1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুনিয়া কী শিখল

গাব্রিয়েল ডমিনগেজ/এসি১ সেপ্টেম্বর ২০১৪

পাঁচ মাস হয়ে গেল, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে উধাও হয়ে গেছে৷ খোঁজ আবার শুরু হতে চলেছে এ মাসে, অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলে৷ কিন্তু গোটা ঘটনাটা থেকে কী শিখলাম আমরা?

Malaysian Airline Flugzeug in Kuala Lumpur Archiv 2007
ছবি: Reuters

৮ই মার্চের ভোর সকালে এমএইচ৩৭০ কুয়ালালামপুর থেকে উড়াল শুরু করে বেইজিং অভিমুখে৷ স্যাটেলাইট ডাটা দেখলে মনে হতে পারে, বিমানটি ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ অংশে দুর্ঘটনায় জলমগ্ন হয়েছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান চালিয়ে বিমানটির কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি – শনাক্ত করার মতো কোনো ধ্বংসাবশেষও পাওয়া যায়নি৷ সেটা কি করে সম্ভব, তা'ই হলো প্রশ্ন৷

এটা নিশ্চিত যে, এমএইচ৩৭০ যখন কুয়ালালামপুর ছাড়ে, তখন তা থেকে কোনো বিপদ সংকেত পাওয়া যায়নি৷ উড়াল শুরু হবার ঠিক ২৬ মিনিট পরে – বিমানটি তখন সম্ভবত দক্ষিণ চীন সাগরের উপর –- কে বা কারা বিমানটির ‘এয়ারক্রাফ্ট কম্যুনিকেশনস অ্যাড্রেসিং অ্যান্ড রিপোর্টিং সিস্টেম' বা এসিএআরএস বন্ধ করে দিয়েছিল৷

বিমান হারিয়ে যেতে পারে কি করে?

ট্রান্সপন্ডার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বিমানটি যাবতীয় বেসামরিক এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের রাডার থেকে অদৃশ্য হয়৷ এর ৪৫ মিনিট পরেও একটি সামরিক রাডার'এ বিমানটিকে স্বল্পক্ষণের জন্য ট্র্যাক করা গিয়েছিল৷ তারও পরে ছিল বিমান ও একটি স্যাটেলাইটের মধ্যে এক পর্যায়ে ইলেকট্রনিক ‘করমর্দন', যা থেকে বিমানটি কোন দিকে যাচ্ছে, তা আন্দাজ করা গিয়েছিল৷ কিন্তু তার পরে? বিশেষজ্ঞদের উত্তর হলো, বিমান নির্মাণ শিল্প বা বিমান পরিবহণ বাণিজ্য, দুটো'র কোনোটাই এই ‘এয়ারক্রাফ্ট ট্র্যাকিং' ব্যাপারটার দিকে বিশেষ নজর দেয়নি৷ কাজেই যে বিশ্বে আজ একটি মাউস ক্লিক'এর মাধ্যমেই যে কোনো তথ্য পাওয়া যায়, সেই দুনিয়াতেও তিন লাখ টন ওজনের একটি যাত্রীবাহী জেট উধাও হয়ে যেতে পারে৷

এমএইচ৩৭০-র উধাও হওয়ায় বিমান পরিবহণ শিল্পের টনক নড়েছে৷ আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহণ সমিতি আইএটিএ ডয়চে ভেলে'কে জানিয়েছে যে, তারা একটি ‘এয়ারক্রাফ্ট ট্র্যাকিং টাস্ক ফোর্স' (এটিটিএফ) গঠন করতে চলেছে৷ অপরদিকে প্রযুক্তির দিক থেকে তথাকথিত ব্ল্যাক বক্স, অর্থাৎ ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার-এর ‘লোকেটর বিকন'-গুলির ব্যাটারি লাইফ বাড়ানো হবে, তাদের অ্যাকাউস্টিক সিগনালকে আরো জোরদার করা হবে৷ এমনকি ককপিট ভয়েস রেকর্ডারও নাকি দিনে দু'ঘণ্টার বদলে দিনে বিশ ঘণ্টা রেকর্ড করবে৷

বাকি থাকছে স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং, নিখোঁজ এমএইচ৩৭০-র ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ‘ইমারসাট' যে কাজ করেছে৷ এ'ধরনের স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত, বলে অনেকের ধারণা৷

মোট কথা, যে দুনিয়ায় প্রতিদিন এক লাখ উড়াল আকাশে ওঠে এবং বছরে তিনশো' কোটি মানুষ বিমানযাত্রা করেন, সেই দুনিয়ায় এয়ারক্রাফ্ট ট্র্যাকিং'এ ‘‘ব্লাইন্ড স্পট'' থাকার কোনো কারণ নেই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ