1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘ফ্রেন্ডস অফ সিরিয়া’’

১ এপ্রিল ২০১২

প্রায় ৭০টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অপরাপর কর্মকর্তারা ইস্তানবুলে মিলিত হয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন৷ অপরদিকে রয়েছে বিদ্রোহীদের অস্ত্রদানের প্রশ্ন৷

A general view during the opening session of "Friends of Syria" conference in Istanbul April 1, 2012. REUTERS/Murad Sezer (TURKEY - Tags: POLITICS)
Treffen Freunde von Syrien in Istanbulছবি: Reuters

সিরিয়ার বান্ধবরা যে আপাতত বিদ্রোহীদের অস্ত্রদানের মতো গুরুতর পদক্ষেপ নেবে না, তা ধরেই নেওয়া যেতে পারে৷ বিরোধীপক্ষের সিরীয় জাতীয় পরিষদ বা এসএনসি নিজেরাই বলছে, অস্ত্র সরবরাহ তাদের মনমতো পন্থা নয়, কেননা এ'তে গৃহযুদ্ধের ঝুঁকি আরো বাড়বে৷ অপরদিকে যেখানে সিরিয়ার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে, সেখানে তারা নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না৷ তাই এসএনসি ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি' বা এফএসএ'র জন্য বেতার সরঞ্জাম ও সম্ভব হলে অস্ত্র প্রার্থনা করেছে৷ তবে সিরিয়ার বান্ধব গোষ্ঠীতে একমাত্র সৌদি আরব ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলি অস্ত্রদান অবধি যেতে রাজি৷ তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তায়িপ এর্দোয়ান ইস্তানবুলে দাবি করেছেন যে, ‘‘সিরীয় জনগণের বৈধ দাবিগুলি অবিলম্বে মেনে নিতে হবে৷'' মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন তার বক্তৃতায় আসাদ'কে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ করতে, নয়তো ‘‘গুরুতর ফলশ্রুতির'' মুখোমুখি হবার ভয় দেখিয়েছেন৷

ইস্তানবুলে আসাদ সমর্থকরা বিক্ষোভের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছবি: Reuters

এসএনসি'কে পূর্ণ স্বীকৃতি দেবার ব্যাপারেও যে খুব বেশি প্রগতি অর্জিত হয়েছে, এমন নয়৷ প্রথমত এসএনসি এখনো বিভিন্ন গোষ্ঠী সংক্রান্ত কাজিয়ায় জড়িত৷ এছাড়া পরিষদে মুসলিম ভ্রাতৃত্বের প্রভাব সম্পর্কেও পশ্চিমা বিশ্বের সন্দেহ আছে৷ ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালাঁ জুপে এবার ইস্তানবুল থেকে বলেছেন যে, ‘‘ফ্রেন্ডস অফ সিরিয়া'' সম্মেলন সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল'কে তাদের প্রধান সংলাপ-সহযোগী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে৷ যুগপৎ বাদবাকি বিরোধী গোষ্ঠীগুলির প্রতি এসএনসি'র নেতৃত্বে একত্রিত হবার আহ্বান জানানো হবে৷

এই অবকাশে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি বাগদাদ থেকে একটি অত্যন্ত জোরালো মন্তব্য করেছেন৷ তিনি বলেছেন যে, সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ'এর সরকারের পতন ঘটবে না এবং বলপূর্বকভাবে তাকে অপসারণের প্রচেষ্টা সারা এলাকাটিতে সংকট আরো ঘনীভূত করবে৷ এই প্রসঙ্গে তিনি সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের অস্ত্রপ্রদানের বিরুদ্ধেও মতপ্রকাশ করেছেন৷ কাতার এবং সৌদি আরবের মতো দেশগুলির মনোভাব সম্পর্কে মালিকি পরোক্ষভাবে বলেন, তারা আগুন নেভানোর পরিবর্তে অগ্নিতে ঘৃতাহুতি দিচ্ছে৷

অপরদিকে সিরিয়ায় রক্তপাত থেমে নেই৷ বিরোধীদের বিবরণ অনুযায়ী রবিবার প্রধানত উত্তর-পশ্চিম এবং পূর্ব সিরিয়ায় বিভিন্ন সংঘর্ষে ৮ জন সরকারি সৈন্য সহ অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী/রয়টার্স/এপি/ এএফপি
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ