1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বন্যা রুখতে ম্যানগ্রোভ অরণ্য

ফিলিপ বার্থ/এসি১৯ মে ২০১৬

রিও-র মতো মহানগরীর উপকণ্ঠে বন্যা রোখার একমাত্র পন্থা কী? ঠিক আমাদের সুন্দরবনে যা, সেই ম্যানগ্রোভ অরণ্য৷ রিও-র ডুকে ডি কাসিয়াস এলাকায় গেলেই সেটা বোঝা যায়৷ ডেলি প্যাসেঞ্জাররা ট্রেনে করে রিও যাচ্ছেন আর জেলেরা ধরছেন কাঁকড়া৷

ছবি: Reuters/J. Adorno/Files

প্রায় কোনো বাড়ি আর খাড়া নেই! বন্যার পরদিন ধ্বংসের চেহারাটা ফুটে উঠেছিল৷ তিন বছর আগে রিও-র উপকণ্ঠে ডুকে ডি কাসিয়াস এলাকার ২৭০টি বাড়ি বন্যার জলে ভেসে যায়৷ মারা গিয়েছিলেন দু'জন; আহত হয়েছিলেন ৬০ জন – এক রাতের দুর্যোগে৷

রেজিনিয়া গনসালভেস-এর চোখের সামনে আজও সে ছবি ভেসে ওঠে৷ তিনি ও তাঁর পরিবারের মানুষজন কোনোমতে প্রাণ বাঁচাতে পেরেছিলেন – কিন্তু বাকি সবই হারাতে হয়েছিল৷ রেজিনিয়ার কথায়, ‘‘আমাদের সেই পুরনো বাড়ি৷ পানি ঢুকেছিল এই জানলা দিয়ে৷ দুম করে ধাক্কা লাগার মতো একটা আওয়াজ শুনে আমরা বাইরে বেরিয়ে দেখি, বন্যার জল সব কিছু ধুয়েমুছে নিয়ে গেছে৷ দৌড় দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার সময় থাকেনি৷''

রিও-কে বন্যা থেকে বাঁচাবে ম্যানগ্রোভ অরণ্য

03:33

This browser does not support the video element.

বাড়িগুলো নদীর বড় কাছে তৈরি করা হয়েছিল – যদিও এখানে প্রায়ই বড়গোছের জলঝড় হয়৷ স্থপতি মার্সিও ভিয়েইরা-র কাছে এটা ভুল প্ল্যানিং-এর ফলশ্রুতি ছাড়া আর কিছু নয়৷

নগর বিকাশ কর্তৃপক্ষের প্রধান মার্সিও আমাদের ডুকে ডি কাসিয়াস শহরের কেন্দ্রে নিয়ে গেলেন৷ ডুকে ডি কাসিয়াস আসলে রিও ডি জানেরোর একটা শহরতলি – আজ এখানে বহু মানুষের বাস, প্রায় দশ লাখ, তাদের অধিকাংশই কর্মসূত্রে রিও অভিমুখে ‘ডেইলি প্যাসেঞ্জারি' করেন৷ বিগত কয়েক দশকে ডুকে ডি ক্যাসিয়াসের আকার বেড়েছে যেন চক্রবৃদ্ধি হারে৷

মার্সিও ভিয়েইরা-র কথায়, ‘‘পরিকল্পনা না থাকার ফলে আগে শহরটা বড় ঘিঞ্জি করে তৈরি হয়েছিল৷ কোনো খালি জায়গা রাখার ব্যবস্থা করা হয়নি৷ বাড়ির পর বাড়ি তৈরি করে সব কিছু ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷''

তিন বছর আগের সেই বন্যা বিপর্যয় মানুষকে অন্যভাবে ভাবতে বাধ্য করেছে৷ মার্সিও ভিয়েইরা শহরের উপকণ্ঠে ম্যানগ্রোভ অরণ্যে ঘেরা অংশটির কথা বললেন৷ শহর আর তার বাসিন্দাদের জন্য প্রকৃতির ব্যবহারিক গুরুত্ব এই প্রথম প্রমাণিত হয়েছে, বললেন ভিয়েইরা৷ যে জরিপের উপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্ত, তার অর্থ জুগিয়েছে জার্মান আন্তর্জাতিক জলবায়ু সুরক্ষা উদ্যোগ৷

মার্সিও ভিয়েইরা জানান, ‘‘এই জরিপের পর বোঝানো সহজ হয়েছে, কেন কোনো বড় আকারের নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করা সম্ভব নয়৷ প্রকৃতি ও পরিবেশ অগ্রাধিকার পেয়েছে৷ প্রশাসনের সব স্তরই এতে সংশ্লিষ্ট৷ এর ফলে আমরা হাতে এমন একটা অস্ত্র পেয়েছি, যা নগর বিকাশের সংজ্ঞাই পাল্টে দিয়েছে৷''

কাজেই নতুন নগর পরিকল্পনায় ম্যানগ্রোভ অরণ্যকে সুরক্ষিত বলে নির্দেশ করা হয়েছে৷ এই ম্যানগ্রোভ অরণ্য শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে – নগরের পক্ষে একটি সুরক্ষা প্রাকারের মতো৷ ভিয়েইরা-র কথায়, ‘‘প্রকৃতি সত্যিই এখানে মুগ্ধ করার তো৷ বিশেষ করে এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যে৷ এই অরণ্য যেন শক্তিতে ভরপুর৷''

ভাঁটা এলে সেটা চোখে পড়ে৷ তখন পাঁকে যারা থাকে, তাদের নড়াচড়া শুরু হয়৷ আসলে এই কাঁকড়াদের কল্যাণে ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বহু জেলে পরিবার খেয়ে-পরে বাঁচে – যদিও কাঁকড়া নাকি কমে আসছে৷ হ্যাঁ, এমনটাই শোনা যাচ্ছে জেলেদের কাছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ