1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বছরে একবার বিশ্বের স্কুটারপ্রেমীদের জমায়েত

২ আগস্ট ২০১৯

জনপ্রিয়তার বিচারে মটোরসাইকেল এগিয়ে থাকলেও আবেগের মানদণ্ডে স্কুটার-অনুরাগীরাও পিছিয়ে নেই৷ গোটা বিশ্বের ভেস্পাপ্রেমীরা বছরে একবার মিলিত হয়ে নানাভাবে নিজেদের আবেগ প্রদর্শন করেন৷

DW Euromaxx - Vespa World
ছবি: DW

বছরে একবার ভেস্পা স্কুটারপ্রেমীরা যখন সমবেত হন, তখন সেই দৃশ্য অনেকটা বোলতার চাকের কথা মনে করিয়ে দেয়৷ চলতি বছর তাঁরা হাঙ্গেরির বালাটন হ্রদের উত্তর উপকূলে মিলিত হয়েছেন৷ গোটা বিশ্ব থেকে ভেস্পাপ্রেমীরা সাংকা গ্রামে এসেছেন৷

কেউ ন্যুর্নব্যার্গ এলাকা থেকে এসেছেন, কেউ বুখারেস্ট থেকে৷ কেউ অস্ট্রিয়া থেকে অথবা বেলজিয়াম৷ এমনকি সুদূর মেলবোর্ন, টোকিও অথবা  ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ থেকেও মানুষ এসেছেন৷

মিউনিখের ভেস্পা ক্লাবের সদস্যরাও স্কুটার চালিয়ে বিশ্ব ভেস্পা দিবসে যোগ দিতে সেখানে এসেছেন৷ দুই দিন ধরে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে তাঁরা উৎসবের ঠিক শুরুতে সেখানে পৌঁছেছেন৷ ৪ দিন ধরে তারা গোটা এলাকা চষে বেড়াবেন৷ ভেস্পাপ্রেমী মানুষের সংখ্যা কম নয়৷ ৪০টিরও বেশি দেশের স্কুটার চালক এ বছরের অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন৷ প্রত্যেকেরই প্রেরণা আলাদা৷

কেউ অতীতের স্মৃতি জিইয়ে রাখতে স্কুটারের পুনর্জন্ম উপভোগ করতে চান৷ কারো কাছে এটা একটা জীবনদর্শন৷ ভালো বন্ধু পাবার উপায়৷ সেইসঙ্গে অনেক আনন্দ৷ আর গোটা সপ্তাহ স্ত্রীদের থেকে দূরে থাকাও গুরুত্বপূর্ণ৷ বিশ্ব ভেস্পা দিবস ইউরোপ ও তার মানুষকে চেনার ভালো সুযোগ৷ কারো কাছে এটা ধর্ম ও আবেগের বহিঃপ্রকাশ অথবা মুক্তির অনুভূতিও প্রেরণার কারণ৷

সব অনুরাগীরাই হয় মূল স্কুটার, অথবা পাশে একজনের বসার সংযোজক লাগিয়ে পথে নামতে পছন্দ করেন৷ আজ ৬০টি স্কুটার ৫৫ কিলোমিটারের যাত্রায় বেরোচ্ছে৷ উন্মুক্ত প্রকৃতি, ছোট ছোট গ্রাম, ফলের বাগান ও আঙুরের খেতের মধ্য দিয়ে মনোরম যাত্রাপথ৷ এলাকাটি ওয়াইনের জন্য বিখ্যাত৷

বেশিরভাগ ভেস্পার বয়স মালিকের তুলনায় বেশি হওয়ায় তাদের স্কুটার মেরামতি সংক্রান্ত মৌলিক জ্ঞান থাকা জরুরি৷ উৎসবে এসেও তাঁরা প্রায়ই স্কুটার কেরামতি করেন, নিজেদের মধ্যে জ্ঞান আদানপ্রদান করেন৷

প্রায় ৫,০০০ দর্শকের মধ্যে অনেকের কাছে স্কুটার প্যারেড উৎসবের মূল আকর্ষণ৷ উৎসব প্রাঙ্গণে অন্যদের দেখা ও নিজেকে দেখানোই মূল উদ্দেশ্য৷ ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষ উৎসবে মেতে থাকেন৷ একাধিক কনসার্টও মানুষের মন মাতিয়ে রাখে৷

মিউনিখের ভেস্পা অ্যাক্রোব্যাটিক গ্রুপের কেরামতি না দেখলেই নয়৷ ‘মিস্টার ভেস্পা' নামে পরিচিত রবিন ডেভির নেতৃত্বে এই চমক দেখা যায়৷ গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে এই কেরামতির সূচনা হয়েছিল৷ মিউনিখের উৎসাহী এক গোষ্ঠী নিজেদের ও দর্শকদের আনন্দ দিতে ১৯৯৫ সাল থেকে এই বিস্মৃত শিল্পের পুনর্জাগরণ ঘটাচ্ছে৷ অ্যাক্রোব্যাটিক গ্রুপের কেলে গ্র্যুনেভাল্ড বলেন, ‘‘আজ আমরা সত্যি খুব ভালো ফর্মে রয়েছি৷ কয়েকটি ম্যানহোলের ঢাকনার জন্য পথ একটু উঁচুনীচু ছিল৷ দারুণ যাত্রা হয়েছে৷''

‘মিস্টার ভেস্পা'হিসেবে পরিচিত রবিন ডেভি মনে করিয়ে দেন, ‘‘আমরা অ্যাক্রোব্যাট, ম্যানহোল কোনো সমস্যা নয়৷''

আগামী বছর বিশ্ব ভেস্পা দিবস এই প্রথম এশিয়া মহাদেশে অনুষ্ঠিত হবে৷ ইটালির এই স্কুটার অনুরাগীরা ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে সমবেত হবেন৷

ভেস্পার বিশ্ব জমায়েত

03:28

This browser does not support the video element.

ইয়োসেফিন গ্যুন্টার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ