1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৫ আগস্ট ২০১৩

সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ জনকে সাড়ে ৪ বছরেও দেশে আনতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার৷ মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ডয়চে ভেলেকে এ বিষয়ে তাঁর মূল্যায়ন জানিয়েছেন৷

ছবি: DW

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে ৫ জনের দণ্ড কার্যকর হয় ২০১০ সালের ২৮শে জানুয়ারি৷ আরেকজন লে. কর্নেল (অব.) আজিজ পাশা ২০০১ সালের জুনে জিম্বাবোয়েতে মারা যান৷ কিন্তু এখনো দেশের বাইরে পলাতক আছেন ৬ জন৷ তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থান সম্পর্কে সরকারের কাছে নিশ্চিত খবর আছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানান অ্যাডভোকেট আনিসুল হক৷ তিনি জানান, মেজর (অব.) রাশেদ চৌধুরী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থান করছেন৷ তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন৷ সেই আবেদনের এখনো নিষ্পত্তি হয়নি৷

আনিসুল হক আরও জানান, আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়ায় রাশেদকে ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছেনা৷ তিনি মনে করেন, আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে তাকে ফেরত আনা সম্ভব হবে, কারণ, এর আগে লে. কর্নেল (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আনা হয়েছিল৷ সেখানে তাঁর আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়, ২০০৭ সালের ১৭ই জুন তাকে ফেরত পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র৷ এর আগের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মেজর বজলুল হুদাকে থাইল্যান্ড থেকে ফেরত আনা হয়েছিল বন্দি বিনিময় চুক্তি করে৷

অন্যদিকে মেজর (অব.) নূর চৌধুরী এখন ক্যানাডার টোরন্টোতে অবস্থান করছেন৷ তিনিও ক্যানাডা সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন৷ তবে তাঁর আবেদন গ্রহণ করেনি সে দেশের সরকার৷ কিন্তু নূর চৌধুরী ফাঁসির আসামি হওয়ায় ক্যানাডার আইনে সুবিধা পাচ্ছেন৷ ক্যানাডায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান নেই৷ তাই তাঁরা তাঁদের প্রচলিত আইনে মৃত্যুদণ্ডের আসামিকে তাঁর নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছেনা৷ নূর চৌধুরী নতুন এক আবেদনে বলেছেন, বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে৷ তবে ক্যানাডা তাঁকে তৃতীয় কোনো দেশে পাঠাতে পারে৷ বাংলাদেশের সরকার এখন সেই প্রক্রিয়া নিয়ে ভাবছে বলেও জানান আনিসুল হক৷

সাড়ে চার বছরেও পলাতক ৬ আসামিকে ফিরিয়ে আনতে পারেনি আওয়ামী লীগ সরকারছবি: AP

এদিকে রিসালদার মোসলেম উদ্দিন ভারতে আছেন বলে অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে৷ তবে তার অবস্থান স্পষ্ট নয়৷ বাংলাদেশ সরকার বেশ কয়েকবার তাকে ভারতের কাছে ফেরত চেয়েছে৷ ভারতও বার বার বলছে, ভারতে থাকলে তাকে ফেরত দেয়া হবে৷

আনিসুল হক জানান কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আব্দুর রশিদ, লে. কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম এবং ক্যাপ্টেন (অব.) মাজেদ কোথায় আছেন তা এখনো নিশ্চিত নয়৷ তাদের সবার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করা আছে৷ তাদের মধ্যে একমাত্র শরিফুল হক ডালিমের তত্‍পরতার কথা জানা যায়৷ তিনি তাঁর নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মাঝে মধ্যে মতামত দিয়ে থাকেন৷

আনিসুল হক জানান, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনতে সরকারের একটি টাস্কফোর্স কাজ করছে৷ তিনি নিজেও তাঁর সদস্য৷ তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে বিশ্বের সব দেশের কাছে পলাতক ৬ জনের ব্যাপারে তথ্য এবং তাদের ফেরত চেয়ে আবেদন জানিয়েছে৷ তিনি মনে করেন, পলাতক ৬ জনকে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করা জরুরি, নয়তো বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার অসমাপ্তই থেকে যাবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ