বলিউড বনাম হলিউড, কে হবে সেরা ব্লন্ড!
১৫ আগস্ট ২০১০রবীন্দ্রনাথ তাঁর উর্বশী কবিতায় লিখেছিলেন, ‘অকস্মাৎ পুরুষের বক্ষমাঝে চিত্ত আত্মহারা/ নাচে রক্তধারা... ' গত শতকের সেরার সেরা রহস্যময়ী স্বর্ণকেশী নীলনয়না সুন্দরী মেরিলিন মনরো ছিলেন সেই তেমনই এক শাপভ্রষ্ট উর্বশী হয়তো বা৷
আসল নাম নর্মা জিন বেকার৷ সাদামাটা গ্রামের এক বালিকা বধূ হলিউড মাত করে দিয়ে গিয়েছিল তার অসামান্য রূপ আর ক্ষণজন্মা অভিনয় প্রতিভার প্রভায়৷ খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি থেকে শুরু করে কে তার প্রেমে পড়েনি? মেরিলিন চির রহস্যময়ী নারী প্রতিমা৷ ১৯৬২ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে আত্মহত্যা৷ তার আগে এক উদ্দাম প্রেম যৌনতায় মাখামাখি জীবন৷ যাতে ভোগ বিলাস থেকে শুরু করে রূপ, আনন্দ, গরল সবকিছুই বহে গেছে যেন হিল্লোলের মত৷ মেরিলিন মানেই এক কখনো না সমাধান হওয়া মিথ৷
এই মিথকেই এবার রূপোলি পর্দায় আনবেন মধুর ভান্ডারকর৷ যে ছবিতে মেরিলিনের জীবন, মেরিলিনকে ঘিরে অসাধিত সব প্রশ্ন ফুটে উঠবে৷ বেছে নিয়েছেন মধুর বলিউডের একমাত্র জিরো ফিগারের মালকিন কারিনা কাপুরকে৷ কারিনাও সব কাজ ফেলে তৈরি করছেন নিজেকে৷ এ সুযোগ তো লাইফটাইম৷ আর কখনো মিলবে না৷ কিন্তু আটলান্টিকের ওপারেও মেরিলিনকে নিয়ে ছবি হচ্ছে৷ সেখানে কিং কং -এর নায়িকা আরেক সাগরসেঁচা সবুজ চোখের সুন্দরী নাওমি ওয়াটস সাজছেন ব্লন্ড, মানে মেরিলিন৷
‘ব্লন্ড'-ই হবে হয়তো সে ছবির নাম৷ কারণ, ছবির মূল আধার হল জয়েস ক্যারলের সেই বিশ্বখ্যাত সাতশো পাতার বইখানা৷ মেরিলিনের জীবন নিয়ে লেখা যে বিতর্কিত বইয়ের নামও ‘ব্লন্ড'৷ যে বইতে মেরিলিন নামের সোনালি চুল আর নীলনয়নার জীবনের খুঁটিনাটি তুলে ধরেছিলেন জয়েস৷
তাই একটা হাড্ডাহাড্ডি হবে৷ মানে লড়াই৷ বলিউড নাকি হলিউড, কোন মেরিলিন শেষ পর্যন্ত টেক্বা মারে, সেটা জানতে এখন একটু অপেক্ষা দরকার৷ শোনা যাচ্ছে, দুটো ছবিই ফ্লোরে ঢুকে পড়বে নতুন বছরের গোড়ায়৷
তার মানে ২০১১ সালটা ব্লন্ডের বছর৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম