1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

বন্দি-প্রত্যার্পণ: ইউক্রেনে ফিরলেন ১৪৪ জন সেনা

৩০ জুন ২০২২

ইউক্রেন জানিয়েছে, মারিউপলে অ্যাজবস্টল কারখানা থেকে আটক যোদ্ধাদের একটি বড় অংশকে মুক্তি দিয়েছে রাশিয়া।

ইউক্রেন
ছবি: picture alliance / ASSOCIATED PRESS

ইউক্রেন প্রশাসন প্রথম জানায়, ১৪৪ জন সেনাকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে মারিউপলে অ্যাজবস্টল স্টিল কারখানা থেকে আটক যোদ্ধাদের ৯৫ জন আছেন। প্রাথমিকভাবে রাশিয়া জানিয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না। রাশিয়ার আদালতে ওই যোদ্ধাদের বিচার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। তাদের মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে সওয়াল করেছিল রাশিয়া। ফলে সেখান থেকে ৯৫ জনকে দেশে ফেরানো বড় জয় হিসেবেই দেখছে ইউক্রেন।

অন্যদিকে রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ডেনিস পুশিলিন জানিয়েছেন, রাশিয়া এবং দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের ১৪৪ জন বন্দি যোদ্ধা দেশে ফিরে গেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধাদের ইউক্রেনের জেল থেকে ছাড়িয়ে নিতে পারাকে জয় হিসেবে দেখছে রাশিয়া।

ইউক্রেনের খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে রোমানিয়ার সাহায্যের হাত

02:11

This browser does not support the video element.

ফিনল্যান্ড, সুইডেন নিয়ে পুটিনের বক্তব্য

তুর্কমেনিস্তান সফরে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন। সেখানে তিনি বুধবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। পুটিন বলেছেন, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটোয় যোগ দেওয়া নিয়ে তার কোনো আপত্তি নেই। তার কথায়, ''ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন কোথায় যোগ দেবে, তা সম্পূর্ণ তাদের নিজেদের বিষয়। এনিয়ে রাশিয়ার কিছু বলার নেই। তবে ইউক্রেনের যোগদান নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে।'' কিন্তু ন্যাটো যদি ওই দেশগুলিতে সামরিক কাঠামো তৈরি করে, তাহলে তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন পুটিন।

পুটিন এদিন বলেছেন, ইউক্রেন নিয়ে তাদের লক্ষ্য অপরিবর্তিত আছে। তবে কিছু পরিকল্পনার বদল হতে পারে। যুদ্ধ কতদিন চলবে, এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। বরং তিনি তার আগের মন্তব্যেই স্থির থেকেছেন। ইউক্রেন আত্মসমর্পন করলেই লড়াই থেমে যাবে বলে জানিয়েছেন পুটিন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, সম্প্রতি ইউক্রেনের শপিং মলে যে হামলা হয়েছে, তার দায় রাশিয়ার নয়। পুটিনের কথায়, ''ইউক্রেনের কোথায় কী কাঠামো আছে, তা আমরা জানি। ওই মলে রাশিয়ার সেনা হামলা চালায়নি।''

সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নয়

মঙ্গলবার রাতে দৈনিক ভিডিও বিবৃতি দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে তিনি বলেছেন, সিরিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন আর কোনো সম্পর্ক রাখবে না। কারণ, দামাস্ক মস্কোর কথায় চলছে। তারা দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক রিপাবলিককে বিচ্ছিন্ন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। জেলেনস্কির দাবি, ওই দুই অংশ ইউক্রেনের। রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ওই দুই অঞ্চলকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেছে। যারা তাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে, ইউক্রেন তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না। সিরিয়ার বিরুদ্ধএ কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে তাদের অন্তর্ভুক্তির জন্য কাগজপত্র জমা দেবে ইউক্রেন। দ্রুত এই প্রক্রিয়া সমাপ্ত বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

বরিস জনসনের ঘোষণা

যুক্তরাজ্য বুধবার জানিয়েছে, ইউক্রেনকে এক বিলিয়ন পাউন্ডের সামরিক সাহায্য দেওয়া হবে। এর মধ্যে আধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, স্বয়ংক্রিয় ড্রোন, আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম থাকবে। বরিস জনসন বলেছেন, এতদিন ইউক্রেনকে তারা কেবল প্রতিরোধের অস্ত্র দিয়েছেন। এবার আক্রমণের অস্ত্রও তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। জনসনের বক্তব্য, রাশিয়া ইউক্রেনে বর্বরোচিত আক্রমণ চালাচ্ছে। এবার তার যোগ্য জবাব দেয়ার সময় এসেছে।

রাশিয়ার হুমকি

বুধবার ন্যাটো প্রধান স্টলটেনবার্গের সঙ্গে এক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, ইউরোপে মার্কিন সেনার সংখ্যা তিনি বাড়াতে চান। শুধু তা-ই নয়, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সেনার সংখ্যাও বাড়ানোর প্রস্তাব হয়েছে ন্যাটোর সম্মেলনে। রাশিয়া এর কড়া জবাব দিয়েছে। রাশিয়ার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, অ্যামেরিকা এবং ন্যাটো সেনা বাড়ালে রাশিয়াও চুপ করে বসে থাকবে না। তারা এর যোগ্য জবাব দেবে। দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে রাশিয়া কোনোভাবেই আপস করবে না।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ