বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইন্টার কার্নিভাল
৯ জুলাই ২০০৯যারা নিয়মিত কার্নিভাল উৎসবে মেতে ওঠেন তারাই এসেছিলেন৷ সেই উৎসবে নাচ-গান, এক্রোব্যাট, চিয়ারলিডিং, হিপ হপ, জাম্প স্টাইল– সব কিছুই ছিল৷
সব মিলে প্রায় ১৫০ টি বিভিন্ন ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়েছিল৷ আবাল-বৃদ্ধা-বনিতা কেউই বাদ যাননি৷ সবাই সমান তালে নেচেছেন৷ উৎসবে মেতেছেন৷ এছাড়া যা ছিল তা হল কার্নিভাল উৎসবের মত এই মেলায় দু'হাতে চকোলেট বিলিয়ে দেয়া হয়েছিল৷ সবাই ব্যাগ ভরে চকোলেট কুড়িয়েছেন৷ আমরা কথা বলেছি ৮ বছরের সেলিনের সঙ্গে৷ জানতে চেয়েছি কী হচ্ছে এই ইন্টারকার্নিভালে৷ সেলিন বলল, এখানে আমরা সবাই এসেছি৷ সবাই আনন্দ করছি৷ আমি এসেছি চকোলেট কুড়াতে৷ আমি এখানে আমার দাদা-দাদির সঙ্গে এসেছি৷ আমার নাচের দলও এখানে রয়েছে৷ আমি আরো চকোলেট কুড়াতে চাই৷ আমার পুরো ব্যাগটি ভরে ফেলতে চাই৷
এছাড়া আর কী ছিল এই ইন্টারকার্নেভালে ?
আমরা জানি কার্নেভালের সময় 'যেমন খুশি তেমন সাজো'র রব পড়ে যায়৷ এখানেও তাই হয়েছে৷ অনেক পোশাক বা কস্টিউম বিক্রি হয়েছে৷ স্পাইডার ম্যান, সুপার ম্যান, রাজা-রাণী, নাইট, রাজকুমারী, ডাইনী - সব কিছুই ছিল৷ তবে দাম ছিল অনেক৷
এছাড়া নাচের যে দলটি এসেছিল তারা ছিল ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন৷ তারা পর পর দুটি নাচ দেখান৷ প্রতিদিন প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার মানুষ এসেছিলেন এই মেলায়৷ সপরিবারেই এসেছিলেন বেশি৷ স্কুলে ছুটি এগিয়ে এসেছে, সেই আমেজের সঙ্গে যোগ হয়েছে ইন্টারকার্নেভাল৷
আরেকটি জিনিস চোখে পড়েছে এই মেলায় তা হল– চেহারাটা বিভিন্ন রকম রঙ দিয়ে সাজিয়েছেন অনেকে৷ কেউ এঁকেছেন প্রজাপতি, কেউ আল্পনার মত কয়েকটি টান, কেউ ফুল৷ অনেকেই আঁকিয়ে নিয়েছিলেন ব্যাটম্যানের জোকার৷
প্রতিবেদক: মারিনা জোয়ারদার, সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার