1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণে আরো কড়া পদক্ষেপ চায় ইইউ

২০ অক্টোবর ২০২৩

অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত বিদেশিদের দ্রুত ফেরত পাঠানো ও বহিরাগত কট্টরপন্থিদের কার্যকলাপ খর্ব করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ ইইউ মন্ত্রীদের আলোচনায় কড়া পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷

লুক্সেমবুর্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক
অভিবাসন বিষয়ে বৈঠক করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরাছবি: JOHN MACDOUGALL/AFP

সাম্প্রতিককালে শরণার্থীদের ঢল ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে বিশাল মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে৷ ইউরোপের মানুষের মনে অনিশ্চয়তার সুযোগ নিয়ে ‘লাগামহীন' অভিবাসনের জুজু দেখিয়ে মাথাচাড়া দিচ্ছে চরম দক্ষিণপন্থি শক্তি৷ মধ্যপ্রাচ্য সংকট বিষয়টিকে আরো জটিল করে তুলছে৷ ব়্যাডিকাল ভাবধারার বহিরাগত মানুষের কার্যকলাপ নিয়ে বিব্রত একাধিক সদস্য দেশের সরকার৷ তাই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবার আগে ইইউ কড়া পদক্ষেপ নিয়ে জনসাধারণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছে৷ বৃহস্পতিবার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এমনই কিছু উদ্যোগের কথা শোনা গেল৷

ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ইউরোপে শরণার্থী ও রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের সম্পর্কে আরো তথ্য সংগ্রহের উপর জোর দিচ্ছে ইইউ৷ নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে, এমন ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে চায় সদস্য দেশগুলির সরকার৷ বিশেষ করে কট্টর ইসলামপন্থিদের কার্যকলাপ গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিবাসন সংক্রান্ত কমিশনর ইলভা ইয়োহান্সসন বলেন, ইইউ-কে সন্ত্রাসবাদীদের হুমকি থেকে নিরাপদ রাখা অবশ্য প্রয়োজনীয় কর্তব্য৷ তার মতে, যে সব মানুষ নিরাপত্তার ঝুঁকি হয়ে উঠছে, তাদের আরো অনেক দ্রুত ফেরত পাঠানো প্রয়োজন৷ হিংসাত্মক ইহুদি-বিদ্বেষ বা হিংসাত্মক ইসলাম-বিদ্বেষ দূর করাও জরুরি, বলেন ইয়োহান্সসন৷ উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে টিউনিশিয়া থেকে আসা এক ব্যক্তি গুলি চালিয়ে সুইডেনের দুই ফুটবল সমর্থককে হত্যা করেছিলেন৷ রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন নাকচ হবার পর সেই ব্যক্তি বেআইনিভাবে সে দেশে থেকে গিয়েছিলেন৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিন্ন অভিবাসন ও রাজনৈতিক আশ্রয় সংক্রান্ত নিয়মকানুন চূড়ান্ত করে অবিলম্বে কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল দার্মান্যাঁ৷ তার মতে, বহিরাগতদের ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে কোনো রকম সারল্য দেখালে চলবে না৷ চলতি বছর এই অভিন্ন নীতি চালু হলে অপরাধের রেকর্ডধারী বিদেশিদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া অনেক সহজ হবে বলে প্রবক্তরা আশা করছেন৷

ইউরোপীয় শরণার্থী ও রাজনৈতিক আশ্রয় সংক্রান্ত নীতির পাশাপাশি শরণার্থীদের ঢল কমাতে আফ্রিকার উত্তরের দেশগুলির সঙ্গে চুক্তির উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে৷ বিশেষ করে আদম ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমাতে এমন সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ বলে ইউরোপের অনেক দেশ মনে করছে৷ তবে অভিন্ন নীতির সমালোচকদের আশঙ্কা, শেষ পর্যন্ত মানবাধিকারকে প্রাধান্য দিয়ে বেআইনি অনুপ্রবেশ কমাতে তেমন উদ্যোগ নেওয়া হবে না৷

বহিরাগত ও কট্টরপন্থিদের নিয়ে চলমান বিতর্কের জের ধরে ইউরোপের মধ্যে সীমানাহীন আদানপ্রদান ও অন্যান্য কিছু মৌলিক অধিকার সঙ্কুচিত হতে পারে বলে কিছু মহল আশঙ্কা করছে৷ নিরাপত্তার স্বার্থে ইউরোপের চিরায়ত মূল্যবোধ কতটা খর্ব করা উচিত, সে বিষয়েও বিতর্ক শোনা যাচ্ছে৷ শেঙেন এলাকার একাধিক দেশ সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ চালু করায় সেই প্রশ্ন বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ 

এসবি/জেডএইচ (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ