1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে ধর্মীয় নেতারাও

১২ জুন ২০২০

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে সরব হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ধর্মীয় নেতা৷ কৃষ্ণাঙ্গদের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন অন্য ক্যাথলিক ও প্রটেস্ট্যান্ট চার্চের যাজক, অনেক ইমাম, ইহুদি যাজক ও অন্য ধর্মের নেতা৷  

USA Houston | Beerdigung von George Floyd
ছবি: Reuters/D. J. Phillip

গেল ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেপোলিস শহরে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে রেখেছিলেন জর্জ ফ্লয়েড নামের কালো বর্ণের এক ব্যক্তিকে৷ এ সময় ফ্লয়েডের মৃত্যু হয় এবং এ নিয়ে অ্যামেরিকাসহ পুরো বিশ্ব জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়, যা এখনো চলছে৷ এই প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন মার্কিন ধর্মীয় নেতারাও৷ 

‘‘একেবারে তৃণমূলে এই প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে৷ আমরা দেখছি ইহুদি রাব্বিরা মুসলিম নেতাদের পাশে আছেন, তাদের সঙ্গে রয়েছেন ক্যাথলিক যাজক ও সিস্টাররা৷'' প্যাক্স ক্রিস্টি ইউএসএ নামের একটি ক্যাথলিক সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক জনি জকোভিচ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন এ কথা৷ ‘‘আমরা সব ধর্ম ও বিশ্বাসের সব বর্ণের মানুষকে একসঙ্গে দেখতে পাচ্ছি৷''

গেল সপ্তাহে আফ্রিকান অ্যামেরিকানদের ওপর বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধে একটি অনলাইন কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়৷ সেখানে এক হাজারেরও বেশি রাব্বি, যাজক, ইমাম ও অন্য ধর্মীয় নেতারা যোগ দেন৷

ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে প্রতিক্রিয়া জানানোর নতুন করে প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে মনে করেন রাব্বি জোনাহ ডোভ পেসনার৷ তিনি ঐ কনফারেন্সে যোগ দিয়েছলেন৷

‘‘সবাই অনেক ক্ষুব্ধ৷ তারা বর্ণবৈষম্য দেখতে দেখতে ক্ষুব্ধ, কোভিড নির্মূলে অদক্ষতা দেখে ক্ষুব্ধ, তারা ধর্মীয় গোঁড়ামি দেখে যেমন ক্ষুব্ধ, তেমনি ইহুদি ও মুসলিম বিদ্বেষ দেখতে দেখতে বিরক্ত, শ্বেতাঙ্গদের প্রভুত্ব দেখে ক্ষুব্ধ,'' বলেন পেসনার৷

পেসনার মনে করেন, প্রগতিশীল ধ্যানধারণার ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো এই আন্দোলনকে কাঠামোগত রূপ দিতে পারে, যেমনটি তারা ষাটের দশকে নাগরিক অধিকার বিপ্লবের সময় দিয়েছিল৷

সে সময়ের সঙ্গে এবারের পার্থক্য হলো, শুধু সংস্কারপন্থি ও প্রগতিশীল ধর্মীয় নেতারাই নন, অনেক ডানপন্থি শ্বেতাঙ্গ নেতাও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন৷ নিরপেক্ষ সংগঠন বলে পরিচিত পাবলিক রিলিজিয়ন রিসার্চ ইনস্টিটিউট দেখিয়েছে, ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর শ্বেতাঙ্গ ক্যাথলিকদের মাঝে ডনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ৩৭% এ নেমে এসেছে, ২০১৯ সালেও যা ছিল ৪৯% এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনের সময় ছিল ৬০%৷

জেডএ/এসিবি (রয়টার্স)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ