1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানদের নিজস্ব ঐতিহ্য

মাইক ময়সার/আরবি২৫ ডিসেম্বর ২০১৩

বছর ঘুরে আবার এসে গেল বড়দিন৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে দিনটি পালন করে৷ জার্মানিতেও কয়েক সপ্তাহ ধরে এই উৎসবকে ঘিরে চলেছে নানা আয়োজন৷

Weihnachtsmann mit Draisine unterwegs
ছবি: picture alliance/dpa

ঐতিহ্যের প্রতি বিশেষ অনুরাগ রয়েছে জার্মানদের৷ ক্রিসমাসকে ঘিরে পুরানো ঐতিহ্য, রীতি-নীতির সমাহার চোখে পড়ে সর্বত্র৷ অফিস আদালত ও বাড়িতে বাড়িতে চোখে পড়ে আলোক সজ্জিত ক্রিসমাস ট্রির বাহার৷

জার্মানদের নিজস্ব ঐতিহ্য

বড়দিনের উৎসব পালনেও জার্মানদের রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস৷ অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় বড়দিনের উৎসবটা যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন ২৫ শে নয় বরং আগের দিনই অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয়৷ কয়েকশ বছর ধরে উৎসবটাকে এগিয়ে আনা হয়েছে৷ মিডনাইট মেস থেকে শুরু করে ক্রিসমাস ট্রির নীচে রাখা উপহার বিতরণ – এসব কিছুই চলে ২৪ তারিখ অর্থাৎ পবিত্র রাতে৷

বড়দিনের বাজারেও বিশেষত্ব রয়েছে জার্মানদের৷ মাল্ডওয়াইন, স্টোলেন বা এক ধরনের ফ্রুট কেক এসব একান্তই জার্মান

তবে ঠিক কোন দিনটি পবিত্র রাত এটা জিজ্ঞেস করলে মানুষজন একটু গোলমাল পাকিয়ে ফেলেন৷ এক নারী বলেন, ‘‘আমার মতে পবিত্র রাত হলো ২৪ তারিখে৷'' আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘‘আমার মতে ২৫ তারিখ৷'' আরেক মহিলা উত্তর দেন, ‘‘যখন দারুচিনির গন্ধে চারিদিক ভুরভুর করে, যখন চারিদিক আলোকোজ্জ্বল হয়ে ওঠে তখন৷''

উপহারগুলি কে নিয়ে আসে কে?

উপহারগুলি কে নিয়ে আসে এব্যাপারেও জার্মানদের মতভেদ রয়েছে৷ এক মহিলা বলেন, স্যান্টাক্লজ বা ভাইনাখটসমান, এক ছেলে বলে না না ক্রিস্টকিন্ড (ক্রিস্ট-চাইল্ড), আরেক মেয়ে বলেন, নানা স্যান্টা ক্লজ, আরেক ছেলে বলে আমার বাবা-মা৷

স্যান্টাক্লজ বা ক্রিস্টকিন্ড যেই উপহার আনুক না কেন জার্মানরা এব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত৷ প্রটেস্টান্ট অধ্যুষিত উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের মানুষজন স্যান্টাক্লজকে বিশ্বাস করেন৷ আর ক্যাথলিক অধ্যুষিত দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে ক্রিস্টকিন্ডের প্রভাবটাই বেশি৷

আরো কিছু বিশেষত্ব রয়েছে জার্মানিতে

ক্রিসমাসের আরো কিছু বিশেষত্ব রয়েছে জার্মানিতে৷ জার্মানিতে বড়দিনের উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় প্রায় চার সপ্তাহ আগে থেকেই৷ এই সময়টাকে বলা হয় ‘আডভেন্টৎসাইট'৷ অর্থাৎ (যিশুর) আবির্ভাবের সময়৷ উৎসবের সময়টাকে ‘কাছাকাছি' আনার জন্যই এতসব আয়োজন৷ এই সময় তৈরি করা হয় ‘আডভেন্টক্রানৎস'৷ এটির যাত্রা শুরু ১৮৩৯ সালে জার্মানির হামবুর্গে৷ ফার গাছের পাতা পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে বানানো একরকম তোড়া৷ এটি টেবিলে রাখা হয় কিংবা জানালায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয় অনেক বাড়িতে৷ তার ওপর গেঁথে দেয়া হয় চারটা মোমবাতি৷ বড়দিনের আগের চার সপ্তাহে প্রতি রোববার একটি করে মোমবাতি জ্বালানো হয়৷ চারটা মোমবাতি জ্বালানো হয়ে গেলে বুঝতে হবে বড়দিন আসন্ন৷ আডভেন্ট ক্যালেন্ডারও জার্মানদের সৃষ্টি৷ পরিবারের বড়রা আডভেন্ট ক্যালেন্ডার তৈরি করে তার খোপে খোপে ছোটদের জন্য রেখে দেন বাদাম, ফল, চকলেট বা খেলনা৷ এক এক দিন এক একটা জিনিস পেয়ে বাচ্চাদের আনন্দ আর ধরে না৷

বড়দিনের সময় মা-বাবারা ছেলেমেয়েদের কাছে পাবার আশায় দিন গুণতে থাকেনছবি: picture-alliance/dpa

পারিবারিক উৎসব

জার্মানদের জন্য বড়দিন বিশেষ করে পারিবারিক উৎসব৷ এই দিন পরিবার পরিজনের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন সবাই৷ বিশেষ করে মা-বাবারা ছেলেমেয়েদের কাছে পাবার আশায় দিন গুণতে থাকেন৷ এদিক দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে জার্মানদের মিল রয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ