বর্ণবাদ বিরোধী সম্মেলনে ঘোষণাপত্র গৃহীত
২২ এপ্রিল ২০০৯ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ এর ভাষণের প্রতিবাদে অনেক প্রতিনিধি সম্মেলন স্থল ছেড়ে চলে যান সোমবার৷ মঙ্গলবার সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট আমোস ওয়াকো প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ঘোষণাটি গ্রহণ করতে আপনারা বিরাট এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ তিনি একে ঐতিহাসিক ফলাফল বলে অভিহিত করেন৷ প্রতিনিধিরা বলেন, আহমাদিনেজাদের ভাষণ প্রতিনিধিদের উৎসাহ যুগিয়েছে যত শীঘ্র সম্ভব ঘোষণা গ্রহণে৷ তাই মঙ্গলবারেই ঘোষণাটি গৃহীত হল আগামী শুক্রবারের পরিবর্তে৷
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমমাদিনেজাদ যিনি আগে ইসরায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার আহ্বান জানিয়েছিলেন, সোমবার জেনেভায় ১৯৪৮ সালে অধিকৃত প্যালেস্টাইনে সম্পূর্ণ বর্ণবৈষম্যবাদী একটি সরকার প্রতিষ্ঠার সমালোচনা করেন৷ তিনি ইসরায়েলী সরকারকে নিষ্ঠুরতম ও অত্যাচারী বর্ণবাদী সরকার বলে অভিহিত করেন৷ তাঁর ভাষণের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৩ জন প্রতিনিধি সম্মেলন ত্যাগ করেন এবং পশ্চিমের অনেক দেশ এর নিন্দা জানায়৷
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত পেটার গুডারহ্যাম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, সোমবারের কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা, অসহিষ্ণুতা ও উত্তেজনা আমাদের দৃঢ় সংকল্প ও ঐকমত্যকে ধ্বংস করতে পারে না৷ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান নাভি পিল্লাই বলেন, সম্মেলনে চূড়ান্ত ঘোষণাটির গ্রহণ হল ইরানী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের ইসরায়েল বিরোধী বক্তব্যের উচিৎ জবাব৷ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ১৯২টি দেশের মধ্যে মাত্র নটি দেশ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর দেয়নি৷ তাই তিনি একে অভিহিত করেন সফল হিসেবে৷ ফরাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যার্নার্ড কুশনার বলেন, টেক্সটির দ্রুত অনুমোদন হচ্ছে ইরানি প্রেসিডেন্টের পরাজয়৷
নির্ধারিত সময়ের আগেই টেক্সটির অনুমোদন অসুবিধার সম্মুখীন সম্মেলনটিকে সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে৷ সম্মেলনের মূল বিষয় যেমন দারিদ্য ও বৈষম্য নিয়ে প্রতিনিধিরা এখন আলাপ আলোচনা করতে পারবেন৷ উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে জেনেভায় প্রস্তুতিমূলক আলোচনায় প্রতিনিধিরা টেক্সটি নিয়ে ব্যাপক মতবিনিময় করেন৷
প্রতিবেদক: আবদুস সাত্তার, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারুক