ সালের মার্চ মাসে ফুকুশিমা বিপর্যয়ের ঠিক আগে জার্মানি তার পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ কিন্তু জাপানের মতো শিল্পোন্নত দেশে পরমাণু চুল্লির এমন বিপর্যয়ের ফলে জার্মানি সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়৷ ধাপে ধাপে সব পরমাণু কেন্দ্র বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার৷
ছবি: dapd
জ্বালানি-নীতির আমূল পরিবর্তন
আর দেরি না করে ২০১১ সালের ৬ই জুন জার্মানির মন্ত্রিসভা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেয়৷ এই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধাপে ধাপে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে ২০২২ সালে জার্মানির শেষ পরমাণু কেন্দ্র অচল করে দেওয়া হবে৷ অন্যদিকে ২০২০ সালের মধ্যে গোটা দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ আসবে বিকল্প জ্বালানি থেকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শুধু বিদ্যুতের উৎস নয়
জ্বালানি-নীতির ক্ষেত্রে জার্মানির এই আমূল পরিবর্তন শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই৷ সার্বিক এই নীতির আওতায় পরিবহণ ও শীতকালে ঘরবাড়ি গরম রাখার উত্তাপের উৎসকে রাখা হয়েছে৷ এ সব ক্ষেত্রেও জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে না পারলে কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব নয়৷
ছবি: REUTERS
বিকল্প জ্বালানির আর্থিক সুবিধা
ছাদে সোলার প্যানেল লাগালে জার্মানিতে বাড়ির মালিক তা থেকে দু’পয়সা আয় করতে পারেন৷ একদিকে সরকার নামমাত্র সুদে ঋণ ও অন্যান্য অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে৷ অন্যদিকে কিছু বিদ্যুৎ কোম্পানি তাঁদের কাছ থেকে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ কিনে নিতে পারে৷
ছবি: DW/G.Rueter
লোকসানের ধাক্কা
জার্মানির সবচেয়ে বড় বেসরকারি জ্বালানি কোম্পানি ‘এয়ন’ জ্বালানি-নীতির পরিবর্তনের ফলে মারাত্মক লোকসানের মুখ দেখছে৷ নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে কাঠামোগত পরিবর্তনের ফলেও আপাতত আর্থিক ক্ষতির মুখ দেখতে হচ্ছে এই সংস্থাকে৷ ২০১৬ সালের প্রথমার্ধে লোকসানের মাত্রা ছিল প্রায় ৩০০ কোটি ইউরো৷ অন্যান্য কিছু সংস্থাও লোকসানের মুখ দেখছে৷
ছবি: Reuters/I. Fassbender
পরিবেশ সংরক্ষণ বিধি
বিকল্প জ্বালানি উৎপাদন পরিবেশের ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে৷ কিন্তু পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত কড়া বিধিনিয়িমের ফলে এমন প্রকল্পও বাধার মুখে পড়ছে৷ যেমন উপকূলের কাছে সমুদ্রের উপর বায়ুশক্তি টার্বাইন গড়ে তোলার বিরুদ্ধে মামলা করেছে এক পরিবেশ সংগঠন৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পের পরিকল্পনার সময় পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়গুলি বিবেচনায় রাখলে এমন সমস্যা এড়ানো সম্ভব৷
ছবি: Bund/M.Rode
বাজার অর্থনীতির উপযোগী
শুধু সরকারের একার পক্ষে জ্বালানি-নীতির পরিবর্তন ও বিকল্প জ্বালানি উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়ার প্রচেষ্টা কোনো দেশেই বেশি দিন চলতে পারে না৷ জার্মানি দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পর বিকল্প জ্বালানির ক্ষেত্রে কিছু ভরতুকি বন্ধ করে দিয়েছে৷ সরকারের বক্তব্য, বিকল্প জ্বালানি উৎপাদন এতদিনে লাভজনক হয়ে উঠেছে৷ বাজার অর্থনীতির প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে টিকে থাকার ক্ষমতাও এসে গেছে৷
ছবি: BELECTRIC.com
বিদ্যুৎ পরিবহণ
বিকল্প জ্বালানির উৎপাদন বাড়িয়ে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমানো যায় বটে, কিন্তু ‘ক্লিন এনার্জি’ গোটা দেশে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ৷ জার্মানির উত্তরে সমুদ্র উপকূল থেকে বায়ুশক্তি প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বাভেরিয়া রাজ্যে পৌঁছে দিতে বিশাল এক প্রকল্পের কাজ চলছে৷ এই উদ্যোগকে ঘিরে বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সামলে নিতে পারলে এই পথে ২০২২ সাল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে৷
ছবি: Fotolia/Thorsten Schier
জার্মানির সুদূরপ্রসারী জ্বালানি নীতি
জ্বালানির ক্ষেত্রে জার্মানি যে সুদূরপ্রসারী নীতি গ্রহণ করেছে, তার তুলনা মেলা ভার৷ এ বিষয়ে আরও জানতে চান? উপরে ডানদিকে ক্লিক করুন৷
ছবি: Reuters
9 ছবি1 | 9
প্রায় ৩ বছর ধরে জলাধারে রাখার পর রডগুলি শীতল হয়৷ ফ্রান্স, জার্মানি – এমনকি সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকেও সেগুলি এখানে আনা হয়৷ যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রডগুলির ছোট টুকরো করা হয়৷ প্লান্টের যে অংশে রিসাইক্লিং ঘটে, সেখানে ছবি তোলার অনুমতি নেই৷ প্রক্রিয়াজাতকরণের শেষে যে তিনটি পণ্য তৈরি হয়, সরবরাহকারীদের তা আবার কিনে নিতে হয়৷
এর মধ্যে ৪ শতাংশ অত্যন্ত উচ্চ মাত্রার তেজস্ক্রিয় বর্জ্য, যা গলিয়ে কাচের মধ্যে ঢালা হয়৷ নিরাপদ এক স্থানে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে সেগুলি মজুত করা হয়৷ এক শতাংশ প্লুটোনিয়াম পাওয়া যায়, যা বিদ্যুৎ উৎপাদন বা পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাজে লাগে৷ বাকি ৯৫ শতাংশ ইউরেনিয়াম৷ সেটিও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে কাজে লাগানো যায় বটে, কিন্তু তার আগে সেটি সমৃদ্ধ করতে হয়৷ ফাব্রিস ডার্ভে জানান, যে সেখানে রিসাইকেল করা ইউরেনিয়াম ব্যবহার করে ফ্রান্সের ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়৷
তবে লা আগ পরিবেশ দূষণ করছে বলে গ্রিনপিসের মতো পরিবেশবাদী সংগঠন মনে করিয়ে দিচ্ছে৷ প্রতিদিন সেখান থেকে প্রায় ১০ লক্ষ লিটার পানি ইংলিশ চ্যানেলে ছাড়া হয়৷ তরলীকরণের ফলে সেটি কম বিপজ্জনক হয়ে পড়ে৷ লা আগ প্লান্টের দাবি অনুযায়ী তাতে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই থাকে৷
এখানকার মানুষ এখনো উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন৷ এলাকার পানি থেকে তোলা মাছ খেয়ে শরীরে তেজস্ক্রিয় পদার্থ প্রবেশ করছে বলে তাঁদের মনে আশঙ্কা রয়েছে৷ কেউ মনে করেন, তেজস্ক্রিয়তা প্রাণী ও মানুষের জন্য ভালো নয়৷ অনেকেই পরমাণু বিদ্যুৎ ত্যাগ করার পক্ষে৷ একজন জানালেন, ‘‘বিদ্যুতের জন্য আমাদের বিকল্প উৎসের প্রয়োজন, যাতে কোনো এক সময়ে পরমাণু বিদ্যুৎ ত্যাগ করা যায়৷ কিন্তু বর্তমানে ফ্রান্সে তা নেই৷ জার্মানরা আমাদের তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে৷’’
ফ্রান্সের বিদ্যুতের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ পরমাণু কেন্দ্র থেকে আসে৷ অনেক দশক ধরে পরমাণু বিদ্যুতের আধিপত্য বজায় থাকবে৷ অর্থাৎ লা আগ-এ তেজস্ক্রিয় বিকিরণ কমানোর উদ্যোগকে অগ্রাধিকার দিয়ে যেতে হবে৷
উটে শ্নাইডার/এসবি
পরমাণু বিদ্যুতের ভবিষ্যৎ কী?
১৯৮৬ সালে চেরনোবিল এবং ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমায় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনার পর পরমাণু শক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা চলছে৷
ছবি: Kerry Skyring
সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা
১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল চেরনোবিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিস্ফোরণের পর ইউক্রেন, বেলারুশ ও রাশিয়ার বাতাসে ব্যাপক তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল৷ ইউরোপের অন্যান্য দেশেও চিন্তিত হওয়ার মতো তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া গিয়েছিল৷ দুর্ঘটনাস্থলের আশেপাশে এখনও ‘এক্সক্লুশন জোন’ আছে, যেখানে মানুষজনকে বসতি স্থাপন করার অনুমতি দেয়া হয় না৷
ছবি: picture-alliance/ dpa
পরের শিকার জাপান
২০১১ সালের মার্চে জাপানে প্রথমে নয় মাত্রার ভূমিকম্প ও তারপর সুনামির কারণে ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি রিঅ্যাক্টর দুর্ঘটনায় পড়ে৷ ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমায় নিউক্লিয়ার বোমা ফেলার কারণে যে পরিমাণ সিজিয়াম-১৩৭ বের হয়েছিল, ফুকুশিমার ঘটনায় তার চেয়ে প্রায় ৫০০ গুন বেশি তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব
চেরনোবিল দুর্ঘটনার পর হাজার হাজার মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ জাপানেও একই অবস্থা তৈরি হয়েছে৷ ঐ অঞ্চলের শিশুদের টাইফয়েড ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা জাপানের অন্যান্য অঞ্চলের শিশুদের তুলনায় প্রায় ২০ গুন বেশি৷
ছবি: Reuters
৩০ থেকে ১ শতাংশ
ফুকুশিমায় দুর্ঘটনার আগে জাপানের বিদ্যুৎ চাহিদার ৩০ শতাংশ আসত পরমাণু শক্তি থেকে৷ তবে ২০১১ সালের পর সেটি নেমে এসেছে মাত্র এক শতাংশে৷
ছবি: REUTERS
সংকটে পরমাণু শক্তি শিল্প
বর্তমানে এই শিল্প আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷ জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ক্ষতি গুনছে৷ আর নতুন করে রিঅ্যাক্টর তৈরির কাজও স্থগিত আছে৷
ছবি: Reuters
ফ্রান্সে বাধা
‘প্রেসারাইজড ওয়াটার রিঅ্যাক্টর’ বা পিডাব্লিউআর নামে দেশটির সর্বাধুনিক নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর নিয়ে ফ্রান্সের অনেক আশা ছিল৷ প্রকল্পটি বেশ নিরাপদ বলেই তারা মনে করেছিল৷ কিন্তু ২০১২ সালে এটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে সেই তারিখ পিছিয়ে দেয়া হয়েছে৷ ২০১৮ সালে সেটি চালু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে৷ ব্যয় হচ্ছে ১০ বিলিয়ন ইউরো - প্রকৃত খরচের চেয়ে প্রায় তিন গুন বেশি৷
ছবি: Getty Images/AFP/C. Triballeau
নতুন রিঅ্যাক্টর তৈরি করবে ব্রিটেন
অনেক বছর ধরে দেশটি দুটি নতুন পিডাব্লিউআর নির্মাণের পরিকল্পনা করছে৷ এতে খরচ হতে পারে ৩৩ বিলিয়ন ইউরো৷ তবে আর্থিকভাবে এটি লাভজনক হবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক আছে৷ কারণ, ঐ রিঅ্যাক্টরগুলো থেকে যে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে তার দাম সৌর ও বায়ু বিদ্যুতের চেয়ে বেশি হবে৷ ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ভর্তুকি দিতে হতে পারে৷
ছবি: Getty Images/J. Tallis
দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা
২০২২ সালের মধ্যে সব পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করতে একটি আইন পাস করেছিল জার্মানি৷ তবে বর্তমান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ২০০৫ সালে ক্ষমতায় এসে সেই আইন থেকে সরে এসেছিলেন৷ তবে ২০১১ সালে জাপানে দুর্ঘটনার পর ম্যার্কেল তাঁর সিদ্ধান্ত বদল করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Ebener
একে একে বন্ধ হচ্ছে
এখন পর্যন্ত জার্মানির নয়টি রিঅ্যাক্টর বন্ধ হয়েছে৷ বাকি আছে আটটি৷ সেগুলোও ২০২২ সালের মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Ebener
দুর্ঘটনার আশঙ্কা
ইউরোপীয় ইউনিয়নে এখনও ১৩২টি রিঅ্যাক্টর চালু আছে৷ ৩০ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত এগুলো কার্যকর থাকার কথা৷ এদের গড় বয়স এখন ৩২৷ ফলে মাঝেমধ্যেই ত্রুটি ধরা পড়ছে৷ দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে বিক্ষোভকারীরা এগুলো এখনই বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন৷
ছবি: DW/G. Rueter
চীন এখনও পরমাণু বিদ্যুৎ চায়
ফুকুশিমায় দুর্ঘটনার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান ও রাশিয়ায় এখনও নতুন কোনো পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হয়নি৷ তবে চীন এখনও এর থেকে সরে আসেনি৷ বরং কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিকল্প হিসেবে পরমাণু শক্তির কথা চিন্তা করছে তারা৷ পাশাপাশি সৌর ও বায়ু বিদ্যুতের প্রসার ঘটানোরও পরিকল্পনা আছে তাদের৷