করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জের। শুক্রবার থেকে ফের সম্পূর্ণ লকডাউনের নির্দেশ দিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও সোমবার থেকে আংশিক লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছেন।
গত এক সপ্তাহে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনার প্রকোপ লাফিয়ে বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে করোনার সংক্রমণ হয়েছে ৩৪ হাজার। তার পরেই বুধবার রাতে জরুরি বৈঠকে বসেন মাক্রোঁ। আলোচনার শেষে জরুরি ভিত্তিতে লকডাউনের কথা ঘোষণা করেন তিনি। নতুন নিয়ম বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। দেশের মানুষের কাছে অনুরোধ করেছেন, যেন সকলে নিয়ম মানেন।
মাক্রোঁর বক্তব্য, যে ভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে দ্রুত হাসপাতালগুলি ভর্তি হয়ে যাবে। মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না। অন্য প্রদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করাও সম্ভব হবে না। কারণ, দেশের সর্বত্র করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে এই সময়ে লকডাউন মানতেই হবে সকলকে। খুব প্রয়োজন না হলে বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। এর জন্য যে আর্থিক ক্ষতি হবে, সরকার সে দিকে লক্ষ্য রাখবে বলেও মাক্রোঁ কথা দিয়েছেন। ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য বৃহস্পতিবারই ১০ হাজার ইউরোর ইনসেনটিভ বা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন তিনি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: ইউরোপে আবার কড়াকড়ি
ইউরোপে করোনার প্রকোপ আবার বাড়ছে৷তাই অর্থনীতি বাঁচাতে লকডাউন এড়িয়েই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আবারো কড়াকড়ি আরোপ করছে কয়েকটি দেশের সরকার৷
ছবি: Philippe Lopez/AFP/Getty Images
জার্মানিতে ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকা বাড়ছে
করোনা সংক্রমণের নতুন ঝুঁকিতে জার্মানির মিউনিখ শহর৷ বার্লিনে হঠাৎ করেই বেড়েছে সংক্রমণ৷ আর তাই রাতে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন৷ শহরটিতে ৭০ বছরের মধ্যে এই প্রথম কারফিউ জারি করা হলো৷ রাত ১১টার মধ্যে দোকানপাটসহ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ আপাতত অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত নির্দেশ জারি করা হয়েছে৷ পাঁচ জনের বেশি মানুষ রাত ১১টার পর ঘরের বাইরে এক হতে পারবে না৷
ছবি: Fabrizio Bensch/Reuters
চেক প্রজাতন্ত্রে জাতীয় পর্যায়ে লকডাউন জারি
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বেড়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো দেশব্যাপী লকডাউন জারি করেছে চেক প্রজাতন্ত্র সরকার৷ অক্টোবরের ৫ তারিখ থেকে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে৷ মাস্ক সব জায়গায় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ গির্জায় ১০ জনের বেশি মানুষের প্রবেশ নিষেধ৷ শপিং সেন্টারগুলোতে ওয়াইফাই বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে, যাতে তরুণদের জমায়েত কম হয়৷
ছবি: Gabriel Kuchta/Getty Images
স্পেনে জরুরি অবস্থা জারি
স্পেনে হঠাৎ করে আবারো বেড়েছে করোনা সংক্রমণ৷ সংক্রমণ কমাতে মন্ত্রিসভা ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশ দিয়েছে৷ সারাদেশে কোয়ারান্টিন পদ্ধতি আবারও বলবৎ হচ্ছে৷ মাদ্রিদের স্থানীয় সরকার করোনা প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অমান্য করার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো৷
ছবি: SOPA Images/ZUMA Wire/picture-alliance
ফ্রান্সে কড়াকড়ি আরোপে পুলিশি তৎপরতা
ফ্রান্সে দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ৷ এ কারণে রাজধানী প্যারিসে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব ‘বার ’৷ তুলোঁ এবং মঁতেপিলার ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকার শীর্ষে৷ শনিবার ফ্রান্সে একদিনে সংক্রমণের হার ছিল ২৭ হাজার, যা মহামারি শুরুর পর থেকে সর্বোচ্চ৷ প্যারিস এবং এর উপকন্ঠে পুলিশ সবসময় লক্ষ্য রাখছে বারগুলো বন্ধ আছে কিনা আর রেস্তোরাঁগুলোতে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে কিনা৷
ছবি: Kiran Ridley/Getty Images
পোল্যান্ডে সংক্রমণ বাড়লেও স্কুল খোলা
পোল্যান্ডে টানা পাঁচদিন ধরে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ কিন্তু এরপরও স্কুল খোলা আছে৷ ৬০ থেকে ৬৫ বছর বয়সি মানুষদের জন্য সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকছে৷ বাইরে বের হলে সর্বত্র মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ ৩ কোটি ৮০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ লাখ ২১ হাজার ৬৩৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন এবং ২ হাজার ৯৭২ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন৷
ছবি: Reuters/K. Pempel
স্লোভাকিয়া: ছয় জনের বেশি একসাথে নয়
স্লোভাকিয়ায় ১৩ অক্টোবর থেকে ছয় জনের বেশি মানুষ জমায়েত হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ তবে পরিবারের সদস্যরা এই নিয়মের বাইরে৷ গির্জায় প্রার্থনা ও সব ধরনের ‘পাবলিক ইভেন্ট’ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷ সর্বত্র মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ ফিটনেস আর ওয়েলনেস সেন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে৷ রেস্তোরাঁর ভেতরে খাবার দেয়া নিষিদ্ধ৷ (৩০ সেপ্টেম্বর তোলা এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে করোনা কড়াকড়ির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ৷)
ছবি: Pavel Neubauer/dpa/picture-alliance
ইংল্যান্ডে ‘থ্রি-টায়ার’ অ্যালার্ট
ইংল্যান্ডে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ‘থ্রি-টায়ার’ অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করেছে সরকার৷ নতুন এই সিস্টেমে করোনা সংক্রমণের হারের ভিত্তিতে এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় ‘মধ্যম’ ‘উচ্চ’ ও ‘সর্বোচ্চ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে৷ যেমন: উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় আছে লিভারপুল৷ এই এলাকায় কড়াকড়ি আরোপের কথা ভাবছে সরকার৷ ফলে জিম, পাব, ক্যাসিনো বন্ধ রাখার ঘোষণা আসতে পারে৷
ছবি: Justin Tallis/AFP/Getty Images
7 ছবি1 | 7
লকডাউনের নিয়ম
স্কুল, কাজ এবংচিকিৎসার প্রয়োজনে মানুষ বাড়ির বাইরে বেরতে পারবেন। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্যও বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে। কিন্তু বাড়ি থেকে বেরলেই প্রশাসনকে তার কারণ জানাতে হবে। এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে যাতায়াত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রতিটি সীমানা সিল করে দেওয়া হয়েছে। বার, রেস্তোরাঁ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জরুরি কাজ ছাড়া ঘোরাঘুরি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, অধিকাংশ ক্লাস যেন অনলাইনে করানো হয়। অফিসের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুব প্রয়োজন না হলে বাড়িতে বসেই অফিস করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে এক ঘণ্টার জন্য বাড়ির বাইরে এক্সারসাইজ করতে যাওয়া যাবে।
প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নিয়ম চালু থাকবে। তারপর পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ফরাসি জনগণের কাছে মাক্রোঁর অনুরোধ, তাঁরা যেন নিয়মগুলি পালন করেন।
করোনায় কাবু সরকার প্রধানরা
বিশ্বের ক্ষমতাধর অনেক ব্যক্তিই করোনার কাছে হেরে গেছেন৷ এই তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে৷ সবশেষ এই দলে যোগ দিয়েছেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ৷
ছবি: Olivier Matthys/AP Photo/picture alliance
সোফি গ্রেগরি ট্রুডো
গত মার্চে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্ত্রী সোফি গ্রেগরি ট্রুডো৷ এরপর ১৪ দিনের কোয়ারান্টিনে ছিলেন জাস্টিন ট্রুডো নিজেও৷ তবে তিনি বা তিন সন্তানের কেউ করোনা সংক্রমিত হননি৷
ছবি: Reuters/P. Doyle
প্রিন্স দ্বিতীয় আলবার্ট
মোনাকোর প্রিন্স দ্বিতীয় আলবার্ট রাজ পরিবার এবং রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি৷ মার্চে তার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে৷
ছবি: picture-alliance/MediaPunch/D. Van Tine
বরিস জনসন
শুরুতে করোনাকে পাত্তা না দিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷ প্রধান বিশ্ব নেতাদের মধ্যে তিনিই প্রথম করোনায় আক্রান্ত হন৷ শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে এপ্রিলের শুরুতে তাকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়৷
ছবি: Photoshot/picture-alliance
মিখাইল মিশোস্টেন
এপ্রিলের শেষে করোনা শনাক্ত হয়েছিলেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশোস্টেন৷ ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে৷ তার অবর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন আন্দ্রেই বেলোসোভ৷
ছবি: Reuters/Sputnik/E. Shtukina
নুনো গোমেজ নাবিয়াম
এপ্রিলেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন গিনি-বিসাউ এর প্রধানমন্ত্রী নুনো গোমেজ নাবিয়াম৷ তার মন্ত্রীসভার তিন সদস্যেরও কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়েছিল সেসময়৷
ছবি: DW/B. Darame
হুয়ান অর্লান্দো হার্নান্দেজ
জুনে নিউমোনিয়ার লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট হুয়ান অর্লান্দো হার্নান্দেজ৷ পরবর্তীতে করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়৷ করোনার টিকায় বিশ্বের সবার সমান অধিকার নিয়ে কথা বলে যাচ্ছেন তিনি৷
ছবি: AFP/O. Sierra
নিকোল পাশেনিয়ান
পুরো পরিবারসহ জুনে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশেনিয়ান৷ তবে আক্রান্তের খবর প্রকাশের এক সপ্তাহের মধ্যেই ভাইরাসমুক্ত হয়েছেন বলে ফেসবুকে ঘোষণা দেন তিনি ৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Druzhinin
জেইর বলসোনারো
শুরুর দিকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারো করোনা সংকটকে ‘উদ্ভট কল্পনা’ এবং সাধারণ ফ্লু হিসেবে অভিহিত করেছেন৷ পরবর্তীতে দেশটি মারাত্মকভাবে করোনা আক্রান্ত হয়৷ জুলাইতে এসে বলসোনারো নিজেই করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন৷
ছবি: Youtube/TV BrasilGov
আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো
করোনা প্রতিরোধে যেসব দেশের সরকার তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়নি তার একটি বেলারুশ৷ দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো করোনা মহামারিকে মানসিক সমস্যা হিসেবে অভিহিত করেছিলেন৷ করোনা প্রতিরোধে ভদকা পানেরও পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি৷ জুলাইর শেষ দিকে নিজে করোনা আক্রান্ত বলে ঘোষণা দেন লুকাশেঙ্কো৷ জানান, কোভিড পজিটিভ হলেও তার তেমন কোন লক্ষণ নেই৷
ছবি: picture-alliance/Russian Look/V. Listsyn
আলেখান্দো গিয়ামাত্তে
সেপ্টেম্বরে গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট আলেখান্দো গিয়ামাত্তের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়৷ এরপর গোটা মন্ত্রীসভার সদস্যদের করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দেন তিনি৷ যার মাধ্যমে সংস্কৃতি মন্ত্রীরও করোনা ধরা পড়ে৷
ছবি: Johan Ordonez/AFP
ডনাল্ড ট্রাম্প
দুই অক্টোবর নিজের ও ফাস্ট লেডি মেলানিয়ার করোনা পজেটিভের খবর দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল তাকে৷ শুরু থেকেই করোনা ভাইরাসের হুমকিকে খাটো করে দেখানোর জন্য সমালোচিত হয়ে আসছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷
ছবি: Carlos Barria/Reuters
এমানুয়েল মাক্রোঁ
১৭ ডিসেম্বর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে৷ তার কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে এ খবর নিশ্চিত করা হয়৷ তাদের তথ্য অনুযায়ী, মাক্রোঁ সাত দিনের আইসোলেশনে রয়েছেন৷ তার বেশ কিছু বিদেশ সফর ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে৷ লেবানন সফরও রয়েছে বাতিল হয়ে যাওয়া সফরের তালিকায়৷
ছবি: Olivier Matthys/AP Photo/picture alliance
12 ছবি1 | 12
জার্মানিতে আংশিক লকডাউন
বুধবার রাতে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও আংশিক লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছেন। খুব প্রয়োজন না হলে জার্মান নাগরিকরা যাতে বাড়ির বাইরে না বের হন, তার অনুরোধ জানিয়েছেন চ্যান্সেলর। স্কুল খোলা থাকলেও অনলাইন ক্লাসের উপর জোর দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি জানিয়েছেন, গণপরিবহন চালু থাকবে। কিন্তু একসঙ্গে বেশি মানুষ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। কোনো সমাবেশে দশ জনের বেশি একত্রিত হতে পারবেন না। সিনেমা হল, থিয়েটার বন্ধ থাকবে। বার, রেস্তোরাঁও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তবে রেস্তোরাঁ থেকে খাবার বাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে। পর্যটকদের জন্য হোটেল বন্ধ। বিশেষ দরকারে কেউ হোটেলে থাকতে পারেন।
প্রশ্ন উঠছে, চ্যান্সেলর আংশিক লকডাউনের নিয়ম ঘোষণা করলেও সকলে তা মানবেন তো? জার্মানিতে লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে। মাস্ক ছাড়া শয়ে শয়ে মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন। এই পরিস্থিতিতে নতুন আংশিক লকডাউন বিধি কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছে। ম্যার্কেল অবশ্য বলেছেন, মানুষের প্রতিবাদের অধিকার আছে। ফলে এই পরিস্থিতিতেও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ প্রদর্শনে কোনো বাধা থাকছে না।
ইটালি এবং স্পেনও গত ২৪ ঘণ্টায় সব চেয়ে বেশি সংক্রমণের কথা জানিয়েছে। তারই মধ্যে ইটালিতে কড়াকড়ির বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। রাস্তায় পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ চলছে।