গতবারের মতো এবারও যাতে নারীরা যৌন আক্রমণ বা চুরির শিকার না হন, সেজন্য বর্ষবরণের রাতে দেড় হাজার পুলিশ মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে কোলন কর্তৃপক্ষ৷ একরাতের জন্য এত পুলিশ মোতায়েনের ঘটনা জার্মানিতে দুর্লভ৷
বিজ্ঞাপন
গতবছর বর্ষবরণের রাতে কোলন, ড্যুসেলডর্ফ, হামবুর্গ, ফ্রাংকফুর্ট এবং স্টুটগার্টে অনেক নারী যৌন নিগ্রহের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন৷ শুধু যৌন আক্রমণই নয়, অনেকের মোবাইল, পার্স এবং ব্যাগ ছিনতাইয়েরও ঘটনা ঘটে সেই রাতে৷ আর এ সব ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছিল কোলনে৷
জার্মানির কেন্দ্রীয় ক্রিমিনাল পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কোলনে বর্ষবরণের রাতে এবং পরবর্তী কয়েকদিনে বারোশ'র মতো অভিযোগ জানান নারীরা, যেগুলোর মধ্যে পাঁচশ'টি ছিল যৌন আক্রমণ বিষয়ক৷ কোলন ক্যাথিড্রাল এবং তৎসংলগ্ন কেন্দ্রীয় ট্রেন স্টেশনে এসব ঘটনা ঘটে৷
কোলনকে ভালোবাসার দশ কারণ
শিল্প, সংস্কৃতি এবং কার্নেভাল – তবে এ সবের বাইরেও আরো অনেক ব্যাপার আছে কোলনে৷ আছে দু’হাজার বছরেরও পুরোনো, ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসা সব ভবন৷ আছে বাণিজ্য মেলা, নাইট লাইফ....কিছুরই যেন কমতি নেই এ শহরে৷
ছবি: Dieter Jacobi/KölnTourismus GmbH
কোলন ক্যাথিড্রাল – সত্যিকার অর্থেই এক বিশাল ল্যান্ডমার্ক
পর্যটকদের কাছে জার্মানির অন্যতম সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য হচ্ছে কোলন ক্যাথিড্রাল৷ প্রতিদিন ২০ হাজারের মতো মানুষ এই গির্জা দেখতে যান৷ সাত’শ বছরের বেশি পুরনো কোলন ডোম তৈরিতেও প্রায় একইরকম সময় লেগেছে৷ ১৯৯৬ সালে এটিকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে৷
ছবি: Udo Haake/KölnTourismus GmbH
ওল্ড টাউন সেন্টার – একটি আধুনিক ঐতিহাসিক জায়গা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল কোলনের ওল্ড টাউন সেন্টার৷ পরবর্তীতে গতশতকের ষাটের দশকে অনেক ভবনের সামনের অংশ ব্যবহারের উপযোগী করে সংস্কার করা হয়৷ বর্তমানে সেখানে অনেক আরামদায়ক ক্যাফে, রেস্তোরাঁ আর পানশালা রয়েছে৷
ছবি: Jens Korte/KölnTourismus GmbH
ঐতিহ্যবাহী ক্যোলশ বিয়ারের উৎপত্তি যেখানে
যেখানে তৈরি সেখানেই সেটির স্বাদ নেয়ার সুযোগ নিতে চাইলে কোলনে গিয়ে ক্যোলশ বিয়ার পান করতে হবে৷ শূণ্য দশমিক দুই লিটারের সরু গ্লাসে করে এই বিয়ার পরিবেশন করা হয়৷
ছবি: Privatbrauerei Gaffel
প্রাচীন থেকে বর্তমান সময়ের মিউজিয়াম
শিল্প এবং সংস্কৃতি প্রেমীদের জন্য এক আদর্শ স্থান কোলন৷ সেখানে অসংখ্য মিউজিয়ামে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন ইভেন্ট চলতে থাকে৷ রোমান সময় থেকে নতুন প্রযুক্তি এমনকি চকলেট – সব ধরনের মিউজিয়ামই পাবেন কোলনে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
চার্চ – অতীতের মহিমার সাক্ষী
মধ্যযুগে কোলন ছিল জার্মান ভাষী বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর এবং গির্জাসম্পর্কিত এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র৷ এখনো অনেক গির্জা সেই সময়ের চিহ্ন বহন করে চলেছে৷
ছবি: Jens Korte/KölnTourismus GmbH
রাইনপার্ক – একটি বড় খেলার মাঠ
ক্যাথিড্রালের অপর পাশে রাইনের তীরে ৪০ হেক্টর জমির উপর রাইনপার্ক অবস্থিত৷ ১৯১২ সালে তৈরি পার্কটিকে ২০০৭ সালে জার্মানির সেরা পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে৷ পার্কটিতে ফুটবল খেলার, এবং বার্বিকিউর ব্যবস্থা রয়েছে৷ আর কোলনের চিড়িয়াখানা থেকে ক্যাবল কারে রাইন পার হয়ে পার্কে যাওয়া যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
কার্নিভাল – কোলনের পঞ্চম মৌসুম
প্রতিবছরের একটি সপ্তাহ কোলন এক অসাধারণ স্থানে পরিণত হয়৷ বলছি কোলন কার্নিভালের কথা৷ গোটা বিশ্বে কোলন ডোম আর কার্নিভালের জন্য কোলন বিশেষভাবে পরিচিত৷ কার্নিভালের সময় সেখানে গেলে যে শব্দটি মনে রাখতে হবে, তা হচ্ছে ‘আলাফ’৷ কার্নিভালের শুভেচ্ছা জানাতে শব্দটি ব্যবহার করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gambarini
বাণিজ্যমেলা – গেমসকম থেকে আর্ট কোলন
বাণিজ্য মেলার শহর হিসেবেও কোলনের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে৷ বিশ্বের অন্যতম বড় ভিডিও গেমের মেলা ‘গেমসকম’ এই শহরেই আয়োজন করা হয়৷ পাশাপাশি, শিল্প মেলা আর পোশাক খাতের মেলা তো আছেই৷
ছবি: Koelnmesse GmbH
উদারমনা এবং স্বাগতপূর্ণ
মেট্রোপলিটন এবং টলারেন্ট – কোলনের ভিত্তি এই দু’টোর উপর৷ শহরটিতে সমকামীদের শক্ত অবস্থান রয়েছে৷ প্রতিবছর সমকামী এবং হিজড়াদের অধিকার নিয়ে বছরে দুই সপ্তাহের ‘কোলনপ্রাইড’ আয়োজন করা হয় কোলনে৷ আয়োজন করা হয় তিন দিনব্যাপী ‘ক্রিস্টোফার স্ট্রিট ডে’-রও৷
ছবি: picture alliance/R. Goldmann
রাইন – বাণিজ্য রুট এবং চিত্তবিনোদনের জায়গা
জার্মানির সবচেয়ে দীর্ঘ নদী রাইনের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য এক চমৎকার স্থান কোলন৷ আর কোলনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে নৌভ্রমণ করতে পারেন রাইনে৷ নদী থেকে শহরটি দেখতে অসাধারণ মনে হয়৷
ছবি: Dieter Jacobi/KölnTourismus GmbH
10 ছবি1 | 10
কোলনে একসঙ্গে অনেক নারীর যৌন আক্রমণের শিকার হওয়ার এই ঘটনা বিশ্ব গণমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল৷ এবার আর সেরকম কোনো পরিস্থিত চাইছে না শহর কর্তৃপক্ষ৷ তাই বর্ষবরণের রাতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং আনন্দের সাথে নতুন বছর শুরুর ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ৷ আর সেই উদ্যোগের একটি হচ্ছে পুলিশের উপস্থিতি দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি করা৷
কোলনের পুলিশ প্রধান ইয়ুর্গেন মাটিয়াস জানিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বর মোতায়েন দেড়হাজার পুলিশ সদস্যের শরীরে ‘রিফ্লিক্টিভ ভেস্ট' থাকবে যাতে তাদের উপস্থিতি পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘গতবছর যা ঘটেছিল তা যেন আর কখনো ঘটতে না পারে৷''
প্রসঙ্গত, গতবছর বর্ষবরণের রাতে কোলনে ১৪০ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেছিলেন৷ এব ছর সেই সংখ্যা দশগুণ বেড়ে গেছে৷ শুধু তাই নয়, কোলন ক্যাথিড্রালের কিছু অংশ সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে সেখানে কোনোরকম আতশবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি প্রয়োজনে ব্যাগ পরীক্ষা করার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে৷ এছাড়া মধ্যরাতের পর রাইন নদীর উপরের সেতুগুলোও কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হতে পারে৷
পাশাপাশি কোলন ট্রেনস্টেশনের আশেপাশের অন্ধকারাচ্ছন্ন স্থানগুলোতে বাড়তি আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এমনকি, একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ‘লাইট আর্টিস্ট'-কে দিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থাপনাগুলোর উপর শৈল্পিকভাবে আলো ফেলার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে৷
জার্মানিতে অন্যান্য দেশের মতো বাড়ছে প্রবীণদের সংখ্যা৷তাঁরা কেন দীর্ঘজীবী হন, তাদের জীবনযাত্রা, তাঁদের জীবনের সফলতা আসার নানা গল্প জানিয়েছেন কোলনে একটি অভিজাত এলাকায় বসবাসকারী ইতিবাচক চিন্তার কয়েকজন প্রবীণ৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
স্বাস্থ্য সচেতন ও ইতিবাচক চিন্তার মানুষ
প্রতিদিনের নাস্তায় অবশ্যই থাকে তাজা ফলের রস, রুটি, কফি ইত্যাদি৷ জো প্রতিদিন বাজারে যায়, লক্ষ্য তাজা ফল, সালাদ কেনা ছাড়াও বাড়ির বাইরে বের হওয়া এবং আশেপাশের লোকজনের খোঁজখবর রাখা৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
রিটা এবং জো
আসল নাম মার্গারিটা৷ তবে আদর করে সবাই তাঁকে ডাকে রিটা নামে৷ আর তাঁর স্বামী ইউসেফকে ডাকে জো৷ এই দম্পতি অবসর জীবনেও থাকেন হাসিখুশি আর নানা কাজ নিয়ে ব্যস্ত৷ তরুণ বয়সে ইংল্যান্ড, অ্যামেরিকা, অস্ট্রেলিয়াতে বেশ কয়েক বছর কাটিয়েছেন৷ কোলন শহরের নামি দামি এলাকায় বহু বছর ছিল তাঁদের গহনার দোকান৷ আজকের এই অবস্থানে আসতে দু’জনে মিলে প্রচুর খেটেছেন৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
হ্যাপি আওয়ার
জো এর বয়স ৮০৷ নিজ হাতে তৈরি করা বাড়ির সামনের সাজানো বাগানে গরমকালে প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত বসেন৷ আর অপেক্ষায় থাকেন তাদেরই মতো আরো কয়েকজনের জন্য৷ এঁরা মনে করেন, শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য শুধু ভালো খাবার আর নিয়মিত চেকআপই যথেষ্ট নয়, চাই ভালো বন্ধুবান্ধব আর হাসিতামাশা৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
মিলে মিশে থাকা
এই এলাকার প্রায় ৫০টি বাংলো বাড়ির কয়েকটি ছাড়া বাকিগুলোর মালিক কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন৷ অর্থাৎ তাদের বয়স ৬৫’র ওপর৷ এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নিয়মিত এই আড্ডায় যোগ দেন, করেন খানিকটা মদ্যপান৷ এই অবসরপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকোশলী ও চাকরিজীবীদের আলোচনার বিষয় পারিবারিক সুখ-দুঃখ থেকে বিশ্বের চলমান রাজনীতি পর্যন্ত৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
রিটার দিন শুরু
দেখে বোঝার কোনো উপায়ই নেই যে তাঁর বয়স ৭৫৷ সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়ামের মধ্য দিয়ে তাঁর দিনের শুরু৷ সবসময়ই ফিটফাট থাকেন৷ কি করে সম্ভব জানতে চাইলে বলেন, পুরনো অভ্যাস৷ একসময় তিনি নিজেদের ব্যবসা, দুটো সন্তান মানুষ করা এবং সংসারের সমস্ত কাজসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানেও অংশ নিতেন৷ এই দম্পতির মতে জীবনে ‘ডিসিপ্লিন’ খুব বড় ব্যাপার৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
সকালের নাস্তা
প্রতিদিনের নাস্তায় অবশ্যই থাকে তাজা ফলের রস, রুটি, কফি ইত্যাদি৷ জো প্রতিদিন বাজারে যায়, লক্ষ্য তাজা ফল, সালাদ কেনা ছাড়াও বাড়ির বাইরে বের হওয়া এবং আশেপাশের লোকজনের খোঁজখবর রাখা৷ কোন প্রতিবেশীর কি দরকার, কে ছুটিতে গেছে বা কোনো নতুন প্রতিবেশী এসেছে কিনা সব খবরই থাকে জো’র কাছে – যার দিনের অনেকটা সময় কাটে বাগান করে৷ আর হ্যাঁ, সপ্তাহে দু’দিন নিয়ম করে স্ত্রীর জন্য ফুল কিনতে ভুল হয়না তাঁর৷
ছবি: Fotolia/kab-vision
হাসিখুশি মারিয়ানা
পেশায় ছিলেন স্কুল শিক্ষক৷ স্বামী মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে৷ নিজের গাছের যত্ন ছাড়াও প্রতিবেশীদেরও প্রয়োজনে নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷ শীতকালে এই প্রবীণ গ্রুপের ‘হ্যাপি আওয়ার’ আড্ডা বন্ধ থাকে বলে তখন বাইরে কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া, কোনো থিয়েটার বা কনসার্টে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন মারিয়ানা৷ উদ্দেশ্য একসাথে আনন্দ করা৷ তাঁর মতে সুস্থ থাকতে চাইলে ভাবের আদান-প্রদান খুবই জরুরি৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
চাই মুক্ত বাতাস আর হাঁটাহাঁটি
শরীর ঠিক রাখতে হাঁটাহাঁটি আর ফুসফুস ঠিক রাখতে মুক্ত বাতাস সেবন করেন প্রবীণরা৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানদের আজকের এই অবস্থানে আসতে কত কষ্ট করতে হয়েছে তাঁরা তা খুব ভালোভাবেই জানেন৷ তাঁদের অনেকেরই তখন ঠিকমতো খাবার বা থাকার জায়গা ছিল না৷ অথচ এসব কথা এই প্রজন্মের জার্মানরা বুঝতে বা জানতে চায়না – একথা মাঝেমধ্যেই দুঃখ করে বলেন প্রবীণরা৷
ছবি: Fotolia/Fotowerk
বয়স কোনো বাধা নয়
এঁদের বয়স ৬৫ থেকে ৮৩ পর্যন্ত৷ সবাই নিজে গাড়ি চালান এবং পছন্দ করেন চালাতে৷ প্রায় সবাই কম্পিউটার চালাতে অভ্যস্ত৷ ছেলে-মেয়ে বা নাতি-নাতনির সাথে ইমেল বা ফেসবুকেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন৷ তাঁরা বলেন, ‘সময়ের সাথে কিছুটা তাল মিলিয়ে চলা মানেই ব্রেনের সেলগুলোকে সজাগ রাখা৷’
ছবি: Fotolia/Rido
অসুখকে গুরুত্ব দিলেও মন খারাপ করেন না
বয়সের সাথে অসুখের সম্পর্ক নিবিড়, যা খুবই স্বাভাবিক৷ তাই বলে মন খারাপ নয়৷ অসুখের সময়ও এই প্রবীণ দল একে অন্যের দেখাশোনা করেন৷ ৭৮ বয়সি হান্সের ডায়াবেটিস খুব বেশি৷ কদিন আগে তিনি বাড়ির কাছেই তাঁর অত্যাধুনিক মডেলের ‘আউডি’ গাড়িটি অন্য একটি গাড়ির সঙ্গে লাগিয়ে দিয়েছিলেন৷ তাই এখন মেয়ে বলে দিয়েছে যে, তাঁর ‘গাড়ি চালানো বন্ধ’ – এ কথাই সেদিন হান্স ছলছল চোখে প্রবীণ বন্ধুদের বলছিলেন৷
ছবি: DW / N.Baeva
গান বাজনা
হস্ট অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার৷ শখ অ্যাকোর্ডিয়ান বাজানো আর ছবি আঁকা৷ প্রতিবেশীদের জন্মদিন বা কোনো উপলক্ষ্য হলেই হাতে তুলে নেন অ্যাকোর্ডিয়ান আর তালে তালে নেচে ওঠেন অন্যরাও৷ মজার ব্যাপার হলো, জন্মদিনের দাওয়াত দেবার সময় এঁরা বলে দেন, ‘‘কোনো উপহার নয়, আনন্দ ফুর্তি করার জন্য ‘মন’ নিয়ে এসো৷’’
ছবি: Nurunnahar Sattar
আনন্দ আর ধরেনা
এরকম হালকা আনন্দই বেচে থাকার প্রেরণা যোগায়
ছবি: Nurunnahar Sattar
পোশাককর্মীদের নিয়ে চিন্তা
বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সব খবরই তাঁরা রাখেন৷ সম্প্রতি বাংলাদেশের পোশাক কারখানা রানা প্লাজা ধসে যাওয়ার খবরে তারা খুবই বিচলিত৷ পোশাক কর্মীদের বেতন অবশ্যই বাড়ানো উচিত বলে তাঁরা মনে করেন৷ তাঁদের মতে পোশাক প্রতি ১ ইউরো বেশি দেওয়া জার্মানদের পক্ষে মোটেই কঠিন নয়৷ তাই তাঁরা এর আশু সমাধান কামনা করছেন৷
ছবি: JEWEL SAMAD/AFP/Getty Images
তরুণদের প্রতি পরামর্শ
তরুণ বয়সই কাজ করার উপযুক্ত সময়, তাই নিজের বুদ্ধি আর শক্তিকে কাজে লাগাও৷ নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলো এবং ইতিবাচক চিন্তা করো৷ ছোট বড় সবার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রাখো, প্রয়োজনে সাহায্য করো৷ জীবনে সমস্যা আসবেই, মোকাবেলা করো৷ সময়কে ভালোভাবে কাজে লাগাও, সাফল্য আসবেই আসবে৷ তরুণ বয়সে খাটলেই কেবল প্রবীণ বয়সে ভালো থাকা সম্ভব৷