অবিভক্ত বাংলার বহু প্রাচীন লোকশিল্পের সম্ভার এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে৷ কয়েক দশক ধরে জোকার গুরুসদয় মিউজিয়াম এসব রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে৷ কেন্দ্র হঠাৎই জানিয়েছে, তারা আর কোনওরকম অর্থ সাহায্য করতে পারবে না৷
বিজ্ঞাপন
অবিভক্ত বাংলার র দুষ্প্রাপ্য সম্ভার নিয়ে ১৯৬৩ সালে জোকায় ৫ বিঘা জমিতে তৈরি হয়েছিল গুরুসদয় মিউজিয়াম৷ নেপথ্যে ছিলেন বাংলার ব্রতচারী সমিতির রূপকার গুরুসদয় দত্ত৷ এখনও শতাধিক বছরের পুরোনো ২০০-রও বেশি নকশিকাঁথার সংগ্রহ রয়েছে এখানে৷ সুজনি, আরশিলতা, বৈতান, দুর্জানির মতো প্রায় সাত রকমের বিরল কাঁথার সংগ্রহ রয়েছে৷ কাঁথার উপর রান, বকেয়া, চেন, ভরাটের সেলাই মনে করিয়ে দেয় সাবেক বাংলার শিল্পরীতি৷ ১৯৮৪ সাল থেকেই প্রধানত বিরল কাঁথার এমন সংগ্রহের জন্য কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রক এই সংগ্রহশালার কর্মীদের বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার দায়ভার বহন করে আসছিল৷ কিন্তু আচমকাই মন্ত্রক সেই চুক্তি বাতিল করেছে৷ ফলে পাঁচ মাস ধরে বিনা বেতনে কাজ করে চলেছেন এই জাদুঘরের সঙ্গে যুক্ত থাকা ১৩ কর্মচারী৷ জাদুঘরের কিউরেটর বিজন মণ্ডল ডয়চে ভেলেকে বললেন, ‘‘এর ফলে বাংলার সাবেক লোকশিল্পের বিপুল সংগ্রহ ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে৷ আর এভাবে সরকার যে চুক্তি বাতিল করতে পারে, এমনটা ভাবা যায় না! সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন স্তরে আমরা মিউজিয়ামকে সাহায্যের জন্য আবেদন করেছি৷ স্থানীয় সাংসদও ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দেননি৷ মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত আশাপ্রদ কিছুই হয়নি৷ আপাতত নিরাপত্তারক্ষী রাখা হচ্ছে নিজস্ব তহবিলের অর্থ দিয়ে৷ এরপরে তো অর্থের অভাবে দেশের জাতীয় সম্পদ ভীষণরকম ক্ষতির মুখে পড়বে৷''
বিজন মন্ডল
গত বছর কেন্দ্রের দেওয়া সর্বোচ্চ অনুদানের পরিমাণ ছিল বার্ষিক ৪৫ লক্ষ টাকার মতো৷ কিন্তু সবকিছু রক্ষণাবেক্ষণে খরচ হয়েছিল ৪৬ লক্ষ টাকার মতো৷ এই উদ্বৃত্ত টাকা মিউজিয়ামের তহবিল থেকেই বহন করা হয়েছে৷ কিন্তু এখন হঠাৎ করে এভাবে সরকারের সিদ্ধান্তে আকাশ ভেঙে পড়েছে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের মাথায়৷
শুধু কাঁথা নয়, দুই বাংলার হস্তশিল্প ও লোকশিল্পের তিন হাজারের বেশি উপকরণ রয়েছে এখানকার সংগ্রহে৷ পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার নানা উপাদানের পুতুল, পটচিত্র, আমসত্ত্বের ছাঁচ, মঙ্গল ঘট, হাঁড়ি, শিকা, মাটির পাত্র, দশাবতার তাস বাঙালির সাংস্কৃতিক বিবর্তনস্মরণ করিয়ে দেয়৷
১৯৬৩ সালে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী হুমায়ুন কবীর প্রদর্শনশালাটির উদ্বোধন করেছিলেন৷ একেবারে গোড়ার দিকে ব্রতচারী সমিতি অর্থ সংগ্রহ করে এই মিউজিয়ামের তত্ত্বাবধান করতো৷ এরপর ১৯৮৪ সালে কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রক এই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যয়ভার বহনে রাজি হয় এবং তাদের সুপারিশ মেনেই ১৫ সদস্যের পরিচালনা কমিটি তৈরি হয়৷ তৎকালীন রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপেই কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রক কর্মীদের বেতন ও মিউজিয়াম রক্ষণাবেক্ষণের অর্থ বহন করার চুক্তি করে৷ এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি বছরই বস্ত্র মন্ত্রক থেকে বরাদ্দ পাঠানো হয়৷ কিন্তু এখন বলা হচ্ছে, মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ নিজেরাই অর্থ সংগ্রহে সক্ষম৷ তাই কেন্দ্র আর কোনও সাহায্য করবে না৷ বরং তারা বিকল্প কিছু উপায় খুঁজে নিক! এ প্রসঙ্গে বিজন মণ্ডল বললেন, ‘‘মিউজিয়াম অর্থ উপার্জনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে না৷ কারণ, মিউজিয়াম শিল্প ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে৷ তাই এই প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে অনুদান লাগবেই৷ এই মুহূর্তে মিউজিয়ামের নিজস্ব কোনও জমি ও বিনিয়োগ করার মতো অর্থ নেই৷ আমাদের কিছু প্রচেষ্টা শুরু করতে গেলে ন্যূনতম বিনিয়োগ তো লাগবে! সেটাও নেই৷''
সোনারগাঁওয়ে কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব
নারায়ণগঞ্জের প্রাচীন নগরী সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপী হয়ে গেল কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব৷ একই প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতির প্রায় সব উপাদান দেখা গেল এ উৎসবে৷ বিস্তারিত দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: M. M. Rahman
কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব
সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় মাসব্যাপী এ মেলা৷মেলাটি ১৯৭৬ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে৷ হারাতে বসা লোকজ ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার ও নতুন প্রজন্মকে এর সঙ্গে পরিচিতি করে তুলতেই এ আয়োজন৷
ছবি: M. M. Rahman
শুরু ও শেষ
২০১৮ সালের সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প মেলার শুরু হয়েছিল ১৪ জানুয়ারি, শেষ হলো গতকাল, অর্থাৎ ১২ ফেব্রুয়ারি৷ প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলেছে মেলা৷
ছবি: M. M. Rahman
কারুশিল্প জাদুঘর
সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরের আছে ‘লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর’৷ এগারোটি গ্যালারিতে এ জাদুঘরে প্রায় চার হাজার তিনশটিরও বেশি লোকসংস্কৃতির নিদর্শন সংরক্ষিত আছে৷
ছবি: M. M. Rahman
মেলার মূল আকর্ষণ
এবারের লোক ও কারুশিল্প মেলায় দেশের নানান প্রান্ত থেকে শিল্পীরা হাজির হয়েছেন তাঁদের ঐতিহ্যবাহী সব শিল্পকর্ম আর সাংস্কৃতিক উপাদান নিয়ে৷ এবারের মেলায় মোট ১৮০ টি স্টলে স্থান পেয়েছে৷
ছবি: M. M. Rahman
কারুপণ্যের সমাহার
লোক কারুশিল্প মেলা প্রাঙ্গণে দেখা গেছে সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী কাঠের পুতুল আর দারুশিল্প৷ এছাড়াও নরসিংদীর পাটের শিকা, বিক্রমপুরের শীতল পাটি, রংপুররের শতরঞ্জি, ঠাকুরগাঁওয়ের শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ি, নকশি পাখা, সোনারগাঁওয়ের পটচিত্র, টেপা পুতুল, যশোরের নকশি কাঁথাও ছিল মেলায়৷
ছবি: M. M. Rahman
আরো যা যা ছিল
কারুশিল্প মেলায় দর্শনার্থীরা ধামরাইয়ের তামা, পিতল আর কাঁসা শিল্পের নিদর্শনও দেখেছেন৷ আরো দেখেছেন কিশোরগঞ্জের টেরাকোটা আর টাঙ্গাইলের বাঁশের শিল্পকর্ম৷
ছবি: M. M. Rahman
হস্তশিল্প তৈরি
লোক কারুশিল্প মেলার স্টলগুলোতে এই শিল্পীরা তাঁদের পণ্যসামগ্রী শুধু বিক্রিই করেননি, পাশাপাশি স্টলে বসেই সেসব তৈরির কৌশলও দেখিয়েছেন দর্শনার্থীদের৷
ছবি: M. M. Rahman
জামদানি
ঐতিহ্যবাহী জামদানির জন্য বিখ্যাত সোনারগাঁও৷ জামদানি শাড়ি তৈরির তাঁতও ছিল একটি স্টলে৷ এছাড়া জামদানি বিক্রির কয়েকটি স্টলও ছিল মেলায়৷ জামদানি তৈরির কলাকৌশলও দেখেছেন দর্শনার্থীরা৷
ছবি: M. M. Rahman
মুড়ি-মুড়কি আর পিঠেপুলি
ঐতিহ্যবাহী মুড়ি-মুড়কি ছাড়া কি আর মেলা হয়? লোক ও কারুশিল্প মেলায় তাই বেশ কিছু মুড়ি-মুড়কি, মিঠাই, মুরালি আর পিঠে-পুলির স্টলও ছিল৷
লোক ও কারুশিল্প মেলার অন্যতম আকর্ষণ পালাগান, বিয়ের গান, বাউল গান, জারি, সারি, মুর্শিদী, মারফতি, লালন, হাসনের গানসহ লোকসঙ্গীতের বিশাল আয়োজন৷ প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত অবধি মেলার মঞ্চে চলেছে এসব গানের আসর৷
ছবি: M. M. Rahman
11 ছবি1 | 11
রংপুরের এয়োঘট, খুলনার চিত্রিত পিঁড়ে ও লাউয়ের শুকনো খোলের মুখোশ, পুরোনো কলকাতার ডোকরার মূর্তি, ময়মনসিংহের পোড়ামাটির খেলনা পুতুল, মাটির মুখোশ আজকের বাঙালিকে গৌরবময় লোকসংস্কৃতির কথা জানান দিলেও জোকার যে প্রান্তিক জায়গায় এই জাদুঘরের অবস্থান, সেখানে বাঙালি দর্শকের ভিড় বেশি হয় না৷ যাতায়াতের অসুবিধার জন্য মূলত গবেষক, শিক্ষক, ছাত্র এদেরই সমাগম হয় দর্শনার্থী হিসেবে৷ কাজেই টিকিট বিক্রি করে বেশি আয় হয় না৷ টিকিট বিক্রি করে বার্ষিক ৮০-৯০ হাজার টাকার মতো আয় হয়৷ তাতে কীভাবে এই বিপুল সংখ্যক শিল্পকলা রক্ষণাবেক্ষণের খরচ সামলানো সম্ভব? প্রশ্ন তুললেন বিজন মণ্ডল৷ ৩২ বছর ধরে এখানে কাজ করছেন পীযূষ চক্রবর্তী৷ পাঁচ মাস বেতন না পেয়েও হাসিমুখে কাজ করে চলেছেন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি জানালেন, ‘‘বাংলার এসব ঐতিহ্য আর শিল্পসম্পদগুলোর প্রতি আমাদের ভালোবাসা আর মমতা থেকেই যায়৷ পাঁচ মাস বেতন না পেয়েও কাজটা করে যাচ্ছি তাই৷ অবস্থার পরিবর্তন না হলে বাঙালির বহু মূল্যবান ইতিহাস হারাবে৷ এ দায় বাঙালিরই৷''
অনেক আগেই গুরুসদয় দত্ত বুঝেছিলেন শুধুমাত্র পুঁথিপত্র ও বক্তৃতার জোরে বাংলার চলমান সংস্কৃতিকে ধরে রাখা সম্ভব নয়৷ তাই শিল্পবস্ত্রগুলি সংরক্ষণের কথা ভেবে বাড়ি তৈরির প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন৷ ১৫০০ থেকে ২০০০ খ্রিস্টাব্দ— এই ৫০০ বছরের বাংলার সংস্কৃতির বৃহত্তর অংশ আর অন্য কোনও সংগ্রহশালায় নেই৷ এমনকি ভারতীয় জাদুঘরেও নেই৷ সেই অর্থে এটি বাংলার অতীত ইতিহাসের ধারক গুরুসদয় মিউজিয়াম৷ অথচ সংকট তৈরির পর কয়েক মাস কেটে গেলেও এখনও সমাধানের আভাস মেলেনি৷ তবে কি বাঙালি সংস্কৃতির এই ধারকের রক্ষার উপায় নেই?
আবহমান বাংলার মাটির গান
বাংলার প্রতিটি অঞ্চলেরই রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি৷ নানা আচার, প্রথা, জীবনযাপনের ঢং, এমনকি পরিবেশ-প্রকৃতিও প্রভাব রেখেছে এই স্বকীয়তা সৃষ্টিতে৷ এমন কিছু লোকগীতি নিয়ে এই ছবিঘর৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
ভাটিয়ালী
বাংলাদেশের ভাটি অঞ্চলের জনপ্রিয় গান ভাটিয়ালী৷ নদ-নদীতে পূর্ণ ময়মনসিংহ অঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র নদের উত্তর-পূর্ব দিকের অঞ্চলগুলোতেই ভাটিয়ালী গানের মূল সৃষ্টি, চর্চাস্থল৷ ভাটিয়ালী গানের মূল বৈশিষ্টা হলো, এ গান রচিত হয় মূলত মাঝি, নৌকা, দাঁড়, গুন বিষয়ে৷ নদীতে কারও সাথে যোগাযোগে লম্বা টান দিয়ে দিয়ে কথা বলতে হয়৷ এই গানেও তাই এ ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷ ‘মন মাঝি তোর বৈঠা নেরে’ একটি বিখ্যাত ভাটিয়ালী গান৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
ভাওয়াইয়া
উত্তরবঙ্গের লোকগীতি ভাওয়াইয়া৷ উত্তরবঙ্গে নদী-নালা অন্য অঞ্চলের তুলনায় কম থাকায় যাতায়াতের মূল বাহন ছিল গরুর গাড়ি৷ দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তি কাটাতে গাড়োয়ানদের ভরসা ছিল বিশেষ ঢংয়ের এই গান৷ উঁচু-নিচু কাঁচা রাস্তায় চলার সময় গাড়িয়ালের গলায় যে ভাঁজ পড়তো, তা এখন এই গানের অবিচ্ছেদ্য অংশ৷ ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে’, ‘ওকি গাড়িয়াল ভাই ইত্যাদি এই ধারার বিখ্যাত গান৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
বাউল গান
ধারণা করা হয়, সতেরো শতকে বাউল সম্প্রদায়ের সাথেই বাউল গানের জন্ম৷ কিন্তু এই ধারা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে লালন সাঁইয়ের মাধ্যমে, উনিশ শতক থেকে৷ ধারণা করা হয়, লালন প্রায় দু'হাজারের মতcf গান রচনা করেছিলেন৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও বাউল গান দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
গম্ভীরা
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে, বিশেষকরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গম্ভীরার প্রচলন রয়েছে৷ ধারণা করা হয় যে, গম্ভীরার প্রচলন হয়েছে শিবপূজাকে কেন্দ্র করে৷ তবে পরবর্তীতে গম্ভীরা সর্বস্তরের মানুষের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে৷ এখন এই গানে সামাজিক নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে সমাধানও দেওয়া হয়৷ গম্ভীরার মুখ্য চরিত্র হিসেবে নানা-নাতি খুবই জনপ্রিয়৷ আঞ্চলিক ভাষায় নানা ও নাতির সংলাপ ও গানের মধ্য দিয়ে এই গান পরিবেশন করা হয়৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
যাত্রাপালা
যাত্রা এক ধরনের লোকনাট্য ধারা৷ সাধারণত নানা ধরনের ইতিহাসধর্মী গল্পের আশ্রয় নিয়ে দীর্ঘ এই নাটক উপস্থাপন করা হয় দর্শকদের সামনে৷ তবে উপস্থাপনা, মঞ্চসজ্জা, আলোকসজ্জা, সংলাপ, সবকিছু মিলিয়ে মঞ্চনাটকের চেয়ে একেবারেই আলাদা যাত্রাপালা৷ যাত্রা পালার বিবেকের গান, বা অন্যান্য গানও উপস্থাপনভঙ্গী এবং সুর-কথা মিলিয়ে বাংলা সংস্কৃতিতে করে নিয়েছে আলাদা স্থান৷