অনন্ত বিজয় দাস হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে যুক্তরাজ্যে৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও জানাচ্ছে নিন্দা এবং দ্রুত বিচারের দাবি৷ টুইটারের অনেকভাবেই এসেছে সিলেটে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার দাসের নাম৷
বিজ্ঞাপন
সিলেটে দিনের আলোয় কুপিয়ে হত্যা করা হয় অনন্ত বিজয় দাসকে৷ অনন্ত ব্যাংকে চাকরি করতেন, পাশাপাশি মুক্তমনা ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ব্লগে লিখতেন৷ লেখার জন্য পুরস্কৃতও হয়েছেন ৩২ বছর বয়সি অনন্ত৷ অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে অভিজিৎ রায় এবং ওয়াশিকুর রহনের পর আরেক ব্লগারের হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও শঙ্কিত এবং প্রতিবাদমুখর৷
কিন্তু বাংলাদেশে এ পর্যন্ত একজন ব্লগার হত্যারও বিচার হয়নি৷ কোনো হত্যার বিচার প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি নেই৷ ব্লগাররা তাই শঙ্কিত৷ আরাফাতুল ইসলাম লিখেছেন, বাংলাদেশ আর ব্লগারদের জন্য নিরাপদ নয়৷
এদিকে বাংলাদেশের একটি ইংরেজি দৈনিক লিখেছিল, মৃত্যুর আগে অনন্ত বিজয় দাস সুইডেনে চলে যেতে চেয়েছিলেন৷ এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের সুইডিশ দূতাবাস৷ সে খবরও ছেপেছে পত্রিকাটি৷
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, বিচারের দাবি
বইমেলা থেকে ২৬শে ফেব্রুয়ারি রাতে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন ব্লগার অভিজিৎ রায়৷ মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিতকে হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়৷
ছবি: DW
যেখানে হামলার শিকার অভিজিৎ, বন্যা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকার ফুটপাথ৷ লেখক, ব্লগার অভিজিৎ রায়ের নিহত হবার এই জায়গাটা নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে রেখেছে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷ হামলায় তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও গুরুতর আহত হন৷
ছবি: DW
বেঁচে গেছেন বন্যা
হামলার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা৷ দুষ্কৃতিকারীরা তাঁকে কুপিয়ে জখম করলেও প্রাণে বেঁচে যান অ্যামেরিকায় বসবাসকারী এই ব্লগার৷ বর্তমানে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি৷
ছবি: DW
নির্বাক অজয় রায়
ছেলের মৃত্যুর খবরে নির্বাক নিহত অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায়৷ আজয় রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন৷