1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঘরছাড়া প্রায় ৭ কোটি মানুষ!

১৯ জুন ২০১৮

বিশ্ব শরণার্থী দিবসের প্রাক্কালে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৭ সালে প্রতি দু'সেকেন্ডে একজন বাস্তুচ্যূত হয়েছেন৷ মিয়ানমার, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র এবং সিরিয়া থেকে আরো মানুষ বাসভূমি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে৷

ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman

সহিংসতা, যুদ্ধ ও সংঘাতের ফলে বিশ্বে এখন ৬৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন, অর্থাৎ ৬ কোটি ৮৫ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত অবস্থায় আছেন৷ মঙ্গলবার জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা ইইএনএইচসিআর এ কথা জানিয়েছে৷

জাতিসংঘের হিসেব মতে, ২০১৬ সালে সারা বিশ্বে ৬ কোটি ৫৬ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিল৷ সেবছর মূলত মিয়ানমার থেকেই বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল৷ এছাড়া দক্ষিণ সুদানে গৃহযুদ্ধ চলছে ২০১৩ সাল থেকে৷ গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে গত কয়েক বছরে দেশটির লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে৷

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক রাষ্ট্রদূত ফিলিপ্পো গ্রান্ডি জানিয়েছেন, এদের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশ শরণার্থীই মাত্র ১০ টি দেশের থেকে বাস্তুচ্যূত৷ 

ইউএনএইচসিআর সদর দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুদানের পর সিরিয়া সংকটের কারণে গৃহহীনদের সংখ্যা বাড়ছে৷ বিশ্বব্যাপী এসব মানুষের সুরক্ষা জরুরি৷ দক্ষিণ সুদানের পর সিরিয়া, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ও কলম্বিয়ায় অভ্যন্তরীণ যুদ্ধের কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোয় আশ্রয় নিচ্ছে হাজার হাজার মানুষ৷ বিশ্বব্যাপী ৪ কোটি শরণার্থী অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যূত হয়েছে৷ কলম্বিয়া, সিরিয়া এবং কঙ্গো প্রজাতন্ত্র থেকেই বাস্তুচ্যুত হয়েছে সবচেয়ে বেশি৷ এসব দেশে সংঘাত ও দুর্বিষহ দুর্ভোগের কারণে সম্প্রতি সমুদ্রপথেও শরণার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে৷

এ বিষয়ে গ্রান্ডি বলেন, ‘‘এই ১০টি দেশের সমস্যাগুলোর যদি সমাধান পাওয়া যেত, প্রত্যেক বছর  এই বিপুল সংখ্যক শরণার্থী সমস্যা বড়ত না, বরং কমতো৷''  

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গতবছরই ১ কোটি ৬২ লক্ষ মানুষ নতুন করে গৃহহীন হয়েছে৷ এদের মধ্যে যাঁরা প্রথমবার বাধ্য হয়ে ঘর ছেড়েছেন, তাঁরাও যেমন আছেন, তেমনি আছেন যাঁরা ইতিমধ্যে উদ্বাস্তু৷   

এর মানে প্রতিদিন ৪৪,৪০০ মানুষ বিতাড়িত হচ্ছে এবং প্রতি দু'সেকেন্ডে ১ জন করে গৃহহীন হচ্ছে৷

বিশ্বব্যাপী নজিরবিহীনভাবে যুদ্ধ, সহিসংতা ও উৎখাতের কারণে প্রতিদিনইরাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ অন্যান্য দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে বিভিন্ন সংস্থার দ্বারে দ্বারে ঘুরছে যুদ্ধবিধ্বস্ত এসব মানুষ৷ 

আর জাতিসংঘ শরণার্থী কমিশন (ইউএনএইচসিআর) বলছে, ৮৫ শতাংশ শরণার্থী উন্নয়নশীল দেশের, যাঁরা খুবই দরিদ্র৷ এদের অধিকাংশই আফগানিস্তান, দক্ষিণ সুদান, মিয়ানমার, সোমালিয়া, সুদান এবং কঙ্গো থেকে এসেছে৷

ইউরোপের দেশগুলিতে ক্রমবর্ধমান শরণার্থীদের সংখ্যা প্রমাণ করে ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে সবমিলিয়ে শরণার্থীর সংখ্যা বেড়েছে৷ তাঁদের আশ্রয়ের আবেদনেরও ধীরে ধীরে প্রক্রিয়া চলছে৷ জার্মানিতেও শরণার্থী ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷

শরণার্থী সংস্থা বলছে, বাস্তুচ্যুত হওয়া ৬৬৭,৪০০ দেশত্যাগী মানুষকে তাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ ২০১৬ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৫৫২,০০০৷ শরণার্থীদের ফিরে যাওয়ার সংখ্যাটা শতকরা ৩ শতাংশ বেড়েছে মাত্র এক বছরে৷

পিএস/এসিবি (এপি/এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ