1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি-ইসরায়েল সম্পর্ক

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

জার্মানি ও ইসরায়েল – দুই দেশের মন্ত্রিসভার বাৎসরিক বৈঠকের রীতি শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগে৷ সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল দলবল নিয়ে জেরুসালেমে গেলেন৷ ‘ইসরালেয়ের বন্ধু' হিসেবেও তিনি বসতি নীতির সমালোচনা করলেন৷

নেতানিয়াহু ও ম্যার্কেল
ছবি: picture-alliance/dpa

প্রায় গোটা মন্ত্রিসভা নিয়েই ইসরায়েল সফরে গেলেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ তবে ভাইস চ্যান্সেলর ও এসপিডি নেতা সিগমার গাব্রিয়েলই অসুস্থতার কারণে সফরসঙ্গী হতে পারলেন না৷ ১৫ জন মন্ত্রীর মধ্যে ১৩ জনই পঞ্চম যৌথ বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন৷ দুই দেশের বিশেষ সম্পর্কের প্রতীকী এই আলোচনা প্রক্রিয়ার উপর অবশ্য এবার একটা কালো ছায়া পড়েছে৷ মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার প্রধান অন্তরায় পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সরকারের বসতি নীতি – ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই নীতির সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন ম্যার্কেলও৷ পশ্চিম তীরে সক্রিয় ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলির উপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ চাপিয়ে চলেছে ইউরোপ৷

পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমালোচনা বেড়েই চলেছেছবি: picture-alliance/dpa

ইসরায়েলের সরকারের জন্য বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর৷ কিন্তু বহু বছর ধরে অনেক কাজের মাধ্যমে ম্যার্কেল নিজেকে ইসরায়েলের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে আস্থা অর্জন করেছেন৷ তাই তাঁকে আর যাই হোক, বৈরি বা শত্রুভাবাপন্ন হিসেবে দোষারোপ করা নেতানিয়াহুর সরকারের পক্ষেও সম্ভব নয়৷ নেতানিয়াহু শুধু বলেছেন, গাজা থেকে সব বসতি প্রত্যাহার করার পরেও শান্তি আসে নি৷ অতএব পশ্চিম তীরের বসতি চলমান শান্তি প্রক্রিয়ার অন্তরায় – এই যুক্তি খাটে না৷ তাঁর মতে, শান্তি প্রক্রিয়ার চাবিকাঠি ফিলিস্তিনিদের হাতে৷ তারা নমনীয় হলেই অগ্রগতি ঘটবে৷

নাৎসি জমানার ইহুদি নিধন যজ্ঞ ও তার ফলশ্রুতি হিসেবে রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের জন্ম – এই ঐতিহাসিক সত্যের সঙ্গে আজকের জার্মানিও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে৷ তাই নানাভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে সহযোগিতা করে এসেছে ফেডারেল জার্মানির প্রতিটি সরকার৷ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও যথেষ্ট গভীর৷ সেই সহযোগিতা আরও জোরদার করতে এবারের সফরে সব মিলিয়ে মোট ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে৷ যেমন যে সব দেশে ইসরায়েলের কোনো দূতাবাস নেই, সেখানে কোনো ইসরায়েলি নাগরিক বিপদে পড়লে জার্মান দূতাবাসের সহায়তা নিতে পারবেন৷ এছাড়া পর্যটক ভিসা নিয়ে জার্মানিতে এসেও ছয় মাস কাজ করার সুযোগ পাবেন ইসরায়েলি নাগরিকরা৷ জার্মান নাগরিকদের জন্যও একই সুবিধা থাকবে ইসরায়েলে৷

ইসরায়েলের প্রতি সংহতির স্বীকৃতি হিসেবে আঙ্গেলা ম্যার্কেল ইসারেয়েলের প্রেসিডেন্টের মেডেল পাচ্ছেন – যা সে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান৷ এই প্রথম ইউরোপের কোনো রাজনীতিককে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ