বন শহরে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন
২৯ মার্চ ২০০৯আগামী ডিসেম্বরে কোপেনহেগেন-এ শুরু হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক পরিকাঠামোগত সম্মেলন বা ইউএনএফসিসিসি৷ কিন্তু সেখান থেকে আদৌ কোন ফল আসবে কিনা - তা বোঝা যাবে তার আগের তিনটি প্রস্তুতিমূলক সম্মেলনের মাধ্যমে৷ আর তারই প্রথম আয়োজন শুরু হয়েছে বন শহরে৷ ১০দিন ব্যাপী এই সম্মেলনে, ১৮০টি দেশের প্রায় দুই হাজার প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন৷
কিয়োটো প্রটোকল অনুযায়ী বিভিন্ন দেশকে আগামী ২০১২ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন একটি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে৷ কিন্তু এরপর কি হবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি৷ কোপেনহেগেন অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে সে বিষয়টির যাতে ফয়সালা হয়, তারই তোড়জোড় চলছে প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে৷ কিন্তু এর জন্য সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন৷
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ কিয়োটো প্রটোকলে স্বাক্ষর করেননি৷ তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সক্রিয় সহযোগিতা করার ব্যাপারে বেশ ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ বন সম্মেলনেও আগতদের সকলের নজর তাই মার্কিন প্রতিনিধিরা কি বলেন সেটার দিক৷ মার্কিন প্রতিনিধি দলের প্রধান টড স্টার্ন ইতিমধ্যেই সকলকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, যে জাতিসংঘের আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তরিকভাবেই অংশ নেবে৷ সম্মেলন শুরুর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো ইঙ্গিত দিয়েছেন, যে যুক্তরাষ্ট্র পরিবেশ রক্ষার জন্য তার ক্ষমতা ব্যবহার করবে৷ এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তন রোধের জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধি দলের প্রধান স্টার্ন৷ এর আগে ইউএনএফসিসিসি-এর নির্বাহি সচিব ভো দে ব্যোয়ে আশা প্রকাশ করে বলেন, যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন পথে এগুবে সে বিষয়টি টড স্টার্ন এখানে ঠিক করে যাবেন৷
উল্লেখ্য, ইউরোপ সহ অনেক শিল্পোন্নত দেশ কার্বন নির্গমন কমাতে রাজি হলেও চীন, ভারত, ব্রাজিলের মত উন্নয়নশীল দেশগুলো এ ব্যাপারে সবসময় গড়িমসি করছে৷ তাই উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি এসব দেশগুলোকেও একটি ঐকমত্যে নিয়ে আসার বিষয়টি সবচেয়ে বড় চ্যলেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে৷
প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: দেবারতি গুহ