বঙ্গবন্ধুর ৫ ঘাতকের ফাঁসি কার্যকর
২৮ জানুয়ারি ২০১০![](https://static.dw.com/image/3532317_800.webp)
বঙ্গবন্ধুর ৫ ঘাতকের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে৷ বুধবার গভীর রাতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এই ফাঁসি কার্যকর হয়৷ তবে ফাঁসির ৭ আসামি এখনো পলাতক রয়েছে৷ নাশকতার আশংকায় দেশে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সতর্কতা৷
৭৫-এর ১৫ই আগস্টকালরাতে ঘাতকরা সপরিবারে হত্যা করেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে৷ দীর্ঘ ৩৮ বছর দেশের মানুষ অপেক্ষায় থেকেছে এই হত্যার বিচারের৷ অবশেষে অবসান হলো সেই প্রতীক্ষার৷ একে একে ফাঁসিতে ঝুলানো হলো বঙ্গবন্ধুর দন্ডপ্রাপ্ত খুনীদের৷ এরা হলেন, কর্নেল ফারুক রহমান, মেজর বজলুল হুদা, মেজর একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ আর্টিলারি, মহিউদ্দিন ল্যান্সার ও সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান৷
এদিকে ফাঁসি নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চারদিকে মোতায়েন ছিলো র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বহু সদস্য৷নিরাপত্তাকর্মীদের সজাগ দৃষ্টি ছিলো পথচারীসহ সবার দিকেই৷
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৭ জন আসামি এখনও পলাতক৷ এরা হচ্ছেন খোন্দকার আব্দুর রশিদ, নূর চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, রিসালদার মুসলেহ উদ্দিন, ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ, রাশেদ চৌধুরি এবং আবুল হাশেম মৃধা৷ তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য ইন্টারপোলের পরোয়ানা রয়েছে৷
এক সময় বিচার চেয়ে লাঞ্ছিত হতে হলেও ৯৬’এ আওয়ামী লীগ শাসনামলে বঙ্গবন্ধুর ২০ খুনিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন বঙ্গবন্ধুর আবাসিক সহকারী মুহিতুল ইসলাম৷ এরপর মামলা চলে প্রায় ১৩ বছর৷ বিচারিক আদালত ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিলেও হাইকোর্ট ১২জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে৷ এর মধ্যে কারগারে আটক পাঁচ আসামি আপিল করেন ওই রায়ের বিরুদ্ধে৷ আপিল খারিজ হলে তারা রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন৷ তাদের এই আবেদনও বুধবার খারিজ করে দেয় আদালত৷ তাদের ৪ জন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষাও চান৷ সে আবেদেনও প্রত্যাখ্যাত হয়েছে৷ আবেদন খারিজ হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে তাদের ফাঁসি কার্যকর হল৷
ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর মামলার বাদি মোহিতুল ইসলাম তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানান ডয়চে ভেলেকে৷ তিনি বলেন, ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি কলংকমুক্ত হল৷
এদিকে নাশকতার আশংকায় সারা দেশের আইন -শৃংখলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে৷
প্রতিবেদক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক