1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বন-এর আফগানিস্তান সম্মেলন বর্জন করছে পাকিস্তান

২৯ নভেম্বর ২০১১

আন্তর্জাতিক আফগানিস্তান সম্মেলন শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে ছাড়াই হবে৷ সপ্তাহান্তে ন্যাটোর বিমান হামলায় ২৪ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হবার প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদের মন্ত্রিসভা মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তই নিল৷

Afghanistan's President Hamid Karzai, left, shakes hands with Pakistani Prime Minister Yousuf Raza Gilani at the prime minister's residence in Islamabad, Pakistan on Thursday, March 11, 2010. Karzai said Pakistan has an "important" role to play in peace talks with the Taliban. (AP Photo/B.K.Bangash)
আফগানিস্তান সম্মেলন বর্জন করছে পাকিস্তান – ক্ষতি কার?ছবি: AP
সপ্তাহান্তে ন্যাটোর বিমান হামলায় প্রাণ হারায় ২৪জন পাকিস্তানি সেনাছবি: picture-alliance/dpa

২০১৪ সালে ন্যাটোর সৈন্যদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে আনার কথা৷ তার পর ঐ দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে এই সম্মেলন হবে ৫ই ডিসেম্বর৷ এবং এতে পাকিস্তানের অংশগ্রহণকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছিল৷ কিন্তু ক্যাবিনেটের এক জরুরি বৈঠকে সম্মেলনে যোগ না দেয়ারই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো৷ প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির দপ্তর থেকে বলা হয়, উপজাতীয় এলাকা মোহমান্দে শনিবারের হামলার মতো একপেশে অ্যাকশন' গ্রহণযোগ্য নয়৷

ন্যাটোর এই বিমান হামলা মার্কিন-পাকিস্তান সম্পর্কে বেশ বড় রকমের চিড় ধরিয়েছে বলেই মনে হয়৷ ইসলামাবাদ সরকার এই হামলার কঠোর নিন্দা করেছে এবং ন্যাটো আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সহযোগিতার বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা ঘোষণা করেছে৷ আফগানিস্তানে ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন আইসাফ সেনাদের জন্য পাকিস্তান থেকে গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ এই হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে প্রচণ্ড৷ পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর ‘‘বিজনেস অ্যাজ ইউজুয়াল'' নয়৷ ইসলামাবাদ শুধু আফগান সীমান্ত বন্ধ করেই ক্ষান্ত হয়নি, অ্যামেরিকানদের নাকি একটি বিমান ঘাঁটি থেকে সরে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে৷ তাছাড়া অ্যামেরিকার সঙ্গে তার জোট-সহযোগিতার পর্যালোচনা করার কথাও জানিয়েছে পাকিস্তান৷

স্বাগতিক দেশ জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল আফগানিস্তান সম্মেলনে পাকিস্তানের যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্তে দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷ আজ মঙ্গলবার বার্লিনে জর্ডানের সফররত বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ'র সঙ্গে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, জার্মানি এবং পাকিস্তান উভয়েই আফগানিস্তানের গঠনমূলক অগ্রগতিতে আগ্রহী৷ আর তাই জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহৃত এই সম্মেলনটি গুরুত্বপূর্ণ৷ প্রায় শতাধিক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এতে যোগ দেবেন৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল অবশ্য এখনও এই মর্মে আশাবাদী যে সম্মেলনে যোগ দেয়ার ব্যাপারে পাকিস্তানকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাজি করানো যাবে৷ কাবুলে ন্যাটোর একজন মুখপাত্রও আশা করছেন যে ইসলামাবাদ তার এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে হামলার ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে৷ তদন্ত পরিচালনা করবেন মার্কিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল স্টিফেন ক্লার্ক৷ ২৩ শে ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁকে রিপোর্ট দিতে হবে৷

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কার্নে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শনিবারের ঘটনাকে একটা ‘‘ট্র্যাজেডি'' বলেই মনে করেন৷ এবং ওয়াশিংটন পাকিস্তানের সঙ্গে ‘‘গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার সম্পর্ক''কে মূল্য দেয়৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ