দূতাবাস বন্ধ করছে ফ্রান্স
২০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ‘ইনোসেন্স অফ মুসলিমস' ছবিটি নিয়ে তোলপাড় থিতু হওয়ার আগেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করেছে একটি কার্টুন৷ এ কার্টুনের বিষয়বস্তুও ইসলাম ধর্মাবললম্বীদের কষ্ট পাওয়ার মতো৷ ফ্রান্সের সাপ্তাহিক চার্লি হেবডোতে প্রকাশিত হয়েছে এটি৷ সেখানেও ‘ইনোসেন্স অফ মুসলিমস’ ছবির মতো হাসির খোরাক বানানো হয়েছে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে৷ তবে এ কার্টুন বাজারে আসার পরই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ফরাসি সরকার৷ দূতাবাসগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে৷ কিছু দেশে দূতাবাস আপাতত বন্ধ৷ এদিকে ‘ইনোসেন্স অফ মুসলিমস’ ছবির বিরুদ্ধে শনিবার যে বি্ক্ষোভ হওয়ার কথা তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ফ্রান্সের পুলিশ৷ সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কার্টুনটি কাউকে আঘাত দিয়ে থাকলে তিনি বা তাঁরা আদালতে যেতে পারেন, তবে অন্য কোনোভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করা উচিত নয়, কারণ, ফ্রান্স সবার মত প্রকাশের নিশ্চয়তা দেয়, এমনকি কার্টুন প্রকাশেরও৷ এসব কারণে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ মুসলমানদের ক্ষোভ আরো বেড়েছে৷ আফগানিস্তান আর ইরানে বিক্ষোভ হয়েছে ফরাসী দূতাবাসের সামনে৷ মিছিলকারীরা তখন ‘ফ্রান্স নিপাত যাক, ফ্রান্স নিপাত যাক’ স্লোগান দেন৷ এ সময় ‘ইনোসেন্স অফ মুসলিমস’ ছবির জন্যও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা৷ তবে ফরাসি মুসলমানদের একটি সংগঠন কার্টুন প্রকাশ করায় চার্লি হেবডো পত্রিকার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, শুক্রবার মসজিদে সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো হবে৷
এদিকে কারো ধর্মকেই কেউ যেন খাটো করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে আইন প্রনয়ণ করার ভাবনা গুরুত্ব পাচ্ছে জার্মানিতে৷ জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হান্স পেটার ফ্রিডরিশ বলেছেন, তিনিও চান প্রত্যেকে প্রত্যেকের ধর্মানুভূতির প্রতি আরো বেশি সম্মান দেখাক৷ ‘ইনোসেন্স অফ মুসলিমস' ছবির কারণে সিন্ডি লি গার্সিয়া নামের এক অভিনেত্রীর নামও উঠে এসেছে বিশ্বের প্রায় সব মাধ্যমের খবরে৷ যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিনেত্রী ছবির বিষয়বস্তু সম্পর্কে ভুল ধারণা দিয়ে অভিনয় করানোর কারণে মামলা ঠুকে দিয়েছেন বিতর্কিত ছবিটির প্রযোজকের বিরুদ্ধে৷
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স)