1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বর্ণবাদীদের জবাব ইংল্যান্ডের ফুটবলার রাশফোর্ডের

১৪ জুলাই ২০২১

ইউরো ফাইনালে হারের পর ইংল্যান্ডের কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলাররা বর্ণবাদী মন্তব্যের শিকার। তার জবাব দিলেন রাশফোর্ড।

রাশফোর্ডের ম্যুরালে বর্ণবাদী মন্তব্য ঢেকে দিয়েছেন স্থানীয় মানুষরা।ছবি: Martin Rickett/PA Wire/empics/picture alliance

ইউরো কাপের ফাইনালে হারের পরে ইংল্যান্ডের সামাজিক মাধ্যমে যেন বর্ণবাদের জোয়ার এসেছে। কারণ, টাইব্রেকারে যে তিনজন গোল করতে পারেননি, তারা কৃষ্ণাঙ্গ। রাশফোর্ড, স্যাঞ্চো ও সাকা। তাদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী মন্তব্যে ভরে গেছে সামাজিক মাধ্যম। তার নিজের শহরে রাশফোর্ডের একটা বিশাল ম্যুরাল আছে। সেখানেও বর্ণবাদী মন্তব্য করা হয়েছে।

তবে এই বর্ণবাদী মন্তব্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন মার্কাস রাশফোর্ড। তিনিও সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন, ''আমার পারফরমেন্স নিয়ে সমালোচনা হোক, আমি পেনাল্টি ভাল করে মারতে পারিনি, আমার গোল করা উচিত ছিল। সেই সমালোচনা আমি মেনে নিতে পারি। কিন্তু আমি কে, কোথা থেকে এসেছি, তার জন্য কিছুতেই ক্ষমা চাইব না।''

তিনি লিখেছেন, ''আমি মার্কাস রাশফোর্ড, বয়স ২৩ বছর, কৃষ্ণাঙ্গ, দক্ষিণ ম্যানচেস্টারের উইদেনশ-র উইদিংটনের বাসিন্দা। আমার যদি আর কিছু না থাকে, আমার অন্তত এই টুকু আছে।'' বর্ণবাদী মন্তব্য যে তাকে কতটা ক্ষতবিক্ষত করেছে, এই প্রতিক্রিয়া থেকে তা স্পষ্ট।

রাশফোর্ডের ম্যুরাল, যেখানে বর্ণবাদীি মন্তব্য লেখা হয়েছিল। ছবি: Peter Byrne/empics/picture alliance

রাশফোর্ড পেনাল্টি মিস করার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ''আমি বরাবরই পেনাল্টি নেয়ার সময় আত্মবিশ্বাসী থাকি। কিন্তু ফাইনালে আমার সেই আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল। জানি, আমি দেশকে হতাশ করেছি। নিজের অনুভূতি প্রকাশের কোনো ভাষা আমার নেই। আমি কেবলমাত্র ক্ষমা চাইতে পারি।''

প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে না পারার জন্য ক্ষমা চাইলেও বর্ণবাদ নিয়ে কোনোরকম আপস করতে রাজি নন তিনি। রাশফোর্ড বলেছেন, উইদিংটনের প্রতিক্রিয়া দেখে আমার চোখে জল চলে এসেছে। এখানেই নিজের ম্যুরাল বিকৃত করার কথা বলেছেন তিনি। তবে বর্ণবাদীরা এই কাজ করলেও স্থানীয় মানুষের একাংশ যত্ন করে সেই কদর্যতা ঢেকে দিয়েছেন প্ল্যাকার্ড আর ভালোবাসার চিহ্ন দিয়ে।

ইউরো ফাইনালের পর রাশফোর্ড। ছবি: John Sibley/REUTERS

ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের প্রতিক্রিয়া

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ''সামাজিক মাধ্যমে বর্ণবাদী মন্তব্য নয়, ইংল্যান্ড টিমের প্লেয়ারদের বীরের মর্যাদা দেয়া উচিত। যারা এই বর্ণবাদী মন্তব্য করছেন, তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত।'' স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেল বলেছেন, তিনি এই বর্ণবাদী মন্তব্যে বীতশ্রদ্ধ। ব্রিটেনে বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই। 

কিন্তু টুইটারেই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, রাজনীতিবিদদের এই মন্তব্য কি যথেষ্ট?  ইংল্যান্ডের প্লেয়াররা হাঁটু মুড়ে বর্ণবাদ বিরোধী প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তখনো সমর্থকদের একাংশ তাদের বিদ্রুপ করেছিল। কেন সমর্থকদের এই আচরণের নিন্দা করছেন না রাজনীতিবিদরা? 

জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ