বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে৷ তবে একে এগিয়ে নিতে সরকারের আরও সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন ব্লগাররা৷ এছাড়া আউটসোর্সিং করতে গিয়ে যেন কেউ প্রতারণার শিকার না হন সেজন্য সতর্ক হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন কেউ কেউ৷
ছবি: DW
বিজ্ঞাপন
ব্লগার রাগিব নিযাম মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং হলো একটা স্বাধীন পেশা, যেটা ব্যবসার মতো ঝুঁকিপূর্ণ নয়, আবার চাকরির মতো একঘেঁয়েও নয়৷ তাই তিনি সবাইকে এর প্রতি আগ্রহী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷ এছাড়া ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত, অর্থাৎ কীভাবে শুরু করা যেতে পারে, কোথায় যাওয়া যেতে পারে, এ ধরণের পরামর্শমূলক কিছু তথ্য দিয়ে সামহয়্যার ইন ব্লগে নিযাম একটি পোস্ট দিয়েছেন৷
আউটসোর্সিং-এর সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে ব্লগার নিযাম এই খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি লিখেছেন , ‘‘...সরকার যদি শিক্ষা বিভাগে আরো জোর দিয়ে সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় ইংরেজির মান বাড়ায়, ঘরে রক্ষণশীলতায় বসে থাকা শিক্ষিত মেয়ে, গৃহবধুদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ফ্যাসিলিটিজ বাড়ায়, তাহলে এই খাত থেকে যে পরিমাণ রেমিটেন্স আয় হবে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ হবে সেই আয়ের ৩০ শতাংশ!''
সাংবাদিকদের জন্য দুঃসময়
একটি সমীক্ষা অনুযায়ী গত দশ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিস্থিতি এতো খারাপ দেখা যায়নি৷ বিশ্ব জনসংখ্যার ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ বাস করেন যে সব দেশে, সে সব দেশে সাংবাদিকদের কাজে হস্তক্ষেপ করা হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images
মধ্য এশিয়ার পরিস্থিতি
ফ্রিডম হাউস নামে একটি প্রতিষ্ঠান ১৯৯৭টি দেশের ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছে, যার ফলাফলে দেখা গেছে, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান এবং বেলারুশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সবচেয়ে কম৷ অন্যদিকে সাংবাদিকদের সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা রয়েছে নেদারল্যান্ডস, সুইডেন এবং নরওয়েতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সাংবাদিকদের ওপর হামলা
তুরস্কে অনেক সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়েছে৷ সাংবাদিক গ্যোকহান বিচিচি-কে প্রেপ্তার করা হয় গেজি পার্কে বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে৷ সাংবাদিকদের স্বার্থরক্ষা কমিটির মতে গত ডিসেম্বরের শুরুতে তুরস্কে ৪০জন সাংবাদিকদের আটক করা হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images
অপ্রিয় রিপোর্ট
ইউক্রেনেও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়৷ বিশেষ করে কিয়েভের ময়দান স্কোয়ারে প্রতিবাদ বিক্ষোভের সময়৷ সরকারের সমালোচক সাংবাদিক টেটিয়ানা চর্নোভোল ঐ হামলার শিকার হন৷ তিনি পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ বিলাসী জীবনযাত্রার ওপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন৷ হাজারো মানুষ এই সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন৷
ছবি: Genya Savilov/AFP/Getty Images
মিথ্যা বলা বন্ধ করুন!
চীন এবং রাশিয়াতেও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমালোচনার মুখে৷ দুই দেশের সরকারই মিডিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে এবং সরকারের মতামত মিডিয়াকে জানানোর জন্য একটি আইনও প্রণয়ন করে৷ এমনকি রাশিয়ায় সংবাদ সংস্থা ‘রিয়া নভোস্তি’ বন্ধ করে সেটা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব করা হয়৷ অনেক রুশ নাগরিকের তা পছন্দ না হওয়ায় তারা ‘মিথ্যা বলা বন্ধ করুন’ প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মার্কিন সরকারের আড়িপাতা
অ্যামেরিকায় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রয়েছে৷ কিন্তু মার্কিন তথ্যনীতি ক্রমঃশই প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে৷ সমীক্ষা অনুযায়ী, সরকার সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে গেছে৷ শুধু তাই নয়, এমনকি সরকার সাংবাদিকদের কাছে তথ্য সূত্রও জানতে চায়৷ এছাড়া, মার্কিন সরকার সংবাদ সংস্থা এপি-র সাংবাদিকদের টেলিফোনেও আড়ি পেতেছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
মুবারক জমানায় প্রত্যাবর্তন
মিশরে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে৷ প্রেসিডেন্ট মুরসির পতনের পর সেখানকার পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে৷ সমীক্ষা প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউস-এর মতে, ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে সামরিক অভ্যুথ্যানের পর থেকে বেশ কিছু সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয় হয় এবং পাঁচজন মারা যান৷
ছবি: AFP/Getty Images
মালিতে পরিস্থিতির উন্নতি
মালিতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ইতিবাচক উন্নতি হয়েছে৷ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ইসলামি বিদ্রোহীদের দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিতাড়নের পর মালির আইন ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়৷ ২০১২ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর বেশ কিছু মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো৷ সেগুলো এখন আবার কাজ করছে৷
ছবি: AFP/Getty Images
কিরগিজিস্তান ও নেপালে ইতিবাচক প্রবণতা
যে সব দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বাড়ছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কিরগিজিস্তান৷ সেখানকার সাংবাদিকরা ২০১৩ সালে খুব কম আক্রমণের শিকার হয়েছেন৷ নেপালেও মিডিয়ার ওপর রাজনৈতিক প্রভাব কমেছে, যদিও সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া বন্ধ হয় নি৷ সমীক্ষা অনুযায়ী ইসরায়েলেও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উন্নতি হয়েছে এবং এখন তাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন৷
ছবি: AFP/Getty Images
8 ছবি1 | 8
ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং শেখার উপায় নিয়ে সামহয়্যার ইন ব্লগে বিভিন্ন সময় অনেকে ব্লগ পোস্ট করেছেন৷
তবে অন্যান্য অনেক খাতের মতো এই খাতে কাজ করতে গিয়েও প্রতারণার শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ ব্লগার সোহেল হোসেন তাই এ সম্পর্কিত একটি পোস্ট লিখে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন৷ সামহয়্যার ইন ব্লগে গত বছর প্রকাশিত তাঁর পোস্টের শিরোনাম ‘‘ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ে নতুন প্রতারণার ফাঁদ - সতর্ক হওয়ার এখনই সময়''৷
এদিকে, মো: ইলিয়াসের ‘‘আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের নামে সাইবারক্রাইম - গন্তব্য বাংলাদেশ?'' শীর্ষক ব্লগ পোস্টে এ সংক্রান্ত আরেকটি তথ্য পাওয়া গেল৷ সামহয়্যার ইন ব্লগে গত বছর মে মাসে প্রকাশিত এই পোস্টটি রাগিব হাসানের লেখা থেকে নেয়া৷ পোস্টে বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশে এখন আউটসোর্সিংয়ের হাওয়া চলছে৷ পত্রপত্রিকায় নানা উদ্যোক্তার সাফল্যের কথা পড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সবাই৷ কিন্তু প্রস্তুতি না নিয়ে ও ভালোমতো না জেনে যোগ দেয়া অনেক তরুণই সাইবার ক্রাইম বা ইন্টারনেটভিত্তিক অপরাধচক্রের হয়ে কাজ করছে, জেনে বা না জেনে৷'' কীভাবে সেটা হচ্ছে, তার বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যাবে পোস্টটিতে৷