1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বন্দর চালাবে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক

কারমেন মায়ার/এসবি২৭ অক্টোবর ২০১৫

ছোট বন্দর, এদিকে চাপ বাড়ছে৷ সম্প্রসারণেরও উপায় নেই৷ তাই ডিজিটাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে জার্মানির হামবুর্গ শহরের বন্দর কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু এর ঝুঁকিও কম নয়৷

Rollo Gebhard Weltumsegler mit Frau
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld

জাহাজ দেরি করছে৷ কিন্তু সবাই তা জানে৷ কন্টেনার তার নিজের পথ চেনে৷ পথঘাট খালি৷ সেতুর উপরেও কোনো বাধা নেই৷ একেই বলে ‘ইনটেলিজেন্ট' ও ‘নেটওয়ার্কড' বন্দর৷ সব কিছুর মধ্যে সমন্বয় রয়েছে৷ অন্তত কাগজে কলমে এমনটাই হওয়া উচিত৷ ট্রাকচালক ভিক্টর গেবেল বলেন, ‘‘আসলে শুক্রবার ভিড় হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা৷ দূর থেকে অনেক ট্রাক আসে, ডেনমার্ক থেকেও আসে৷ সবাই একইসঙ্গে এসে পড়ে৷''

কন্টেনার টার্মিনালে যানজট – ভিক্টর এ নিয়ে আর মাথা ঘামান না৷ তাঁর কাছে এটা গা-সওয়া হয়ে গেছে৷ গত ১১ বছর ধরে তিনি হামবুর্গ বন্দর ও গ্রাহকদের মধ্যে কন্টেনার পরিবহণ করে চলেছেন৷ কখন কোথায় যেতে হবে, আগে রেডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি সেটা জানতে পারতেন৷ আজ তিনি একটি ট্যাবলেট ব্যবহার করেন৷

সদর দপ্তর থেকে তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানো হয়৷ সেখানে ক্রিস্টিয়ান ব়্যুল কোম্পানির সব চালকের গতিবিধির উপর নজর রাখেন৷ নতুন এই ব্যবস্থার নাম ‘স্মার্ট পোর্ট লজিস্টিক্স'৷ স্টাপেলফেল্ট ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির ক্রিস্টিয়ান ব়্যুল বলেন, ‘‘এই সিস্টেমের মাধ্যমে আমরা আরও দক্ষ হয়ে উঠেছি৷ ট্রাকের অবস্থান দেখতে পাচ্ছি৷ ট্রাক কোন টার্মিনালের দিকে এগোচ্ছে জেনে চালকের কাছে আগেই প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠিয়ে দিতে পারছি৷ এ জন্য ট্রাক দাঁড় করিয়ে টেলিফোনে কথা বলার প্রয়োজন নেই৷''

গত ৩ বছর ধরে পরীক্ষামূলক এই প্রকল্প চলছে৷ ভিক্টর গেবেল এখন বন্দর ও গ্রাহকদের মধ্যে দিনে ৬.৫ বারের বদলে ৮ বার যাতায়াত করতে পারছেন৷ এটা শুধু উন্নত যোগাযোগের উপর নির্ভর করছে না৷ রাস্তায় মেরামতির কাজ হলে বা কোনো সেতু বন্ধ থাকলে সফটওয়্যার সেটাও দেখিয়ে দেয়৷ সফটওয়্যার কোম্পানির প্রকল্পের প্রধান জানেন, সব পক্ষ একসঙ্গে কাজ করলে তবেই এমন নেটওয়ার্ক চলতে পারে৷ স্মার্টপোর্ট প্রকল্পের প্রধান বারবারা ফ্ল্যুগে বলেন, ‘‘বিল বা গ্রাহক সংক্রান্ত তথ্য কিংবা অন্য কোনো গোপন বা ব্যক্তিগত তথ্য আমাদের নাগালের বাইরে থাকে৷ তবে এটা ঠিক, যে সব নিয়মকানুন, বিধিনিয়ম মেনে, একটা সীমা স্থির করে সবকিছু উন্মুক্ত করার মৌলিক প্রস্তুতি কিন্তু থাকা চাই৷''

ভিক্টর গেবেল একটু দেরি করে ফেলেছেন৷ যদিও তাঁর বস সেটা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন, তা সত্ত্বেও ভিক্টর সেটিকে নজরদারি হিসেবে দেখেন না৷ গোটা বন্দরই তাঁর তথ্য দেখতে পাচ্ছে, তবে কোথাও তাঁর নাম দেখা যাচ্ছে না৷ বন্দরের কাজকর্মে অবশ্য এখনো তেমন কোনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না৷ গেবেল বলেন, ‘‘আমার চোখে বন্দরে কোনো অবকাঠামো নেই৷ খুবই ছোট বন্দর, রাস্তাও কম৷ কিন্তু ওরা কিছুই করেনি৷''

নতুন রাস্তা তৈরি করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন৷ তাই বন্দরের প্রধান বার বার ডিজিটালাইজেশনের উপরই বেশি জোর দিচ্ছেন৷ একটা সমস্যা হলো, হামবুর্গ শহরের মাঝখানে বন্দরটি অবস্থিত৷ তাই সম্প্রসারণের তেমন জায়গা নেই৷

তাই তিনি ক্যামেরা ও নতুন সফটওয়্যারে বিনিয়োগ করছেন৷ অন্যদিকে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কিং-এর বিপদও রয়েছে৷ যেমন অ্যান্টওয়ার্প শহরের বন্দরের উপর হ্যাকারদের হামলা ঘটেছে৷ হামবুর্গ বন্দরের প্রধান ইয়েন্স মায়ার বলেন, ‘‘বিপদ হলো, কেউ তথ্যের অপব্যবহার করছে অথবা সিস্টেম অকেজো করে দিচ্ছে৷ আগে ফ্যাক্স যন্ত্র বিকল করে দিতে অসংখ্য ফ্যাক্স পাঠানো হতো৷ আজকের আইটি সিস্টেমের উপরও এমন হামলা ঘটে৷ তবে আমাদের কাঠামোয় এত অংশ থাকায় হামলা চালানো কঠিন৷''

ভিক্টর গেবেল এর মধ্যে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে গেছেন৷ অর্থাৎ আজ যানজট ছাড়া তিনি ২০ শতাংশ বেশি দক্ষতা দেখিয়েছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ