একটা দীর্ঘ সময় অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে টিকে আছে বাংলাদেশ৷ আর এতে একুশে বইমেলার একটা প্রভাব দেখছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে এসেছে এমন বহু কথা৷
শামসুজ্জামান খান: এ বছর শুধুমাত্র অমর একুশে গ্রন্থমেলা নয়, একইসঙ্গে বড় আকারে হতে চলেছে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন৷ সেই সম্মেলনে বিদেশ থেকে যোগ দিচ্ছেন ছ'জন বিশিষ্ট কবি৷ জার্মানি থেকে ইউনা বুলগার্ড ও টোবিয়াস বুলগার্ড, ল্যাটিন অ্যামেরিকা থেকে লুস টেরিনা লোপেজ, রাশিয়া থেকে ড. ভিক্টর এস্টরিক আমাদের এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন৷ আর চীন থেকে আসছেন প্রফেসর ডং স্যান৷
এখানকার প্রস্তুতি কেমন?
এখানকার প্রস্তুতি চলছে৷ আমরা আমাদের লেখক-কবিদের নিয়ে অনেকগুলো বৈঠক করে কর্মসূচী ঠিক করে ফেলেছি৷ ১ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাহিত্য সম্মেলনটা হবে৷ পাশাপাশি বইমেলার প্রস্তুতি পুরোদমেই চলছে৷ আমরা আশা করছি, পহেলা ফেব্রুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি বছরের মতো মাসব্যাপী এই বইমেলার উদ্বোধন করবেন৷ সেই সঙ্গে সঙ্গে সাহিত্য সম্মেলনেরও উদ্বোধন হবে৷ সেই সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমবাংলা ও বাংলা সাহিত্যের লেখকদের একটা আন্তর্জাতিক সম্মেলনও হবে৷ সেই সম্মেলনে পশ্চিমবাংলা থেকে যোগ দেবেন অধ্যাপক পবিত্র সরকার, কথা সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, কথা সাহিত্যিক নবনিতা দেব সেন, ড. সুনিতা চক্রবর্তী, অধ্যাপক সঞ্জয় মুখপধ্যায়, কবি সুবোধ সরকার, কথা সাহিত্যিক সাধন চট্রপধ্যায়সহ অনেকেই৷
বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান
এবারের মেলা নিয়ে বিশেষ কী আয়োজন থাকছে একাডেমির?
এবারের বিশেষ আয়োজন সাহিত্য সম্মেলন৷ ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি এমন একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছিল, যার উদ্বোধন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান৷ এবার অনেক বছর পর সেই একই ধরনের সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷
সীমাবদ্ধতার প্রশ্ন কেন আসছে সেটা বুঝতে পারছি না৷ আপাতত সীমাবদ্ধতার জায়গা কিছুই দেখতে পাচ্ছি না৷ আমরা দেখছি যে, কাজ ভালোভাবেই চলছে৷ যেভাবে আমরা করতে চাই সেভাবেই হচ্ছে৷
বইমেলার সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন সবাই৷ তা সময়সীমা কী বাড়ছে?
এটা তো আপনারা আগেই জেনেছেন যে, এবার বইমেলার সময় আধা ঘণ্টা বড়ানো হচ্ছে৷ আগে বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে রাত ৮টায় শেষ হতো৷ এখন সেই সময় আধা ঘণ্টা বাড়িয়ে রাত সাড়ে ৮টা করা হয়েছে৷
মেলার ভেতরে দর্শনার্থীদের বসার ব্যাবস্থা নেই, নেই কোনো রেস্টুরেন্ট৷ যেন শুধু বইয়ের বাজার, কেনাবেচার বাইরে এটা তো একটা মিলমেলাও, তাই না?
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬
ঢাকার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চলছে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা৷ ইতিমধ্যেই বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যান পরিণত হয়েছে লেখক, প্রকাশক আর পাঠকের মিলনমেলায়৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
প্রাণ ফিরে পেয়েছে বইমেলা
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রবেশ করতে বইপ্রেমীদের দীর্ঘ সারি৷ পর পর দুই বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতায় কিছুটা ম্লান হওয়া এই বইমেলায় এ বছর প্রাণ ফিরে পেয়েছে ইতিমধ্যেই৷ অমর একুশে গ্রন্থমেলার সাধারণ সময়সূচি প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত৷ তবে ছুটির দিনগুলোয় মেলা শুরু হয় বেলা ১১টায়৷ আর ২১শে ফেব্রুয়ারির দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে এই গ্রন্থমেলা৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
নানা সাজে নতুন নতুন বই
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে স্থাপিত একটা বোর্ডে নতুন বইয়ের প্রচ্ছদ দেখছেন দর্শনাথীর্রা৷ মেলায় প্রতিদিনই প্রকাশিত হচ্ছে নতুন নতুন বই৷ ১৬তম দিন পর্যন্ত মেলা উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছে ৪৬০টি কবিতা, ২৯৯টি উপন্যাস, ২৯৬টি গল্পের বইসহ অগুন্তি বই৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
বেড়েছে বইয়ের পরিধি, ব্যাপ্তি
অন্যবারের তুলনায় এবার একুশে বইমেলার পরিধি বেড়েছে৷ বাংলা একাডেমিসহ ১৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রায় ছয় হাজার বর্গফুটের ১৫টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ করা হয়েছে এ বছর৷ একাডেমি প্রাঙ্গণে ৮৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১১১টি ইউনিট; সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ৩২০টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৪০টি ইউনিট এবং সব মিলিয়ে মোট ৪০২টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৬৫১টি ইউনিট বরাদ্দ করা হয়েছে৷ এছাড়া সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের অংশটিকে ভাগ করা হয়েছে ১৫টি চত্বরে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
বইয়ের জোয়াড়ে ভাসছে সবাই
শুরু থেকেই এ বছরের বইমেলায় দর্শনাথীর সমাগম ভালো৷ তবে সাধারণভাবে ছুটির দিনগুলোতেই দর্শক সমাগম সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে একুশে গ্রন্থমেলায়৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
গত বছর মেলা প্রাঙ্গনের অদূরে খুন হয়েছিলেন মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়৷ তাই এ বছর বইমেলায় নেয়া হয়েছে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা৷ বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের প্রবেশ পথে মহিলা ও পুরুষদের জন্য বসানো হয়েছে পৃথক ‘সিকিউরিটি চেক’-এর ব্যবস্থা৷ টিএসসি থেকে শুরু করে মেলার ভেতর ও বাইরে বসানো হয়েছে দুই শতাধিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা৷ এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
বইমেলা মানেই তারুণ্য
বরাবরের মতোই বইমেলায় তরুণদের উপস্থিতিই বেশি৷ বন্ধু, বান্ধবী, এমনকি জোড়ায় জোড়ায় ঘুরছে তরুণ-তরুণীরা৷ তবে মেলায় শুধু ঘোরাঘুরি আর আড্ডাই নয়, তরুণরা বই কিনছেনও প্রচুর৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
বেঁচে আছেন হুমায়ূন আহমেদ
বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ গত হয়েছেন কয়েক বছর৷ কিন্তু এখনো জনপ্রিয়তার তুঙ্গে আছেন তিনি৷ মেলার সোহরাওয়ার্দি উদ্যান প্রাঙ্গণে অন্যপ্রকাশের প্যাভিলিয়নের সামনে তাই সবসময়ই ভিড় লেগে আছে৷
একুশে বইমেলায় গতবছর থেকে সবচেয়ে সুন্দর স্টল কিংবা প্যাভিলয়নের জন্য দেয়া হচ্ছে শিল্পী কাইয়ূম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার৷ বইমেলার স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোতে তাই সাধ্যমতো নান্দনিকতার ছোঁয়া দিতে চেষ্টা করছেন প্রকাশকরা৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
গুলতেকিন খানের কবিতা...
বইমেলার সোহরাওয়ার্দি উদ্যান অংশে প্রকাশনা সংস্থা তাম্রলিপির প্যাভিলিয়ন৷ এখান থেকেই প্রকাশিত হয়েছে হুমায়ূন আহমেদের প্রাক্তন স্ত্রী গুলতেকিন খানের কবিতার বই ‘আজো, কেউ হাঁটে অবিরাম’৷ এটি তাঁর প্রথম বই৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
শোক পরিণত হয়েছে শক্তিতে
জাগৃতি প্রকাশনীর স্টলে ফয়সাল আরেফিন দীপনের প্রতিকৃতির সামনে তাঁর স্ত্রী রাজিয়া রহমান জলি৷ স্বামী হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে তিনি আকড়ে ধরেছেন জাগৃতিকে৷ নানান ঘাত-প্রতিঘাত পার করেও জাগৃতি থেকে এ বছর প্রকাশিত হয়েছে দশটির বেশি বই৷ এছাড়া আরো দশটি বই আছে প্রকাশের অপেক্ষায়৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
বইমেলায় ব্যানারে জাগৃতির স্টল
বই প্রকাশের কারণেই ধমীর্য় উগ্রপন্থিদের চাপাতির কোপে নিহন হন প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন৷ তবে জাগৃতির স্টল ছাড়া পুরো মেলা প্রাঙ্গণে তাঁর কোনো স্মৃতি স্থান পায়নি৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
শুদ্ধস্বরের সেই স্টলটা...
মেলার সোহরাওয়ার্দি উদ্যান অংশে প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের স্টল৷ লেখক অভিজিৎ রায়ের ‘সমকামিতা: একটি বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্বিক অনুসন্ধান’ বইটি গতবছর বের হয় এই প্রকাশনা সংস্থা থকে৷ অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের বছর না ঘুরতেই গতবছরের শেষের দিকে উগ্রবাদীদের হামলার শিকার হন শুদ্ধস্বরের মালিক আহমেদুর রশীদ টুটুল৷ তবে প্রাণে বেঁচে যান তিনি৷ চিকিত্সা শেষে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে পাড়ি দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
শুদ্ধস্বরের নতুন বই নেই
টুটুলের প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বর থেকে এ বছর নতুন কোনো বই প্রকাশিত হয়নি৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
ব-দ্বীপের স্টল বন্ধ
ধমীর্য় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে বইমেলার ব-দ্বীপ প্রকাশনার স্টলটি এ বছর বন্ধ করে দেয় পুলিশ৷ এ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ‘ইসলাম বিতর্ক' বইটিতে মহানবী (সা) সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য আছে, এই অভিযোগে পুলিশ উক্ত প্রকাশনীর প্রকাশকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে৷ বইটির সবগুলো কপিও জব্দ করে নেয়া হয়৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
অটোগ্রাফ প্লিজ!
অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণে ভক্তদের অটোগ্রাফ দিচ্ছেন জনপ্রিয় লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল৷ হুমায়ূন আহমেদের পরে তাঁর জনপ্রিয়তাই পাঠকদের কাছে সবচেয়ে বেশি৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য...
বইমেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পাঠকদের জন্য স্টল নিয়ে বসেছে স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনা সংস্থা৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
সরাসরি অনুষ্ঠান সম্প্রচার
বইমেলা থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করছে বই এবং একুশে বইমেলা বিষয়ক নানা অনুষ্ঠান৷ নতুন বইয়ের খবর, লেখক-প্রকাশকদের সাক্ষাত্কারসহ নানান বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে এ সব অনুষ্ঠানে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
শিশু প্রহর
বইমেলায় শিশুদের জন্যও রয়েছে নানা আয়োজন৷ শুক্র ও শনিবার মেলা শুরু হচ্ছে বেলা ১১টায়৷ এই দু’দিন থাকছে ‘শিশু প্রহর’ নামে শিশুদের জন্য আলাদ সময়৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
মেলার সঙ্গে সংস্কৃতির মেলবন্ধন
বইমেলা উপলক্ষ্য বাংলা একাডেমি মঞ্চ ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের উম্মুক্ত মঞ্চে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে প্রতিদিন সন্ধ্যায়৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
20 ছবি1 | 20
গত বছরই মেলার ভেতরে পর্যটনের একটা খাবারের স্টল ছিল৷ এছড়াও আরো একটি খাবারের স্টল ছিল৷ এবার আরো দু'টি বাড়বে৷ পর্যটনের একটা স্টল থাকবে বাংলা একাডেমির নবনির্মিত ড. এনামুল হক ভবনে৷ আরেকটি থাকবে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে৷ এছাড়া বাংলা একাডেমির ভেতরে আরো একটি স্টল থাকবে৷ অপর একটি স্টল থাকবে এছাড়া সোহরাওয়ার্দি উদ্যানেও৷ তাছাড়া মাঝে মধ্যে ভেতরে বসার জন্য বাশ দিয়ে ব্যবস্থাও করা হয়েছে৷
এবার স্টল বরাদ্দ হচ্ছে কতগুলো? বা অন্যান্য বছর যে স্টলগুলো থাকে, এবারও তো সেই স্টলগুলোই থাকছে? নাকি নতুন কোনো স্টল যোগ হচ্ছে?
তারা থাকবে৷ এর সঙ্গে আরো ১৫-২০টি স্টল যোগ হবে বলে আমরা আশা করছি৷
মেলার নিরাপত্তা প্রস্তুতি কেমন?
নিরাপত্তার ব্যাপারটা তো নিরাপত্তা বাহিনীর লোকরাই ভালো বলতে পারবেন৷ তারা আমাদের সঙ্গে মিটিং করেছেন এবং আশ্বস্ত করেছেন মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা হবে সবচেয়ে ভালো৷ আগের যে কোনো বছরের তুলনায় এবারের ব্যবস্থা হবে আরো সুদৃঢ়৷
বইমেলাকে কেন্দ্র করে আমাদের তো কিছু খারাপ অভিজ্ঞতা আছে৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আপনার এ ব্যাপারে কি কোন নির্দেশনা আছে?
সেগুলো তো আছেই৷ তাছাড়া তারাও যথাযথভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছেন৷ সিসি টিভির ব্যবস্থা থাকবে, অন্য ব্যবস্থাও থাকবে৷ পুলিশের ক্যাম্প থাকবে, সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে৷ আর নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু গোপনীয়তা তো আছেই, যেটা নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা আমাদেরও বলবে না৷ আমরা অবশ্য জানতেও চাই না৷ আমরা শুধু আশা করছি, এবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো হবে৷
বইয়ের ক্রেতা-বিক্রেতা – সবার প্রতি আপনার আহ্বান কী?
এই মেলাকে সুষ্ঠু ও সুন্দর এবং নান্দনিক ও সংস্কৃতিমনোস্ক মেলা হিসেবে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে তারা যদি আমাদের সহযোগিতা করেন, তাহলেই এটা হবে আমাদের জন্য সর্বশ্রেষ্ট সংযুক্তি৷ এই মেলা করার মধ্য দিয়ে শুধু বইয়ের বেচা-কেনাই তো নয়, সংস্কৃতির একটা অগ্রযাত্রা, সংস্কৃতির একটা তাৎপর্য তৈরি হয়েছে৷ যেমন দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দেশটা অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ও মানবিক একটা দেশ হিসেবে টিকে আছে৷ এবারের বইমেলা সেই লক্ষ্য পূরণে অনেকটাই সহায়ক হবে৷
আমরা দেখছি প্রতি বছরই বইয়ের সংখ্যা বাড়ছে৷ কিন্তু মানের দিক দিয়ে যেসব নতুন লেখক আসছেন, তাঁদের বই নিয়ে নানা কথাবার্তা হচ্ছে৷ এটা নিয়ে বাংলা একাডেমির কিছু করার আছে কি?
এটা নিয়ে একাডেমির কিছু করা সম্ভব না৷ আমরা চেষ্টা করছি, যাতে উঁচুমানের বইগুলো আসে৷ প্রকাশকরা সতর্ক ও সচেতন হলেই কেবল সম্ভব৷ তারা যদি কখনও কখনও লেখকদের বা অলেখকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যে বই প্রকাশ উপযোগী না সেই বই ছাপেন, তাহলে বাংলা একাডেমি কী করবে?