বন্দুক নয়, বন্যপ্রাণী ঠেকাতে মরিচের গুঁড়ো
২৬ জুলাই ২০১০মরিচের গুঁড়ো স্প্রে করুন, খেত রক্ষার কাজে ব্যবহার করুন গাধা৷ এভাবেই বন্যপ্রাণীদের দূরে সরিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ৷ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) তার ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে এই পরামর্শ দিয়েছে৷ বিশেষ করে আফ্রিকার কৃষিজীবীদের হাতে বন্যপ্রাণী হত্যা যাতে বন্ধ হয় সে জন্যেই এই পরামর্শ৷ বলা হয়েছে এর জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় এক ‘টুলকিট' সরবরাহ করা হবে৷
আফ্রিকা মহাদেশে বন্যপ্রাণী আর মানুষের মধ্যে প্রতিযোগিতা সংঘাতের এক বড় উৎস৷ লোকসংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে৷ আর এই বাড়তি জনসংখ্যার প্রয়োজন মেটাতে চাই ফসল আর পশুপালনের জন্য আরো জমি৷ বনভূমি কমতে থাকায় হাতি আর বেবুনের দল ঢুকে পড়ছে মাঠে৷ তছনছ করে দিচ্ছে খেতের ফসল৷ জাতিসংঘ বলছে, প্রতি বছর বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ৭৫ মিলিয়ন করে বাড়ছে৷ মানুষ আর বন্যপ্রাণীর জন্য আরো সংকুচিত হয়ে আসছে স্থান৷ ফলে সংঘাতের হুমকিও আরো বেড়ে যাচ্ছে৷ ক্রুদ্ধ কৃষকরা ফসল নষ্ট করা হাতিদের অনেক সময় মেরে ফেলে৷ জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলছে, এই সংহার নয় আর৷ ব্যবহার করুন মরিচের গুঁড়ো৷
প্লাস্টিকের বন্দুকে থাকবে মরিচের গুঁড়ো ভর্তি পিংপং বল৷ ছুঁড়লেই তা হাতির চামড়ায় ছড়িয়ে দেবে মরিচের গুঁড়ো৷ শুরু হয়ে যাবে জ্বালাপোড়া৷ হাতি তখনই দৌড়ে অন্য কোথাও পালিয়ে যাবে৷ আরও একটি পদ্ধতির কথাও বলা হয়েছে৷ মরিচের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি এক মিশ্রণে আগুন লাগালে ধোঁয়ার জন্য হাতি আর ধারেকাছে আসবেনা৷
আফ্রিকায় বেবুনের উৎপাত খুব বেশি৷ওরা বিল্ডিং-এর ভিতর ঢুকে পড়ে খাবার চুরি করে৷ এফএও এফএও বলেছে, তাদের ভয় পাইয়ে দিতে ফাঁপা রুটির ভিতর সাপ রাখা যেতে পারে৷ মোজাম্বিকে প্রতি বছর প্রায় ৩শ মানুষ প্রাণ হারায় কুমিরের আক্রমণে৷ সেখানে পানির কাছে বেড়া দেয়ার বিশেষ ব্যবস্থা নেয়াটা জরুরি৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক