ভারতে আত্মহত্যা বন্ধ করতে নানা পর্যায়ে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ আত্মহত্যার সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও বিস্তর আলোচনা চলছে৷
বিজ্ঞাপন
রিং হচ্ছে তো হচ্ছেই৷ অন্যপ্রান্তে উত্তর দেওয়ার কেউ নেই৷ বেশ কয়েকবার সেই নম্বরে ফোন করার পর ফের ইন্টারনেট ঘাঁটতে শুরু করলাম৷ পাওয়া গেল আরো বেশ কয়েকটি নম্বর৷ দ্বিতীয় নম্বরে ফোন করতেই উল্টো দিক থেকে স্বয়ংক্রিয় কণ্ঠ বলে উঠল-- নম্বর ব্যস্ত৷ কিছুক্ষণ পর ফোন করতে হবে৷ তৃতীয় নম্বরের অভিজ্ঞতাও একই৷
প্রতিটি ফোনই করেছিলাম এই লেখার স্বার্থে৷ ভারতে আত্মহত্যার পরিস্থিতি নিয়ে ব্লগ লিখতে গিয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছি৷ সরকারি এবং আধা-সরকারি অনেকেই দাবি করেছেন, দেশে এখন বহু হেল্পলাইন নম্বর আছে৷ আত্মহত্যা বন্ধ করার জন্যই এই হেল্পলাইন নম্বরগুলি খোলা হয়েছে৷ আত্মহত্যামুখী ব্যক্তি ওই নম্বরে ফোন করলে অথবা আত্মহত্যাপ্রবণ ব্যক্তির আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব, পরিবার ফোন করলেও সাহায্য মিলবে৷ কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি হলো, ফোন পাওয়াই কার্যত ভাগ্যের ব্যাপার৷
সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ কারণ চলতি বাজেট অধিবেশনে ভারত সরকার জানিয়েছে, আত্মহত্যা রুখতে গোটা দেশে ২৩টি নতুন হেল্পলাইন তৈরি করা হচ্ছে৷ প্রশ্ন উঠছে, নতুন করে হেল্পলাইন তৈরি না করে যে নম্বরগুলি ছিল, সেগুলিকেই সক্রিয় করলে হতো না? নতুন হেল্পলাইনের ভবিষ্যতও আগেরগুলির মতোই হবে না তো?
আত্মহত্যার সাতকাহন
জীবন সুন্দর৷ যত কষ্টই থাকুক বেঁচে থাকা তবু আনন্দের৷ তবু অনেকেই বেছে নেয় আত্মহননের পথ৷ ছবিঘরে থাকছে আত্মহত্যা নিয়ে কিছু পরিসংখ্যান...
ছবি: picture-alliance/dpa/Keystone USA Falkenberg
বাংলাদেশে এক বছরে ১৪ হাজার!
আঁচল ফাউন্ডেশন ২০২১ সালের মার্চ মাসে এক প্রতিবেদনে জানায়, করোনাকালে এক বছরে সারা বাংলাদেশে ১৪ হাজার ৪৩৬ জন আত্মহত্যা করেছেন৷ ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩টি জাতীয় পত্রিকা, ১৯টি স্থানীয় পত্রিকা, হাসপাতাল ও থানা থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়৷
ছবি: picture alliance/ZUMA Press/W. Sabawoon
নারীর সংখ্যা বেশি
তরুণদের সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের ২০২১ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যে ১৪ হাজার ৪৩৬ জন আত্মহত্যা করেছেন, তাদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি৷ মোট আত্মহত্যার ৫৭ শতাংশ, অর্থাৎ ৮ হাজার ২২৮জনই ছিলেন নারী৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Keystone USA Falkenberg
বেশি আত্মহত্যা যে বয়সে
আঁচল ফাউন্ডেশনের সেই প্রতিবেদনে আত্মহত্যাপ্রবণ বয়সের ধারণাও উঠে আ্সে৷ সেখানে বলা হয়, আত্মঘাতী হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সি ছিলেন ৪৯ শতাংশ, ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি ৩৫ শতাংশ এবং ৩৬ থেকে ৪৫ বছর বয়সি ১১ শতাংশ। সেই সময় সবচেয়ে কম আত্মহত্যা করেছিলেন ৪৬ থেকে ৮০ বছর বয়সিরা- ৫ শতাংশ।
ছবি: Colourbox
বড় কারণ
২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা হয়েছে পারিবারিক সমস্যার কারণে৷ ওই সময়ে মোট আত্মহত্যার ৩৫ শতাংশই ছিল পারিবারিক সমস্যাজনিত কারণে৷ এর বাইরে ২৪ শতাংশ সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণে এবং যথাক্রমে ৪ ও ১ শতাংশ আর্থিক সংকট ও লেখাপড়া নিয়ে দুর্ভাবনা বা পরীক্ষায় ব্যর্থতার কারণে কারণে আত্মহত্যা করেছিল। তবে ৩২ শতাংশ মানুষের আত্মহত্যার কারণ থেকে যায় অজ্ঞাত৷ এই তথ্যগুলোও আঁচল ফাউন্ডেশনের৷
ছবি: Steve Helber/AP/picture alliance
৪০ সেকেন্ডে একজন
ডাব্লিউএইচও-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি চল্লিশ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে৷
২০২১ সালের জুনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানায়, সারা বিশ্বে বছরে অন্তত সাত লাখ তিন হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা হয় নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে৷
ছবি: Fotolia/Photographee.eu
আত্মহত্যা : পাপ ও ‘অপরাধ’
সব ধর্মেই আত্মহত্যাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে৷ ধর্মমতে আত্মহনন করা মহাপাপ৷ আইনও আত্মহত্যাকে নিরুৎসাহিত করে৷ আত্মহত্যায় সহায়তা বা প্ররোচিত করা বাংলাদেশের আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৩০৬ ধারা অনুযায়ী, কোনো প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে আত্মহত্যায় সহায়তা করা ব্যাক্তির ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানা হতে পারে৷
ছবি: Mike Simons/Getty Images
7 ছবি1 | 7
বিশিষ্ট মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘‘আত্মহত্যার সঙ্গে অবসাদ শব্দটিকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়৷ অবসাদ থেকে আত্মহত্যার মানসিকতা তৈরি হতে পারে৷ কিন্তু যারা আত্মহত্যা করেন, তারা কেবল অবসাদ থেকেই আত্মহননের পথ বেছে নেন, এমন ভাবা ঠিক নয়৷’’ অনুত্তমার বক্তব্য, আত্মহত্যা আসলে একটা ইমপাল্স৷ এক বিশেষ মানসিক পরিস্থিতিতে মানুষ আচমকাই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন৷
প্রশ্ন হলো, আচমকা যিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তিনি কি হেল্পলাইনে ফোন করবেন? সাহায্য নেওয়ার কথা ভাববেন? অনুত্তমার বক্তব্য, অনেক সময়েই আত্মহত্যা করতে যাওয়ার আগে ব্যক্তি একটা শেষ সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেন৷ হয়তো একবার কারও সঙ্গে কথা বলার কথা ভাবেন৷ কিন্তু তখন যদি ফোনই কাজ না করে, তাহলে আর কিছু করার থাকে না৷ সে কারণেই সামাজিক পর্যায়ে সাহায্যের রাস্তাগুলি আরো সহজ এবং সচল করা উচিত৷ বাস্তবে যা সেভাবে হচ্ছে না৷
মনোসমাজবিদ মোহিত রণদীপ আবার আত্মহত্যাকে কেবলই একটি মানসিক সমস্যার অবস্থান থেকে দেখতে চান না৷ আত্মহত্যা অনেক সময় সর্বোচ্চ প্রতিবাদের ভাষা হিসেবেও উঠে আসে৷ অথবা এর সঙ্গে জুড়ে থাকে আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি৷ বছরের পর বছর যে আলু চাষি ফসলের দাম পাচ্ছেন না৷ দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে পড়ছেন৷ তিনি যখন আত্মহত্যা করেন, তখন তা কেবলমাত্র মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে আটকে থাকে না বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন মোহিত৷ বিষয়টি তখন এক সামাজিক সংকটের জায়গায় গিয়ে পৌঁছায়৷ আত্মহত্যা সেখানে একটি স্টেটমেন্ট হয়ে যায়৷ কৃষক আন্দোলনের সময়েও দেখা গিয়েছিল একাধিক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন৷ সেটা ছিল তাদের স্টেটমেন্ট৷ ‘‘হেল্পলাইন তৈরি করে এই আত্মহত্যা বন্ধ করা যায় না৷ এই আত্মহত্যা বন্ধ করার জন্য সামাজিক সংস্কার, অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজন৷ সরকার যা এখনো পর্যন্ত করে উঠতে পারেনি৷’’ মোহিতের অভিযোগ, যে কৃষক আন্দোলন নিয়ে এত ঘটনা ঘটল৷ যার জন্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা চাইলেন এবং আইন বাতিল করলেন, তিনি কিন্তু এখনো তার পুরনো মতেই অনড়৷ সে কারণেই উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে ফের তিনি নিজের পুরনো অভিমতকেই ভালো বলে চালানোর চেষ্টা করেছেন৷ এটাই প্রমাণ করে, কৃষক আত্মহত্যা কমানোর সদিচ্ছা সরকারের নেই৷
তবে একটি কথা প্রায় সব বিশেষজ্ঞই বলছেন৷ আগের চেয়ে আত্মহত্যার কথা এখন অনেক বেশি জানা যায়৷ এর অর্থ এই নয় যে, আগে আত্মহত্যা কম হতো৷ এর অর্থ, আত্মহত্যা বা আত্মহত্যার চেষ্টা রিপোর্ট হচ্ছে বেশি৷ মানুষ এবিষয়ে সচেতন হয়েছেন বেশি৷ সচেতনতা বাড়লে, সমস্যার সুরাহাও সহজ হয় বলে তাদের বক্তব্য৷
অনুত্তমার মতে, দীর্ঘদিন আত্মহত্যা একটি সামাজিক ট্যাবু হয়ে ছিল৷ ধীরে ধীরে সেই ট্যাবু ভাঙছে৷ আইনত আত্মহত্যার চেষ্টা এখন আর অপরাধ নয়৷ পুলিশকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এগুলি ভালো দিক৷ কিন্তু সমাজের সব স্তরে কি সেই ট্যাবু ভেঙেছে৷ অনুত্তমা, মোহিত দুইজনেই মনে করেন-- ভাঙেনি৷ আত্মহত্যার চেষ্টা করেও বিফল হওয়া কোনো ব্যক্তি যখন হাসপাতালে ভর্তি হন, চোখ খুলেই তিনি প্রথম দেখেন চিকিৎসক এবং নার্সকে৷ অনেক সময়েই দেখা যায়, তারা কিছু না জেনেবুঝে ওই ব্যক্তিকে জ্ঞান দিতে শুরু করেন৷ একজন আত্মহত্যার চেষ্টা করা ব্যক্তির কাছে ওই জ্ঞান ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে৷ একই কথা প্রযোজ্য পুলিশের ক্ষেত্রে৷ পুলিশও জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করে৷ ফলে সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে যারা কাজ করছেন, তাদেরকেও সচেতন হতে হবে, শিক্ষিত হতে হবে৷ ভারতে এটা এখনো একটি বড় সমস্যা৷
আত্মহত্যার সংজ্ঞা নিয়ে আসলে গোটা পৃথিবীতেই এখন নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ ভারতেও তা নিয়ে বিস্তর যুক্তিতক্কো চলছে৷ খোঁজার চেষ্টা চলছে আত্মহত্যার পিছনে রয়ে যাওয়া সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতি৷ এসব চলবে৷ নিশ্চয় চলবে৷ কিন্তু গোড়া কথা আগে৷ আত্মহত্যাপ্রবণ ব্যক্তি সাহায্যের ফোন করলে যেন একবারে যোগাযোগ করতে পারেন৷ অন্তত একটা প্রাণ তো বাঁচানো যাবে!
কিশোরদের আত্মহনন ঠেকানোর সাত দাওয়াই
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বে বছরে আট লাখ মানুষ বেছে নেয় স্বেচ্ছামৃত্যু৷ আর এই প্রবণতা বাড়ছে কিশোরদের মধ্যেও৷ তাই কৈশোরে আত্মহত্যা ঠেকানোর সাত উপায় দিলেন মনোরোগের অধ্যাপক ক্রিস্টিন হ্যাডফিল্ড৷
ছবি: Imago/Aurora Photos
মৃত্যু নিয়ে আলাপ
‘‘আমি তোমার ঝামেলা হয়ে থাকতে চাই না’’ বা ‘‘আমি আত্মহত্যা করবো’’--মজার ছলেও যদি কোনো কিশোর এসব কথা বলে, সেটা গুরুত্ব দিয়ে নিতে হবে৷ তাঁর ওপর কৌশলে দৃষ্টি রাখতে হবে৷ অনেক সময় মুখে না বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এমন কথা লিখতে পারে কিশোররা৷ সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে৷
ছবি: picture-alliance
বিধ্বংসী আচরণ
কিশোর বয়সে রাগ এক-আধটু হয়েই থাকে৷ কিন্তু রেগে গিয়ে নিজের ক্ষতি করতে চাওয়ার অর্থ হলো, আত্মহত্যা প্রবণতা দানা বাঁধতে শুরু করা৷ অভিভাবকদের সতর্ক হতে হবে৷ খেয়াল রাখতে হবে, অতিমাত্রায় ড্রাগ আর অ্যালকোহলে সেবনে কিশোরটি জড়িয়ে পড়ছে কি না৷
ছবি: Fotolia/Africa Studio
সমাজবিমুখতা
একা থাকা পরিণত বয়সেও কষ্টের৷ তাই কৈশোরে পরিবার ও বন্ধু থেকে আলাদা হয়ে থাকার মানসিকতাকে আত্মহত্যার কারণ বলছেন বিশ্লেষকরা৷ বন্ধুবান্ধব, ভাই-বোন নিয়ে যারা সামাজিক সম্পর্কে জড়িয়ে থাকে, মানসিক যন্ত্রণায় ভোগার সুযোগ তাঁদের কম৷ তাই বাবা-মাসহ পরিবার পরিজনদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা খুব জরুরি৷ কোনো কিশোর যাতে নিজেকে একা মনে না করে৷
ছবি: picture-alliance/empics/D. Cheskin
ফাঁদে পা অথবা একরাশ হতাশা
কৈশোরের উচ্ছ্বল দিনগুলোতে হতাশা কিংবা কোনো ভুলে পা দেয়া উস্কে দিতে পারে আত্মহত্যার চেষ্টাকে৷ তাই কিশোর মনের চিন্তাটা শুনতে হবে অভিভাবকদের৷ সন্তান কি বলতে চায় তা শুনতে হবে৷ কিছু বলতে গিয়ে আটকে যাচ্ছে, তাহলে অভয় দিয়ে, ভালোবেসে সেই কথাটা শুনে নিন৷
ছবি: picture-alliance/Godong
অভ্যাসে বদল
কিশোর বয়সে নিত্যদিনের জীবনে হুট করে পরিবর্তন দেখা গেলে তাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই৷ মনে রাখতে হবে, এটা হতাশার লক্ষণ৷ বাবা-মা-কে বুঝে নিতে হবে, তাঁদের আদরের সন্তান কোনো একটা সমস্যায় ভুগছে৷ দিনে তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুম মানে আত্মহত্যা প্রবণতা৷ আর ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ঘুমানো কিন্তু বিষণ্ণতা৷ সচেতন থাকুন৷
ছবি: picture-alliance
প্রিয় জিনিসের প্রতি অনীহা
কোনো কারণ ছাড়া প্রিয় ক্রিকেট ব্যাট ছুঁড়ে ফেললো, আব্দারের পর আব্দার করে কেনা হাতঘড়িটার দিকে উদাসীন- আপনার সন্তানের মধ্যে এমন আচরণ দেখলে সতর্ক হয়ে যান৷ মনে রাখবেন, নিজের ব্যবহারের জিনিস থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া মানে, তার মাথায় কিছু একটা চলছে৷
ছবি: picture-alliance/Bildagentur-online/DP
অকারণ মেজাজ দেখানো
কৈশোরে ক্ষণে ক্ষণে মন পালটানো নতুন কিছু নয়৷ তারপরেও সতর্ক থাকতে হবে৷ পরিবারের মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতা আছে কিনা তা জানতে হবে৷ সবমিলিয়ে কৈশোরের উচ্ছ্বলতায় সন্তানও যেন উচ্ছ্বল থাকে, অভিভাবককে হতে হবে সবচেয়ে কাছের বন্ধু৷