‘‘বসনিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবর প্রকাশ করে তাদের সহায়তা করে দেয়ার জন্য ডয়চে ভেলেকে অসংখ্য ধন্যবাদ,’’ এক পাঠকের মন্তব্য৷ বসনিয়া থেকে করা লাইভগুলো ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন ফেসবুক পাতায় অনেক পাঠক৷
বিজ্ঞাপন
‘‘ডয়চে ভেলের থেকে প্রচারের কারণে বসনিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সাহায্যের কথা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের আইওএম-এর নজর পড়েছে, ধন্যবাদ৷’’ মন্তব্য রাসেল খানের৷
ডিডাব্লিউ বাংলাকে ধন্যবাদ যুগান্তকারী পদক্ষেপের জন্য, মন্তব্য পাঠক আলম সাঈদের৷ বসনিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের খবরটি ডয়চে ভেলে প্রকাশ না করলে বাংলাদেশিরা না খেয়েই মারা যেতো বলে মনে করেন পাঠক শুব্রত নিল ভদ্র৷ লাইভ ভিডিওগুলো দেখানোর জন্য ডয়চে ভেলেকে ধন্যবাদ দিয়েছেন ফেসবুক বন্ধু খায়রুল হক৷ ডয়চে ভেলের প্রশংসা করে খায়রুল হাসান শুভ লিখেছেন, মানুষের কল্যাণে আসবে এমন সাংবাদিকতারই দরকার৷
তবে পাঠক রাকিব হাসান রফি ডয়চে ভেলের কাছে এরকম অনুসন্ধানমূলক আরো রিপোর্ট প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘বসনিয়ার এ ঘটনাটি রয়টার্সসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে বলে আমরা তাঁদেরকে নিয়ে আলোচনা করছি কিন্তু বসনিয়া ছাড়াও অন্যান্য বলকান রাষ্ট্রগুলোতে একইভাবে অনেক বাংলাদেশি এভাবে আটকা পড়ে থাকতে পারেন যারা ইতালি কিংবা ফ্রান্স অথবা স্পেনে ঢোকার জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন৷ কয়েক মাস আগেও মেসিডোনিয়াতে একটি লরী থেকে ১৪৪ জনের মতো আটক করা হয়৷ যারা একই উদ্দেশ্য নিয়ে ইউরোপের পথে পাড়ি জমিয়েছিলেন৷ এ বিষয়গুলো নিয়ে আরও অনুসন্ধান হওয়া প্রয়োজন৷’’
ইউরোপের স্বপ্ন বন্দি বসনিয়ার জঙ্গলে
ইউরোপে অভিবাসনের প্রত্যাশায় এসে বসনিয়ায় আটকা পড়েছেন কয়েকশো বাংলাদেশি৷ ডয়চে ভেলের আরাফাতুল ইসলাম ও অনুপম দেব কানুনজ্ঞ তুলে ধরেছেন তাদের মানবেতর জীবনের দিনলিপি৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
জঙ্গলে বসবাস
এটি বসনিয়া-ক্রোয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী শহর ভেলিকা ক্লাদুসার একটি জঙ্গল৷ সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েকশো বাংলাদেশি৷ মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন তারা৷ লক্ষ্য ক্রোয়েশিয়া হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করা৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
পলিথিনের তাঁবু
সেখানে কোন স্থাপনা নেই৷ স্থানীয় সুপার মার্কেট থেকে পলিথিন কিনে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাত কাটানোর সাময়িক ব্যবস্থা করেছেন তারা৷ এক একটি তাঁবুতে ১০ থেকে ১২ জন থাকেন৷ সোমবার সকালে সেখানে তাপমাত্রা ছিল দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ ঠাণ্ডা বা বৃষ্টি কোনটি থেকেই রক্ষা পাওয়ার সুযোগ নেই এই আচ্ছাদনে৷
ছবি: Anupam Deb Kanunjna/DW
‘পুলিশ সবকিছু কেড়ে নেয়’
ইয়াসিন নামে একজন জানান, ওমান থেকে স্পিড বোটে করে তিনি ইরান থেকে তুরস্ক হয়ে গ্রিসে আসেন৷ তারপর গ্রিস থেকে আসেন বসনিয়াতে৷ ‘‘সর্বশেষ গত তিনদিন আগে ক্রোয়েশিয়া প্রবেশের চেষ্টা করি৷ সে সময় কিছুটা (ক্রোয়েশিয়ার) ভিতরে ঢুকেছিলাম৷ কিন্তু পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যাই৷ পুলিশ আমার সবকিছু কেড়ে নেয়৷ শুধু আন্ডারওয়্যার পরা অবস্থায় আমাকে এখানে ফেরত পাঠায়৷’’
ছবি: Arafatul Islam/DW
লাখ টাকা খরচ
মোটা অংকের টাকা খরচ করে দালালদের মাধ্যম ইউরোপের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন তারা৷ ‘‘১৮ থেকে ২০ লাখ খরচ করে এখানে এসেছি৷ বিভিন্ন দেশে দালালদের এ টাকা দিতে হয়েছে আমাদের৷ এ মুহূর্তে দেশে গেলে নিঃস্ব হয়ে যাব আমরা,’’ জানালেন একজন৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
গোসলের সুযোগ
আশেপাশে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা৷ বৃষ্টিতে নীচু জমিতে পানি জমেছে, যা গোসল আর কাপড় ধোয়ার সুযোগ করে দিয়েছে অভিবাসন প্রতাশীদের৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
মিরাল ক্যাম্প
কাছেই আছে জাতিসংঘের ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা’ আইওএম পরিচালিত মিরাল ক্যাম্প৷ ক্যাম্পে মোট সাতশ জনের থাকার ব্যবস্থা আছে৷ এদের মধ্যে ৫০ শতাংশ পাকিস্তানি অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ বাংলাদেশিদের হার ২৮ শতাংশ৷ এছাড়া মরক্কো, আফগানিস্তান, সিরিয়া, আলজেরিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীরাও আছেন সেখানে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
ক্যাম্পের সুযোগ-সুবিধা
ক্যাম্পের ব্যবস্থাপক আইওএম কর্মকর্তা মিতে চিলকোভস্কি জানান, ক্যাম্পের বাসিন্দাদের দিনে তিন বেলা খাবার দেয়া হয়৷ পাশাপাশি তাদের অন্য সামগ্রীও দেয়া হয়৷ এছাড়া স্থানীয় ডাক্তারদের দিয়ে ক্যাম্পের ভেতরে ও বাইরে থাকা আহত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চিকিৎসা দেয়া হয়৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
নির্যাতন
বসনিয়া সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে ক্রোয়েশিয়ার পুলিশের বাধা ও তাদের হাতে নির্যাতিত হওয়ার বর্ণনা দিয়েছেন ক্যাম্পে বাস করা বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীরা৷ যেমন সিলেট থেকে আসা শফিক মিয়া তার ডানহাতে থাকা কুকুরের কামড়ের ক্ষত দেখিয়েছেন৷ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ কুকুর ছেড়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ ছবিতে নির্যাতনের চিহ্ন দেখাচ্ছেন মিরাল ক্যাম্পে থাকা আরেক বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী৷
ছবি: Anupam Deb Kanunjna/DW
পরিত্যাক্ত কারখানা
বেশিরভাগেরই ঠাই মেলেনি মিরাল ক্যাম্পে৷ তাদের বড় একটি অংশই আশ্রয় নিয়েছেন জঙ্গলে৷ সেখানেও এখন থাকার জায়গা নেই৷ বাকিরা তাই বেছে নিয়েছেন পাশের একটি পরিত্যাঙ্ক কারখানা ভবন৷
ছবি: Anupam Deb Kanunjna/DW
শতাধিক
এই কারখানা ভবনেও শতাধিক বাংলাদেশির দেখা পেয়েছেন ডয়চে ভেলের দুই সংবাদকর্মী৷ বাংলাদেশির পাশাপাশি আফ্রিকা বা মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ থেকে আসা শরণার্থীরাও আছেন সেখানে৷
ছবি: DW
দেয়াল, ছাদবিহীন ভবন
কারখানা ভবনটির চারপাশের একটি বড় অংশেই দেয়াল নেই৷ এমনকি ছাদের অনেকটা অংশই ফাঁকা৷ যার কারণে অনায়াসে বৃষ্টির পানি ঢুকছে সেখানে৷ আছে শীতের প্রকোপও৷
ছবি: Anupam Deb Kanunjna/DW
পুলিশের তাড়া
অভিবাসীদের অভিযোগ কারখানাতে অনেক সময় পুলিশ আসে৷ সেসময় তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে যেতে হয় সেখান থেকে৷ পরে আবারো এসে আশ্রয় নেন তারা৷
ছবি: Anupam Deb Kanunjna/DW
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ
ভবনটির মেঝেতে জমে আছে পানি৷ পাশেই ময়লার স্তূপ৷ এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই দিনের পর দিন কাটাচ্ছেন ইউরোপের স্বপ্নে বিভোর মানুষগুলো৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
এক জায়গায় সব
অস্বাস্থ্যকর সেই পরিবেশে রান্না, খাওয়া আর থাকার ব্যবস্থা৷ খাবার কিনতে হয় স্থানীয় সুপার মার্কেট থেকে৷ তবে সেজন্যেও বহু কাঠখড় পোহাতে হয়৷ অনেকের কাছে নেই পর্যাপ্ত টাকাও৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
ছিনতাইয়ের ভয়
মানবেতর এই পরিস্থিতিতে আরেক বিপদ ছিনতাই৷ রাতের বেলা বাইরে বের হয়ে ছিনতাইয়ের কবলে পড়তে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
স্থানীয়দের সহযোগিতা
তবে অনেক সময় স্থানীয়দের কেউ কেউ সহযোগিতাও করেন৷ ছবির ব্যক্তির সামনে রাখা চুলাটি সেভাবেই মিলেছে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
অবশেষে সহায়তার দেখা
গত কয়েক মাসে ক্যাম্পের বাইরে থাকা এই শরণার্থীরা আন্তর্জাতিক কোন সংস্থা থেকে মানবিক সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ৷ তবে ১৯ অক্টোবর আইওএম এর একটি দল সেখানে উপস্থিত হন৷ ছয়শো জনকে তারা কিছু খাবার আর স্লিপিং ব্যাগ দিয়েছেন৷ প্রথমবারের মতো এমন সহায়তা মিলেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশিরা৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
প্রাথমিক চিকিৎসা
সীমান্ত অতিক্রম করতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন৷ আবার ক্রোয়েশিয়া পুলিশের নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগও করেছেন কেউ কেউ৷ তেমনই একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছিলেন রেডক্রসের কর্মীরা৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
‘গেম মারা’
আটকা পড়া অভিবাসন প্রত্যাশীরা দালালের মাধ্যমে দল বেঁধে চেষ্টা করেন সীমান্ত অতিক্রমের৷ এটিকে তারা বলে থাকেন ‘গেম মারা’৷ তবে বেশিরভাগই ব্যর্থ হোন৷ ক্রোয়েশিয়া পুলিশের হাতে ধরা পড়ে আবার ফিরে আসেন জঙ্গলেই৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
ইউরোপ কত দূর
এই বাংলাদেশিদের কেউ কেউ মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপে ঢুকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন দুই-তিন বছর ধরে৷ এর মধ্যে দালালকে দিয়েছেন ১৫-২০ লাখ টাকা করে৷ তবুও দেখা মেলে না প্রত্যাশিত গন্তব্য ফ্রান্স বা ইটালির৷ একজন বলেছেন, ‘‘ওমান, দুবাইর সাগর পাড়ি দেয়ার পর পেছনে যাওয়ার উপায় নাই৷ ইটালি ম্যাপে দেখতে অনেক ছোট লাগে, কিন্তু যেতে অনেক সময় লাগে৷ অনেক কষ্ট৷’’
ছবি: Arafatul Islam/DW
আর যেন কেউ না আসে
বেশিরভাগই জানিয়েছেন তারা এভাবে এসে ভুল করেছেন৷ টাকা দিয়ে বিপদ কিনেছেন৷ এতটা অবর্ণনীয় কষ্টে পড়তে হবে কেউ ভাবেননি৷ তাদের মতো কেউ যেন আর অবৈধপথে পাড়ি না জমায় সেই অনুরোধ জানান৷
ছবি: Anupam Deb Kanunjna/DW
21 ছবি1 | 21
আর বসনিয়ায় বাংলাদেশিদের অসহায়ত্ব দেখে নাজাত আহমেদ চৌধুরীর জানতে চেয়েছেন, বসনিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাস রয়েছে কিনা৷
বসনিয়ায় জঙ্গলে বাংলাদেশিদের কষ্ট দেখে পাঠক বিথী আক্তার তার অনুভূতির কথা জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘আমরা পৃথিবীর একমাত্র দেশ যারা শরনার্থীদের জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করে বিল্ডিং করে এবং সেই সাথে উন্নত জীবন যাপন করার জন্য প্রয়োজনীয় সব করছি৷ আর আমাদের দেশের রেমিটেন্স যোদ্ধারা কত বিপদে আছে৷’’ গুরুত্বপূর্ণ খবর প্রকাশ করে বাংলাদেশিদের সহায়তা দেওয়ার জন্য ডয়চে ভেলেকে ধন্যবাদ দিয়েছেন পাঠক আহমেদ রুহিন৷
আর জাকারিয়া আহমেদের মন্তব্য, মানবতা এখনও বেচে আছে শুধু চোখ খুলে দেখতে হয়, ধন্যবাদ ডয়চে ভেলে বাংলাকে৷ বাংলাদেশিদের দুঃখ বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন মনির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম,খুরশীদ খান, শামসুর রহমান, ওমর ফারুকসহ অনেকে৷
ফেসবুক পাতায় শামীম আশরাফ তন্ময় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লিখেছেন, আপনাদের এই কাজের মাধ্যমে ‘‘আমরা সবাই পরিবর্তন আনতে পারি,’’ এই কথাটাই যেনো পূর্ণতা পেয়েছে৷
পাঠক মোহাম্মদ রহমান এবং মিজানুর রহমান জানিয়েছেন তারা সর্বক্ষণই ডয়চে ভেলের লাইভে যুক্ত ছিলেন এবং মানবিক কাজ করার জন্য ডয়চে ভেলের সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন৷ ডয়চে ভেলে বাংলার সংবাদকর্মীদের প্রতি আরো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পাঠক আবুল বাশার খান৷
‘‘দেশি-বিদেশি মিডিয়ার মধ্যে ডয়চে ভেলেই সম্ভবত প্রথম, যারা কিনা সরাসরি স্পটে গিয়ে লাইভ করেছে! কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি পৃথিবীর কোন এক জঙ্গলে আটকে আছে, সুতরাং আমাদের সেখানে যেতে হবে- এ মেন্টালিটি আমাদের তথাকথিত গণমাধ্যম নামের দেশীয় একটিভিস্ট মিডিয়ার নেই! এজন্যে দু'দিন ধরে ডয়েচে ভেলের প্রতি ফিদা হয়ে আছি৷’’ এই মন্তব্য মিলাদ আহমেদের৷
তবে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদটি পাঠকদের কাছে তুলে ধরাতে গিয়ে সাংবাদিকদের অক্লান্ত পরিশ্রম করায় বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিয়েছেন পাঠক মামুন রনবীর৷ আর হেলাল ফকির মনে করেন ডয়চে ভেলে খবরটি প্রচার করার কারণেই বিষয়টি দাতাদের নজরে এসেছে৷
পাঠকদের কেউ কেউ এ বিষয়ে সমালোচনাও করেছেন৷ যেমন পাঠক টিপু সুলতান মনে করেন নিজের দেশকে ছোট করে এভাবে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়া উচিত নয়৷
বাংলাদেশিদের এভাবে পালিয়ে যাওয়ার বিপক্ষে মত প্রকাশ করেছেন পাঠক মিজানুর রহমান সৈকত৷ পালিয়ে যেতে এক একজনের ১৫ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে আর এই টাকা দিয়ে দেশে অনায়াসে অনেক কিছুই করা যায় বলে মনে করেন তিনি৷ আর অন্যদেশে এভাবে পালিয়ে যাওয়া পাঠক জুয়েলের কাছে অপরাধ৷
‘‘কেউ মরে সাগরে, কেউ মরে জঙ্গলে! জীবন আগে না সম্পদ আগে৷ এই রকম ঝুঁকি নিয়ে আমি কখনো যাবো না৷এটা সুইসাইডের সামিল৷ আর যারা তাদেরকে যেতে পরামর্শ দেয়, এরা দালাল,এদের কঠোর শাস্তি চাই৷’’ বসনিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সম্পর্কে পাঠক লাবু মিয়া এভাবেই তার মতামত জানিয়েছেন৷