1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‌বইমেলা চায় সরকার, কিন্তু.‌.‌.‌

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
৪ ডিসেম্বর ২০২০

জানুয়ারির শেষ সপ্তাহের নির্ধারিত সূচি মেনেই কলকাতা বইমেলা হোক, চাইছে রাজ্য সরকার৷ কিন্তু ধন্দ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আদৌ মেলা করা যাবে কিনা!‌

কলকাতা বইমেলা
এ বছরের ফেব্রুয়ারির ছবিছবি: DW/S. Payel

কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা ২০২১ সালে আদৌ করা যাবে কিনা, সে নিয়ে ধন্দ কোভিড পরিস্থিতির শুরু থেকেই৷ মেলার উদ্যোক্তা বুক সেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স গিল্ড এ ব্যাপারে ডয়চে ভেলে–কে শেষ যা জানিয়েছিল, যে বইমেলা বন্ধ হবে না৷ মেলা হবে, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে৷ কাজেই জানুয়ারির শেষ বুধবার থেকে ১০ দিনের নির্ধারিত সময়ে, নাকি আরও পরে, সেই সময়টাই ঠিক করা যাচ্ছে না৷ কিন্তু এখন, ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই যখন কোভিড ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসার সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে, তখন সরকার ফের বইমেলা করতে উৎসাহী৷ কেবল বইমেলাই নয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় শীতকালে যত মেলা হয় পশ্চিমবঙ্গে, সবকটিরই উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার এ নিয়ে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সঙ্গে একটি বৈঠকও হয় সরকারি কর্তাব্যক্তিদের৷ তাতে খতিয়ে দেখা হয় বইমেলা ঠিক সময়েই করার নানা সম্ভাবনা৷

যাবতীয় সাবধানতা নিয়েই মেলা করতে হবে: ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, পাবলিশার্স গিল্ড

This browser does not support the audio element.

পাবলিশার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘‌‘‌আমরা চাইছি যে সরকারি উদ্যোগে যে সব মেলা হয়, সেগুলো শুরু হোক৷ তা হলে একটা ‘‌অ্যাসিড টেস্ট'‌হয়ে যাবে৷ যেমন, বাংলার তাঁতের মেলা ২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে৷ তার পর বিধাননগর মেলা হওয়ার কথা৷ এই দুটি মেলা হলে আমরা বুঝতে পারব, পরিস্থিতি কী দাঁড়াচ্ছে, সংক্রমণ কী হচ্ছে, (‌কলকাতা)‌ হাইকোর্ট কী রায় দিচ্ছে, বা অন্যান্যরা কে কী বলছেন৷’’ গিল্ডের বক্তব্য, সরকারের সঙ্গে কথা বলে, যাবতীয় সাবধানতা নিয়েই মেলা করার কথা ভাবতে হবে৷

সাধারণের জন্যে মেলা করার ক্ষেত্রে আদালত কী অবস্থান নেবে, অনেক প্রকাশকই সে নিয়ে এখন চিন্তিত৷ তাঁরা বলছেন, দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রে যেমন এক দিন আগে হাইকোর্ট রায় দিল, পুজোমণ্ডপে জনসমাগম হতে দেওয়া যাবে না, বইমেলার ক্ষেত্রে সেরকম কিছু হলে সমস্যা হয়ে যাবে৷ বাংলার নামী প্রকাশনা সংস্থা ‘‌মিত্র ঘোষ’–এর নবীন কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় যেমন বললেন, ‘‌‘‌যদি পুজোর মতো হাইকোর্ট রায় দিয়ে দেয়, যে দর্শকশূন্য বইমেলা, তা হলে আমরা কোথায় যাব!‌ ২০–২৫ লক্ষ টাকা লগ্নি করে আমরা কী করব!‌’’ ইন্দ্রাণী পাবলিশার্স গিল্ডের ব্যাপারেও উষ্মা প্রকাশ করলেন, যে সরকারের সঙ্গে গিল্ডের কী আলোচনা হচ্ছে, সেটা সদস্য প্রকাশকদের জানানো হচ্ছে না৷ ফলে হঠাৎ মেলা করার সিদ্ধান্ত নিলে সমস্যায় পড়তে হবে৷

দর্শকশূন্য বইমেলা হলে আমরা কোথায় যাব: ইন্দ্রাণী রায়, কর্ণধার, মিত্র ও ঘোষ

This browser does not support the audio element.

গিল্ড সম্পাদক আরেকটি গুরুতর অসুবিধার কথা বললেন যে, আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ থাকলে বইমেলা করা যাবে না৷ কারণ, বহু লেখক, প্রকাশক দেশের বাইরে থেকে মেলায় যোগ দিতে আসেন৷ তার ওপর এবারের বইমেলার থিম দেশ বাংলাদেশ৷ কিন্তু ভারত সরকার আপাতত বাংলাদেশের জন্য চিকিৎসা ভিসা ছাড়া অন্য কোনও ভিসা দিচ্ছে না৷ বইমেলা করতে হলে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করে, তার পরেই করা সম্ভব হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ