1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বছরের গোড়ায় কুরস্কে নতুন করে অভিযান ইউক্রেনের

৬ জানুয়ারি ২০২৫

ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তবর্তী কুরস্কে গত বেশ কয়েকমাস ধরে তীব্র লড়াই চলছে। কিয়েভের ফোর্স রাস্তার দখল নিতে চায়।

ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে কুরস্কে তীব্র লড়াই
কুরস্কে লড়াইছবি: DW

রাশিয়ার এই সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরেই তীব্র লড়াই চলছিল। তবে রোববার ইউক্রেন সেখানে আচমকাই অভিযান শুরু করেছে। রাশিয়ার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত ৪২ টি লড়াই হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে, তার মধ্যে অন্তত ১২টি লড়াই এখনো জারি আছে।

ইউক্রেনের সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, কুরস্কে রাশিয়ার সেনাকে কার্যত চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে ইউক্রেনের সেনা। রাশিয়ার তরফে অবশ্য এই ধরনের কোনো লড়াইয়ের কথা বলা হয়নি। রাশিয়ার গণমাধ্যমগুলিতে বলা হচ্ছে, ইউক্রেন ড্রোন আক্রমণ চালিয়েছে এবং রাশিয়া প্রতিআক্রমণ চালিয়েছে।

গত অগাস্টে কুরস্কে শেষ এই ধরনের অভিযান চালিয়েছিল ইউক্রেন। নতুন বছরের গোড়ায় দ্বিতীয় অভিযান চালানো হলো। তবে এখনো পর্যন্ত কোনোপক্ষই হতাহতের কোনো খবর দেয়নি।

জেলেনস্কির বক্তব্য

এদিকে রোববার ডনাল্ড ট্রাম্পকে নিযে একাধিক কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জো বাইডেন সরকারের থেকে বিরাট সাহায্য পেয়েছে তার সেনা। এবং সে কারণেই এতদিন ধরে এই লড়াই জারি রাখা সম্ভব হয়েছে। ট্রাম্পের আমলেও এইভাবেই সাহায্য পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। ট্রাম্পের আমলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই আরো এককদম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে বলে মনে করছেন জেলেনস্কি।

জেলেনস্কির কথায়, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে আরো শক্ত এবং নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা গড়ে তুলতে হবে ইউরোপজুড়ে। ট্রাম্পের সঙ্গে এবিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কারণ অ্যামেরিকার হস্তক্ষেপ ছাড়া নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বেষ্টনী তৈরি করা সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করেন। এবং অ্যামেরিকাই পারে রাশিয়ার এই অভিযান বন্ধ করতে।

এর আগে ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, ন্যাটোর সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হয়েছিল। এবার এসে আবার তা হলে পরিস্থিতি আরো কঠিন হবে বলে মনে করেন জেলেনস্কি। বস্তুত, এর আগে ট্রাম্প ন্যাটো ছেড়ে বেরিয়ে আসার কথা বলেছিলেন। সে কারণেই ট্রাম্প ক্ষমতা নিলেই তার সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ