সপরিবারের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জন আসামি এখনো দেশের বাইরে পলাতক৷ এদের মধ্যে দু'জনকে ফেরত আনার আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক৷
বিজ্ঞাপন
আনিসুল হক বঙ্গবন্ধু হত্যায় দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের ফেরত আনার আন্তঃমন্ত্রণালয় টাস্কফোর্সেরও প্রধান৷ তিনি জানান, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যানাডায় দু'জন পলাতক আসামির ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হয়েছি৷ তাদের ফেরত আনার চেষ্টা শুরু হয়েছে৷ শুধু কিছু আইনগত জটিলতা আছে৷ তবে বাকি চারজন কোথায় আছে আমরা তা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারিনি৷''
জানা গেছে, এদের মধ্যে ক্যানাডায় নূর চৌধুরী এবং যুক্তরাষ্ট্রে রাশেদ চৌধুরী অবস্থান করছেন৷ মন্ত্রী জানান, ‘‘ক্যানাডার সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি হয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্রও ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে৷'' বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর রাশেদ চৌধুরি ১৯৬৯ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন৷ পরে ১৯৭৬ সালে জেদ্দায় কূটনীতিক হিসেবে যোগদান করেন৷ তারও পরে তিনি নাইরোবি, টোকিও, কুয়ালালামপুর ও ব্রাসিলিয়াতে বাংলাদেশ মিশনে কাজ করেন৷
আব্দুল্লাহ আল রাফি
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময়ে তিনি ব্রাসিলিয়াতে কর্মরত ছিলেন৷ ঐ বছরের জুলাই মাসে তাকে ঢাকায় ফেরত আসার নির্দেশ দেয়া হয়৷ কিন্তু তিনি দেশে ফিরে না এসে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান৷ আজও তিনি সেখানেই আছেন৷
২০১৪ সালে দু'দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ তাকে ফেরত চায়৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলি ২০১৫ সালে রাশেদ চৌধুরীতে ফেরত দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে অনুরোধ জানান৷ ২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব হোয়াইট হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেন৷ জানা গেছে, সম্প্রতি জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট রাশেদ চৌধুরিকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে৷ নূর চৌধুরীও ব্রাসিলিয়াতে বাংলাদেশ মিশনে কর্মরত ছিলেন৷ ১৯৯৬ সালে তাকেও দেশে ফেরত আসার নির্দেশ দেয়া হলে তিনি ক্যানাডাতে পালিয়ে যান৷
২০০৭ সালে ক্যানাডার সর্বোচ্চ আদালত নূর চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন নাকচ করে দেন৷ নূর চৌধুরী এখন প্রি রিস্ক রিমুভাল এসেসমেন্ট বিধির আওতায় ক্যানাডার অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে আবেদনের সুযোগ নিয়ে সেখানেই অবস্থান করছেন৷
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্যানাডা সফরে গিয়ে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে নূর চৌধুরীকে ফেরত আনার বিষয়ে আলোচনা করেন৷ তাকে ফেরত দেয়ার বিষয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের জন্য আলোচনা শুরু করতেও রাজি হয় ক্যানাডা৷
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু দুর্লভ ছবি
সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-র সংগ্রহে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু দুর্লভ ছবি রয়েছে৷
ছবি: AP
উত্তাল মার্চ
১৯৭১ সালের ২৩ শে মার্চ ঢাকার রাস্তায় স্বাধীনতার দাবিতে হারপুন হাতে বিক্ষোভ মিছিল৷
ছবি: AP
যশোরে মুক্তিবাহিনী
২ এপ্রিল ১৯৭১৷ যশোরে মার্চ করছে মুক্তিবাহিনী৷
ছবি: AP
ত্রিপুরায় বাংলাদেশি শরণার্থী
১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল৷ প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছে৷ প্রাণ বাঁচাতে ভারতের ত্রিপুরার মোহনপুরের একটি স্কুল ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশিরা৷
ছবি: AP
ভারত সীমান্তের কাছে বাংলাদেশিদের অবস্থান
১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল৷ ভারত সীমান্তের ৩০ মাইলের মধ্যে কুষ্টিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাসহ অনেকেই অবস্থান করছিল৷
ছবি: AP
বেনাপোলের কাছে শরণার্থী শিবির
১৪ এপ্রিল ১৯৭১, যশোরের বেনাপোলের কাছে ভারত সীমান্তে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল পাঁচ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি৷
ছবি: AP
আহত মুক্তিযোদ্ধা
১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর বোমা হামলায় আহত একজন মুক্তিযোদ্ধাকে চিকিৎসা দিতে নিয়ে যাচ্ছেন বেসামরিক মানুষ এবং মুক্তিযোদ্ধারা৷
ছবি: AP
মুক্তিবাহিনী
১৯৭১ সালের ৩ রা আগস্ট৷ ঢাকার কাছে মুক্তিবাহিনীর সদস্য হেমায়েতউদ্দীন একটি গোপন ক্যাম্প থেকে মেশিনগান তাক করে রেখেছেন৷
ছবি: AP
১৯ বছর বয়সি শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে প্লাটুন
১৩ নভেম্বর ১৯৭১৷ ফরিদপুরে রাইফেল হাতে তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ৷ ৭০ সদস্যের একটি প্লাটুন গড়া হয়েছিল সেখানে৷ সেই প্লাটুন দক্ষিণাঞ্চলে সামরিক ও চিকিৎসা দ্রব্য সরবরাহ করত৷ একদম বামে থাকা ১৯ বছর বয়সি তরুণটি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র৷ ৭০ জনের প্লাটুনের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি৷
ছবি: AP
মুক্তিবাহিনীর পারুলিয়া দখল
১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর৷ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পারুলিয়া গ্রাম দখল করে নেয় মুক্তিবাহিনী৷
ছবি: AP
আখাউড়ায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী
২৯ নভেম্বর, ১৯৭১৷ আখাউড়ায় অস্ত্র পাহাড়া দিচ্ছে পাকিস্তানি সেনারা৷ তাদের দাবি ছিল, ভারতীয় সৈন্যদের কাছ থেকে এসব অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে৷
ছবি: AP
ভারতীয় সেনাদের হামলা
২ ডিসেম্বর, ১৯৭১৷ যশোরে পাকিস্তানি সেনাদের উপর গোলাবর্ষণ শুরু করে ভারত ৷ এক পাকিস্তানি সেনাসদস্য রাইফেল নিয়ে অন্যত্র যাচ্ছে৷ অন্য সেনারা তখন অস্ত্র তাক করে পরিখার মধ্যে রয়েছে৷
ছবি: AP
ভারতীয় সেনা
১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর৷ ভারতীয় সীমান্তের কাছে ডোঙ্গারপাড়ায় খোলা মাঠে মেশিনগান তাক করে রেখেছেন এক ভারতীয় সেনা৷
ছবি: AP
ডিসেম্বরেও ঢাকায় পাকিস্তানি সার্জেন্ট
১২ ডিসেম্বর, ১৯৭১৷ রাজধানী ঢাকার অদূরে একটি এলাকায় একজন পাকিস্তানি সার্জেন্ট দুই সেনাকে নির্দেশনা দিচ্ছে৷
ছবি: AP
যুদ্ধবিরতি
রবিবার ১২ ডিসেম্বর. ১৯৭১৷ ঢাকা বিমানবন্দরে অপেক্ষায় আছেন বিদেশিরা৷ একটি ব্রিটিশ বিমান অবতরণ করেছে৷ ৬ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির সময় বিদেশিদের নিয়ে যাওয়ার জন্যই ঐ বিমানটি পাঠানো হয়েছিল৷
ছবি: AP
ভারতীয় ট্যাংক
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর ট্যাংক বগুড়ার দিকে রওনা হয়েছে৷
ছবি: AP
চার রাজাকারকে হত্যার পর মুক্তিবাহিনীর প্রতিক্রিয়া
হত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাটে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করা চার রাজাকারকে হত্যার পর আল্লাহ’র উদ্দেশে শুকরিয়া জানাচ্ছেন মুক্তিসেনারা৷
ছবি: AP
16 ছবি1 | 16
নূর চৌধরীর ব্যাপারেঅনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছেন বাংলাদেশের ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশেনের সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল রাফি৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘অনুসন্ধানে জানতে পেরেছি, এ মুহূর্তে নূর চৌধুরী ক্যানাডার টরেন্টো থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে কিটোবিকো নামে একটি শহরে অবস্থান করছেন৷ তিনি তার পরিবার-পরিজন নিয়েই সেখানে আছেন৷ তবে তিনি বাইরে বের হন না৷''
রাফি জানান, ‘‘ঐ শহরে বাংলাদেশিদের বসবাস নেই বললেই চলে৷ একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করে তিনি সেখানে আছেন৷ এর আগে বেশ কয়েকবার তিনি বাসা পরিবর্তন করেন৷''
বকি চারজন কেথায় আছেন, তা আইনমন্ত্রী নিশ্চিত করতে না পরলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে, শরীফুল হক ডালিমকে গত মার্চে স্পেনে দেখা গেছে৷ তার কেনিয়া এবং জিম্বাবোয়েতে ব্যবসা আছে বলে খবর৷ বাংলাদেশ গত বছরের শেষ দিকে পাকিস্তান সরকারকে দেয়া এক চিঠিতে জানতে চায় ডালিম পাকিস্তানের কোথায় আছে? প্রশ্নটির জবাব দেয়নি পাকিস্তান৷ বাংলাদেশ সরকারের ধারণা, ডালিম পাকিস্তানেই স্থায়ীভাবে থাকেন৷
আনিসুল হক
রিসালদার মোসলেহউদ্দিন আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকার পর সরকার এখন ধারণা করছে সে এখন জার্মানিতে আছে৷ গত বছর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জার্মান সরকারকে এ নিয়ে একটি চিঠি দেয়া হয়৷ জার্মানি এ বিষয়ে আরো তথ্য জানতে চেয়েছে এবং জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস এ বিষয়ে যোগাযোগ রাখছে৷
খন্দকার আব্দুর রশীদকে সর্বশেষ পাকিস্তানে দেখা গেছে বলে বাংলাদেশের কাছে তথ্য রয়েছে৷ এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে পাকিস্তানকে একটি চিঠি দেওয়া হয় গত ডিসেম্বরে৷ পাকিস্তান সরকার অবশ্য এখনো কোনো জবাব দেয়নি৷ এছাড়া আব্দুল মাজেদের অবস্থান সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই সরকারের কোনো সংস্থার কাছে৷
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়৷ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত রায়ে ২০০৯ সালে৷ তাতে মোট ১২ জনকে মৃত্যুদনণ্ডের আদেশ দেয়া হয়৷ এরপর ২০১০ সালে আটক পাঁচজনের ফাঁসি কার্যকর হয়৷ বাকি সাতজনের মধ্যে আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবোয়েতে মারা যান৷ তারপর থেকেই এই ছয়জনকে সরকার দেশে ফেরত আনার চেষ্ঠা চলছে৷
আইনমন্ত্রী জানান, ‘‘আমরা টাস্কফোর্সের মাধ্যমে সবাইকেই ফেরত আনার চেষ্টা করছি৷ আমাদের কাজে অগ্রগতি আছে৷''
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এখন টাস্কফোর্সেরই দায়িত্ব তাদের ফেরত আনা৷ আর এখন তারা সেই চেষ্টাই করছেন৷''
বঙ্গবন্ধুর খুনিরা কে কোথায়?
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর কার্যকর হয় ছয় খুনির মৃত্যুদণ্ড৷ পলাতক ছয় খুনির একজন মারা গেছেন৷ বাকি পাঁচজন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন দেশে৷ বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের নিয়ে এই ছবিঘর৷
ছবি: Bdnews24.com
৫ খুনির দণ্ড কার্যকর
২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত পাঁচ খুনিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়৷ এরা হলেন কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান, কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, লে. কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমদ (ল্যান্সার), মেজর (অব.) এ কে বজলুল হুদা এবং মেজর (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন (আর্টিলারি)৷ এছাড়া পলাতক অবস্থায় খুনিদের একজন আবদুল আজিজ পাশা ২০০১ সালের ২ জুন জিম্বাবোয়েতে মারা গেছেন৷
ছবি: Bdnews24.com
এখনও অধরা ৫ খুনি
বিভিন্ন দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আবদুর রশিদ, মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী, মেজর (অব.) এসএইচএমবি নূর চৌধুরী ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন খান৷ গ্রেপ্তার বা প্রত্যার্পণ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা, পাকিস্তান, লিবিয়াসহ আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বারবার অবস্থান বদলে করেছে খুনিরা৷
ছবি: Bdnews24.com
রাজনৈতিক আশ্রয়
রাশেদ চৌধুরী এখন অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে৷ নানাভাবে চেষ্টা সত্ত্বেও দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া এই খুনিকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি হয়নি৷ বারবার কূটনৈতিক কথা চালাচালি হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আশ্বাসও মিলেছে৷ কিন্তু আলোচনায় কখনই গতি আসেনি৷
ছবি: Bdnews24.com
মৃত্যুদণ্ডই বাধা
নূর চৌধুরী অবস্থান করছেন ক্যানাডায়৷ তিনিও দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন, কিন্তু তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত৷ এ ব্যাপারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে কথা বলেছেন স্বয়ং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ কিন্তু মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া কোনো আসামিকে হস্তান্তর করা ক্যানাডার আইন অনুযায়ী বৈধ নয়৷ সে কারণে আইনি জটিলতাতেই এখনও আটকে আছে নূর হোসেনের ভাগ্য৷
ছবি: Bdnews24.com
ঘাতকেরা কে কোথায়?
বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের আরেকজন মোসলেম উদ্দিনও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বলে তথ্য রয়েছে৷ এর আগে তার ভারত ও জার্মানিতে অবস্থানের তথ্যও ছিল গোয়েন্দাদের কাছে৷ মোসলেমও যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন৷ তবে তা খারিজ হয়ে যাওয়ার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকার আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন৷ তবে তার সঠিক অবস্থান নিশ্চিত হতে পারেনি বাংলাদেশ সরকার৷
ছবি: Bdnews24.com
নিশ্চিত নয় অবস্থান
বাকি তিন খুনি শরিফুল হক ডালিম, আবদুর রশিদের অবস্থানের ব্যাপারে সরকারের কাছে কোনো নিশ্চিত তথ্য নেই৷ তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে লিবিয়া, সেনেগালসহ বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করলেও তিনি স্থায়ীভাবেই পাকিস্তানে বসবাস করেন৷ তবে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পাকিস্তানের কাছে জানতে চাওয়া হলেও, মেলেনি সে উত্তর৷
ছবি: Bdnews24.com
6 ছবি1 | 6
বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের কি আদৌ ফিরিযে আনা সম্ভব হবে? মন্তব্য জানান নীচের ঘরে৷