যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলায় আগ্নেয়াস্ত্র নিষেধাজ্ঞার পক্ষে জনমত গড়ে উঠছে৷ কিন্তু বন্দুকের সমর্থনে যারা, তাদের মতে সমস্যা মূলত মানসিক৷ তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসিক সমস্যা দিয়ে সহিংসতার ব্যাখ্যা দেয়া যায় না৷
অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার পক্ষে জনমত গড়ে উঠছে৷ টেক্সাসে সমাবহেশের ছবি৷ ২৭ মে, ২০২২ছবি: Patrick T. Fallon/AFP/Getty Images
বিজ্ঞাপন
‘ডেনমার্কে বন্দুক নিষিদ্ধ, তারপরও কোপেনহাগেনে বন্দুক হামলা', ফ্লোরিডার রিপাবলিক দলের কংগ্রেস প্রার্থী ল্যাভার্ন স্পাইসার গত রোববার এই টু্ইটটি করেন, যেটি পরে ভাইরাল হয়৷ আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধ করে বন্দুক হামলাঠেকানো যাবে না, যুক্তরাষ্ট্রে এমন মতের পক্ষে থাকা রাজনীতিবিদদের মধ্যে একজন ল্যাভার্ন স্পাইসার৷ বন্দুকের অধিকারের পক্ষে থাকারা প্রতিটি হামলার পরই এমন যুক্তি তুলে ধরেন৷ তাদের মতে এই হামলাগুলোর জন্য দায়ী মানসিক সমস্যা, আগ্নেয়াস্ত্র নয়৷
এই ব্যাখ্যাটি নানা সময়ে সরলভাবে তুলে ধরে মার্কিনগণমাধ্যমও৷ তবে কোনো গবেষণাতেইসব হামলাকারীর একই ধরনের মানসিক পরিস্থিতি থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না৷ এমনকি শুধু মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে এই ধরনের সহিংসতা ঘটছে এমন তথ্যও পাওয়া যায় না৷
মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক লিসা পেসকারা-কোভাখ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মানসিক রোগ অবশ্যই একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ৷ কিন্তু সেটা একমাত্র নয়৷ আমাদের শুধু এর উপর মনোনিবেশ করা উচিত নয়৷''
সোমবার শিকাগোতে স্বাধীনতা দিবসের শোভাযাত্রায় হামলার পর এই অধ্যাপক সন্দেহভাজন অভিযুক্তের অতীত খতিয়ে দেখেন৷ তার মতে, আগে যারা আরো এমন সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের সঙ্গে এই তরুণের অনেক মিল আছে৷ পেসকারা-কোভাখ বলেন, তিনি বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন৷ ২০১৯ সালে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন৷ এর কয়েক মাস পর নিজের পরিবারের সদস্যদের হত্যারও হুমকি দেন৷ কিন্তু এই তরুণ কেন নির্বিচারে মানুষের উপর গুলি চালিয়েছে তা তার বিষন্নতা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না৷ তিনি বলেন, ‘‘তার বেশ কয়েকটি উদ্বেগজন আচরণ ছিল৷ কিন্তু সেগুলোর কোনোটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগে রূপ নেয়নি৷''
পেসকারা-কোভাখ মনে করেন, ঐ ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য যেমনই থাক না কেন, শেষ পর্যন্ত বন্দুকের সহজলভ্যতাই এই ধরনের হামলাকে সম্ভব করে তোলে৷
প্রত্যক্ষদর্শীর ভিডিওতে শিকাগোর বন্দুক হামলা
01:44
This browser does not support the video element.
বন্দুক বনাম মানসিক সমস্যা এই বিতর্ককে সামনে আনাও অযৌক্তিক বলে মনে করেন তিনি৷ তার মতে, এমন ব্যাখ্যা তৈরি করার মাধ্যমে অপরাধীকেও এক রকমের ভুক্তভোগী হিসেবে হাজির করা হয়, যার কারণে অনেক মানুষ আসলে ভুক্তভোগী হয়েছেন৷
সংখ্যা যা বলে
২০১৮ সাল প্রকাশিত এক জরিপ অনুযায়ী, ২০০০ সালে থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত হামলাকারীর মাত্র ২৫ শতাংশের মানসিক রোগ নিরুপণ হয়েছিল৷ আরো কিছু গবেষণাতেও দেখা যায়, হামলাকারীদের গুরুতর মানসিক সমস্যা থাকার হার খুবই কম৷ তবে ২০২০ সালে প্রকাশিত আরেক গবেষণা বলছে ১৯৬৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত হমলার ঘটনায় জড়িতদের দুই-তৃতীয়াংশেরই মানসিক সমস্যা ছিল এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায়৷
কিন্তু অনেক গবেষকের মতে, এমনকি গুরুতর মানসিক সমস্যাও এই ধরনের নির্বিচার হত্যার প্রয়োজনীয় কারণ নয়৷ ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার অধ্যাপক জেনিফার স্কিম ও তার সহকর্মী দীর্ঘদিন গুরুতর মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে গবেষণা করেছেন৷ তাদের মতে, ‘‘গুরুতর মানসিক সমস্যা এবং সহিংসতার মধ্যে একটি সম্পর্ক আছে৷ কিন্তু মানুষের ধারণা আর গণমাধ্যম সেটিকে যেভাবে তুলে ধরছে সেই তুলনায় এটি দুর্বল এবং কদাচিৎ প্রযোজ্য৷''
অ্যামেরিকা-জুড়ে শোকের ছায়া
টেক্সাসের স্কুলে গুলি চালানোর ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শোকের ছায়া সর্বত্র।
ছবি: Marco Bello/REUTERS
টেক্সাসের স্কুলে গুলি
টেক্সাসের ইউভ্যালডির একটি প্রাথমিক স্কুলে ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার। ১৮ বছরের এক তরুণ গায়ে বুলেটের বেল্ট লাগিয়ে স্কুলে ঢুকে পড়ে। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সে ছাত্রছাত্রীদের হত্যা করে। ঘটনায় ১৮ জন শিশু নিহত হয়েছে। মোট মৃত ২১। এর আগে বাড়িতে নিজের দিদিমাকেও গুলি করে হত্যা করে ওই যুবক। পরে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। গুলি চালানোর কারণ এখনো অস্পষ্ট।
ছবি: Allison Dinner/AFP
বাইডেনের প্রতিক্রিয়া
জাপান থেকে অ্যামেরিকায় ফিরছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিমানেই তিনি খবরটি পান। বিমানে বসেই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। পরে টুইটও করেন। ওয়াশিংটনে নেমে ফের সাংবাদিক বৈঠক করেন বাইডেন। ঘটনায় নিজের ক্ষোভ চেপে রাখেননি প্রেসিডেন্ট। এর জন্য অস্ত্র আইনকে ফের দায়ী করেছেন তিনি।
ছবি: Kevin Lamarque/REUTERS
ক্ষুব্ধ কমলা হ্যারিস
টেক্সাসের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তিনিও জানিয়েছেন, এবার দ্রুত অস্ত্র আইন বদল করা উচিত। নির্বাচন পর্বে বাইডেন-হ্যারিস জুটি জানিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে তারা অস্ত্র আইন কঠোর করবেন। কিন্তু রিপাবলিকানদের প্রতিরোধে সেই বিল আইনে পরিণত হয়নি। যা নিয়ে বার বার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাইডেন এবং হ্যারিস দুইজনেই।
ছবি: Alexandru Dobre/AP/picture alliance
পতাকা অর্ধনমিত
হোয়াইট হাউস, নৌবাহিনীর জলযান, সামরিক ঘাঁটি, দূতাবাস-সহ সমস্ত সরকারি ভবনে পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
ছবি: Anna Moneymaker/Getty Images
বেসবল মাঠ
নিউইয়র্কে একটি বেসবল মাঠের ছবি। খেলা শুরুর আগে সেখানে নিহত শিশুদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হচ্ছে।
ছবি: Frank Franklin II/AP Photo/picture alliance
স্কুলের চেহারা
মেক্সিকোর সীমান্তে অবস্থিত ইউভ্যালডি। ছোট্ট এই শহরে মাত্র ১৬ হাজার মানুষের বাস। সেখানেই এলিমেন্টারি স্কুলে আক্রমণ চালায় ১৮ বছরের স্যালভাডোর রামোস। গুলির আওয়াজ পাওয়ার পরেই সেখানে পৌঁছে যায় স্থানীয় পুলিশ। পুলিশের গুলিতে নিহত হয় আক্রমণকারী। তার আগে ২১ জনের প্রাণ নিয়ে নিয়েছে সে।
ছবি: San Antonio Express-News/ZUMA Press/IMAGO
ফাঁকা স্কুলবাস
এই স্কুলবাসে করেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল নিহত শিশুদের। ফাঁকা স্কুলবাস দাঁড়িয়ে আছে স্কুলের বাইরে।
ছবি: Marco Bello/REUTERS
নিরাপত্তার বেষ্টনী
স্কুল চত্বর ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তাকর্মীরা। সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্কুলের বাইরে আতঙ্কিত বাবা-মায়েদের ভিড়।
ছবি: William Luther/The San Antonio Express-News/AP/picture alliance
ভেঙে পড়েছেন অভিভাবকরা
স্কুলের ভিতর থেকে তখনো সমস্ত মৃতদেহ বার করা হয়নি। স্কুলের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অভিভাবকরা।
ছবি: Marco Bello/REUTERS
একের পর এক ঘটনা
গত কয়েকবছরে একের পর এক গুলিচালানোর ঘটনা ঘটেছে অ্যামেরিকায়। স্কুলেও আক্রমণ হয়েছে। তবে এত বড় ঘটনা প্রায় ১০ বছর পরে ঘটল। এর আগে কানেকটিকাটের একটি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
ছবি: Dario Lopez-Mills/AP Photo/picture alliance
10 ছবি1 | 10
তাহলে হামলার কারণ কী?
পেসকারা-কোভাখ বলেন, ‘‘ইস্যুটি গুরুতর মানসিক সমস্যা নয়৷ এই (হামলাকারী) ব্যক্তিরা নিরাশ, হতাশাগ্রস্ত এবং আত্মহত্যাপ্রবণ ছিল৷'' তিনি জানান, অনেক তরুণ বন্দুকবাজের ক্ষেত্রে ‘আত্মপরিচয়ের সংকট', ‘শরীরের ইমেজ সম্পর্কে নিরাপত্তাহীনতা' ছিল৷ সেই সঙ্গে তারা চরমপন্থি দৃষ্টিভঙ্গি এবং নাৎসি ও অতি পৌরুষ ভাবমূর্তির প্রতি আকৃষ্ট ছিল৷
খ্যাতি এবং দৃষ্টি আকর্ষণও তাদের একটি সচরাচর উদ্দেশ্য৷ পেসকারা-কোভাখ বলেন, ‘‘অনেক সময় অপরাধ সংঘটনকারী মনে করেন তাদের জীবন ছোট৷ কিন্তু তারা বড় কিছুর অংশীদার হতে চান৷ তারা ইতিহাসের অংশীদার হতে চান৷''
এমন হামলা ঠেকানোর উপায় কী? তার মতে, ঝুঁকির কারণগুলো কমাতে হবে৷ মানসিক স্বাস্থ্যসেবা আরো সহজলভ্য করতে হবে৷ কিন্ত তাই বলে মানুসিক রোগ এবং মনস্ত্বাত্ত্বিক পরীক্ষার সঙ্গে সহিংসতার ঝুঁকি এবং হুমকি মূল্যায়নকে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয় বলে মনে করেন এই মনরোগ গবেষক৷
একের পর বন্দুক হামলায় বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র৷ অস্ত্র আইন কঠোর করার দাবিতে ‘মার্চ ফর লাইভস’-এ অংশ নিলেন হাজারো মার্কিন নাগরিক৷
ছবি: REUTERS
সন্তানকে আঁকড়ে
টেক্সাসের ইউভ্যালডিতে প্রাথমিক স্কুলে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালায় এক বন্দুকধারী৷ তাতে প্রাণ হারায় ১৮ শিশু-সহ ২১ জন৷ সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা ৷ মিছিলেও দেখা গেল সেই ছবি৷ সন্তানের হাত আঁকড়ে অস্ত্র আইন কঠোর করার দাবি জানালেন মা-বাবারাও৷
ছবি: REUTERS
প্রতিবাদের স্বর
২০১৮ সালে ডগলাসে বন্দুক হামলা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন এক্স গঞ্জালেজ৷ ‘মার্চ ফর আওয়ার লাইভস’-এর সহ-উদ্যোক্তা তিনি৷ ওয়াশিংটন ডিসিসহ সারা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন তারা৷
ছবি: REUTERS
চোখে জল, লক্ষ্যে অবিচল
সমাবেশে পা মিলিয়েছেন গঞ্জালেজ৷ বক্তৃতাও দিয়েছেন৷ সেই সময় চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি৷ এতগুলো মানুষকে হারিয়ে ফেলার দুঃসহ স্মৃতি আজো তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে ৷
ছবি: REUTERS
হাজারো মানুষের প্রতিবাদ
নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন ব্রিজে হাজারো মানুষ হাঁটলেন অস্ত্র আইন কঠোর করার দাবিতে৷ ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডেও দেখা গেছে এমন সমাবেশ৷
ছবি: REUTERS
ন্যাশনাল মলে..
মানুষের মাথা ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছিল না ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল মলের সমাবেশে৷ ১১ জুনের বিপুল সমাবেশে অংশ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আপামর সাধারণ নাগরিকেরা৷
ছবি: REUTERS
স্মৃতির ভার
খোসে বাদিও নামে এক ব্যক্তি বন্দুক হামলায় নিহত শিশুদের ছবির সামনে প্রতিবাদের পতাকা জুড়ে দিচ্ছেন৷ ছবিটি টেক্সাসের অস্টিনের৷
ছবি: REUTERS
ঝরে যাওয়া প্রাণ
স্কুলে পড়াশোনা করতে এসে আর বাড়ি ফেরেনি ইভা মিরেলেস৷ তার মতো অনেক শিশুই আর বেঁচে নেই৷ ক্রুশ আর গোলাপে তাদের স্মরণ করা হয়েছে৷
ছবি: REUTERS
ফিরবে না বোন
তুতো বোন জ্যাকি কাজারেস আর ফেরেনি৷ টেক্সাসের ইউভ্যালডির স্কুলে নিহত পড়ুয়াদের মধ্যে সে-ও একজন৷ বড় বোন ক্রিস্টেলা মেনডোজা বোনের হাসিখুশি মুহূর্তের একটি ছবি হাতে নিয়ে কঠোর অস্ত্র আইনের দাবিতে অস্টিনের সমাবেশে অংশ নিয়েছেন৷
ছবি: REUTERS
বুলেট নয়, বই চাই
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষকরাও অস্ত্র আইন কঠোর করার দাবিতে পথে নেমেছেন৷ ‘অ্যামেরিকান ফেডারেশন অফ টিচার্স’-এর প্রেসিডেন্ট রান্ডি ওয়েইনগার্টেন৷ ‘মার্চ ফর আওয়ার লাইভস’-এ বক্তব্য রেখেছেন তিনিও৷
ছবি: Joshua Roberts/REUTERS
পুলিশের সঙ্গে
সমাবেশে এক প্রতিবাদীর সঙ্গে কথা বলছেন এক পুলিশকর্মী৷ বিপুল সমাবেশে যাতে কোনোরকম গন্ডগোল না হয়, সে দিকে কড়া দৃষ্টি ছিল প্রশাসনের৷ অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেও অস্ত্র আইন কঠোর করার পক্ষেই৷
ছবি: Ken Cedeno/REUTERS
আর কেউ যেন সন্তান না হারায়
পার্কল্যান্ডে বন্দুক হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল জোয়াকিন অলিভার৷ তার বাবা ম্যানুয়েল অলিভার এবং মা প্যাট্রিসিয়াও প্রতিবাদ মঞ্চে ছিলেন৷ এছাড়াও ছিলেন ডগলাসে বন্দুক হামলায় বেঁচে যাওয়া ডেভিড হগ৷
ছবি: Jonathan Ernst/REUTERS
ফুলে স্মৃতিচারণ
অজস্র পড়ুয়া পা মেলান এই সমাবেশে৷ তেমনই নিহত পড়ুয়াদের স্মৃতিতে সারি সারি ফুলের মাধ্যমে পড়ুয়াদের স্মৃতিচারণ করা হয়েছে৷ তেমনভাবেই অজস্র নোটবুক, ভেঙে যাওয়া পেনসিলের টুকরো রেখেও স্মরণ করা হয়েছে পড়ুয়াদের৷
ছবি: Allison Bailey/NurPhoto/IMAGO
শিশু হত্যা ও বন্দুক
এক ব্যক্তির হাতে একটি পোস্টার ছিল৷ তাতে একটি বন্দুকের ছবি৷ বন্দুকের পাশে লেখা ‘বেবি কিলার’ অর্থাৎ শিশু হত্যাকারী৷